পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8२ রাত করিতে, পারি না। কেহ মৃত্যু স্বরে অকারণ কাদিতেছে শুনিলে আমরা এখনও রাগ করিয়া জিজ্ঞাসা করি “কে সরু স্বত কাটিতেছে।" সূতা কাটার বড়ই প্রাষ্ট্রভাব ছিল বলিয়া এসকল কথা অদ্যাপি ঘরে ঘরে থাকিয়া গিয়াছে। অধিক কি ! স্বত কাটা দেখিয়৷ তৎকালে বিবাহের পাত্রী মনোনীত হইত। “সবনাম” “আবরোঙা” প্রভূতি তাহাদের সূতায় প্রস্তুত হইত। তাহার। “অাসনাস্বভা কাটিত । পূৰ্ব্বকালে বাঙ্গালায় মোট যত ধন প্রতিবৎসর বৃদ্ধি পাইত, তাহার মধ্যে স্ত্রীলোক উপার্জিত ধনাংশ পুরুষ উপর্জিত ধনাংশ অপেক্ষ নিতান্ত কম ছিল না। স্ত্রীলোক কর্তৃক এরূপ অংশে অর্থবৃদ্ধি আর কখন কোন দেশে হইয়াছে কি না সন্দেহ । কিন্তু এখনকার কথা স্বতন্ত্র। অর্ধেক স্ত্রীলোকে অর্থবৃদ্ধি সম্বন্ধে বৃথা হইয়া পড়িয়াছে। অন্য বিষয়ে যাহাই হউক, এ বিষয়ে বাঙ্গালার বড়ই অবনভি হইয়াছে। ম্যানচেষ্টার অামাদের ঠকাইয়াছে, কলে আমাদের অৰ্দ্ধেক স্ত্রীলোকের হাত কাটিয়া দিয়াছে, কত লক্ষ তাডির প্রাণনাশ করিয়াছে। অামাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যে বাঙ্গালায় তাতিরা বহুসংখ্যক ছিল । এখন তাহাদের সংখ্যা কমিয়া গিয়াছে। এখন বাঙ্গালার যেখানেই জর পীড়া মরক আরম্ভ হউক, সৰ্ব্বাগ্রে সেখানকার তাতি পীড়িত হয়, সৰ্ব্বত্ৰে ভাতি মরে হর্ভিক্ষ বঙ্গদর্শন । ( আষাঢ়। হইলে, সৰ্ব্বাগ্রে তাডিকে উপবাস করিতে হয় । এই জন্য তাহাদের সংখ্যা অন্য জাতি অপেক্ষা কমিয়াছে । এ সকল ম্যানচেষ্টারের কীৰ্ত্তি । ম্যানচেষ্টারের উপর রাগ করিয়া বলিতেছি না। আপনার ধনবৃদ্ধির নিমিত্ত ম্যানচেষ্টার কল পাভিয়াছিল, অদৃষ্টক্রমে আমরা সেই কলে পড়িয়াছি, ম্যানচেষ্টারের কোন দোষ নাই । বস্ত্র বয়নে যে দেশ সকল দেশের মস্তকোপরি ছিল, সেই দেশ এখন বিলাতের পদতলে। বস্ত্রের নিমিত্ত যাঁহাদের দ্বারে গ্ৰীক রোমানেরা আসিয়া দাড়াইত, তাহার এখন ম্যানচেষ্টারের দ্বারে। অপরস্ব কিং ভবিষ্যতি । উপায় আর বড় দেখা যায় না। যদি কখন ম্যানচেষ্টারের প্রেরিত বস্ত্রাদির উপর মাশুল বৃদ্ধি করা হয়, এ পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয় যে কলের কাপড় মহার্ঘ হইয়া উঠে, তাহা হইলে আবার বঙ্গলক্ষ্মী ম্যানচেষ্টারের মন্দির হইতে বাঙ্গালায় প্রত্যাগমন করিতে পারেন । কিন্তু সে ভরশা বৃথা। মাশুল বাড়িবে না, ম্যানচেষ্টারের কারিগরের বড়ই ধনবান। তাহাদের একাধিপত্য এখন অতুল । । আর এক উপায় আছে। বার্ডউড সাহেব সে উপায় বলিয়া দিয়াছেন। তিনি আপনার গ্রন্থে লিখিয়াছেন যে— যে সকল বস্ত্ৰ অলঙ্কার এদেশজাত নহে, তাহ ষেন এদেশ