بيني* | ৭লশন, বৈঃ ১২৮২ ) শকুন্তলা, মিরমা এবং দেস্দিমোন । s দিগের হৃদয়মধ্যে প্রবেশ করে । 筑博 এরূপ উপাখ্যান কাব্য পৃথিবীতে অতি বিরল—অতুল্য বলিলে হয়। আমরা ভারতবর্ষে উভয়কেই নাটক বলি তে পারি, কেন না ভারতীয় আলঙ্কারিক দিগের মতে নাটকের যে সকল লক্ষণ, তাহা সকলই এই দুই কাব্যে আছে। কিন্তু ইউরোপীয় সমালোচকদিগের মতে নাটকের যে সকল লক্ষণ,এই দুই নাটকে তাহা নাই । ওথেলো নাটকে তাহ প্রচুর পরিমাণে আছে। ওথেলো নাটক—শকুন্তলা এ হিসাবে উপাখ্যান কাব্য । ইহার ফল এই ঘটিয়াছে যে দেসদিমোনার চরিত্র যত পরিস্ফুট হই য়াছে—মিরন্দা বা শকুন্তলা তেমন হয় নাই। দেস্দিমোন জীবন্ত, শকুন্তল৷ ও মিরনদা ধ্যানপ্রাপ্য। দেসদিমোনার বাক্যেই তাহার কাতর, বিকৃত কণ্ঠস্বর আমরা শুনিতে পাই, চক্ষের জল ফোট৷ ফোটা গণ্ড বহিয়া বক্ষে পড়িতেছে দেখিতে পাই--ভূলগ্নজানু সুন্দরীর স্পন্দিততার লোচনের উদ্ধ দৃষ্টি আমা শকুস্তলার আলোহিত চক্ষুরাদি আমরা দুষ্মন্তের মুখে না শুনিলে বুঝিতে পারি না —যথা | ন তিৰ্য্যগবলোকিতং, ভবতি চক্ষুরালো ... • হিতং, বচোপি পরুষাক্ষরং নচপদেষু সংগচ্ছতে। হিমার্ভইব বেপতে সকলইব বিম্বাধরঃ প্রকামবিনতে ভ্ৰবোঁ যুগপদেব ভেদংগতে। ' শকুন্তলার দুঃখের বিস্তার দেখিতে । পাই না, গতি দেখিতে পাই না, বেগ । দেখিতে পাই না ; সে সকল দেস্দিমো । নায় অত্যন্ত পরিস্ফুট । শকুন্তলা, চিত্র করের চিত্র; দেস্দিমোন ভাস্করের গঠিত সজীব প্রায় গঠন। দেস্দিমোনার হৃদয় । আমাদিগের সম্মুখে, সম্পূর্ণ উন্মুক্ত এবং ! সম্পূর্ণ বিস্তারিত ; শকুন্তলার হৃদয় কেবল । ইঙ্গিতে ব্যক্ত । - তরাং দেস্দিমোনার আলেখ্য অধিক তর প্রোজ্জল বলিয়া দেস্দিমোনার কাছে । শকুন্তলা দাড়াইতে পারে না। নতুবা, - ভিতরে দুই এক। শকুন্তলা অৰ্দ্ধেক মিরদ, অৰ্দ্ধেক দেস্দিমোন । পরিণীতা শকুন্তলা দেস্দিমোনার অনুরূপিণী —অপরিণীতা শকুন্তলা মিরদায় অমুরূপিণী । - সমালোচন সমাপনস্তে আমরা যদি ৷ একবার বঙ্গদর্শনের পূৰ্ব্বতন বন্ধু ব্যাঘ্রাচাৰ্য্য বৃহল্লাম্বুল মহাশয়ুকে স্মরণ করি, । ভরসা করি পাঠকগণ মার্জন করবেন । । প্রাগুক্ত আচার্য্যের মত এই যে, এই ! সাদৃশ্য দ্বার প্রমাণীকৃত হইতেছে যে, ; কালিদাস সেক্ষপীয়রের পরবর্তী; এবং ইংরেজিতে ব্যুৎপন্ন ছিলেন। এবং মিরদ ও দেস্দিমোনার অমুকরণ করিয়াই । শকুন্তলা প্রণয়ন করিয়াছেন। 2 |
