পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミbtr 1) আর তাহ বড় চেন ষার না ; যেন মাকড়সার জালে শিশির পড়িয়াছে বলিয়। বোধ হয় । সেইরূপ "আবরোঙ” জলে ফেলিলে আর বড় দেখা যায় না । জাহাঙ্গির বাদসার সময় এই সকল বস্ত্র এত সুক্ষয় প্রস্তুত হুইত যে ৩০ হাত দীর্ঘ আর ২ হাত বহরের থান ওজনে ৫ ভরির অধিক হইত না, তাহার মূল্য ৪০০ টাকা ছিল । এরূপ স্বক্ষয় বস্ত্র অদ্যাপি আর কোন দেশে হয় নাই । বাঙ্গালাম ভূমি-কর্ষণ আর বস্ত্ৰ-বয়ন, এই দুই প্রধান কাৰ্য্য ছিল । অধিকাংশ লোকেই এই দুই কায্যে লিপ্ত থাকিত । যেমন কস্মিনকালে অন্যদেশ হইতে বাঙ্গালায় চাল অমিদানির প্রয়োজন হইত না, সেই রূপ কম্মিনকালে জন্য দেশ হইভে পরিধানের বস্ত্ৰ আসিত না, এই খানেই প্রস্তুত হইত। সুতরাং সমুদয় বাঙ্গালীর বস্ত্র প্রস্তুত করিতে বহু লোক লিপ্ত থাকিতে হইত। কেবল তঁতিদের দ্বারা এ কায্য সমাধা হইয়া উঠিত না, তাহারা মাত্র তাত বুনিত। তাহাদের নিমিত্ত স্বতা সকল জাতিতেই কাটিয়া দিত,নতুবা অন্যদেশের “হাত তোলায়’থাকিভে হয়। স্ত্রীলোকের একাৰ্ষ্যের ভার লইয়াছিল। তৎকালের স্ত্রীলোকের বঙ্গসমাজের অর্থবৃদ্ধি সম্বন্ধে বিশেষ সহায় ছিল ; বাঙ্গালার যত ধান্য তাহা সমুদয় তাহারা ভানিয়া দিত ; এবং আবাল বৃদ্ধ ফুটিয়া স্থত কাটিয়া দিত। বোধ হয় প্রায় এক কোটি দ্বীলোক কেবল

বাঙ্গালীয় কলের কাপড় । 385 এই স্বত কাট। কায্যে লিপ্ত থাকিত । স্বত। কাটা উঠিয়া গিয়াছে, সুতরাং এই এক কোটি স্ত্রীলোক এখন “বেকার ।” তাহাদের উপার্জন এখন কলে কাড়িয়া লইয়াছে। 鬱 তাহদের সেই উপার্জন যদি অন্য কোন প্রকারে পুরাণ হইত, তাহা হইলে ক্ষতি ছিল না । কিন্তু তাহ হয় নাই । তাহাই বলিতেছিলাম কলের স্বভায় আমাদের নিজের ইষ্ট হইয়াছে, কেননা আমরা কাপড় সস্তা পাইতেছি। কিন্তু বঙ্গ সমাজের অনিষ্ট হইয়াছে, কেননা এক কোটি বঙ্গবাসী বৎসর বৎসর যে অর্থ উপাজর্জন করিত, সে অর্থ এখন ইংলণ্ড দেশের মাঞ্চেষ্টার নগর লইতেছে। যাহারা বিবেচনা করেন পূৰ্ব্বে যত লোক এ কার্ষ্যে লিপ্ত ছিল, এখনও তত লোকই লিপ্ত আছে, তাহাদের সম্পূর্ণ ভ্ৰম । চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে আমি স্বচক্ষে দেখিয়াছি, কি ব্রাহ্মণ কি কায়স্থ, প্রায় ঘরে ঘরেই চর্ক। ঘুরিভ । প্রাচীন কালে একটি চলিত কথা ছিল যে “রাজার মা সোনার পাইজ কাটে।” এই প্রবাদ দ্বারা এই বুঝা যায় ষে সুত-কাট বাঙ্গালার সকল অবস্থার লোকের সম্ভব ছিল। আরও দেখা যায় স্বত ও চর্কার জাতকথা এখনও সকল ঘরেই চলিত আছে । জদ্যাপি বলে “আপনার চৰ্কায় ভেল দেও* অর্থ আপনার ভাবনা ভাব । “জার টানা পড়েন করিতে পারি না,” অর্থাৎ অনবরত আর যাতা