さ Qやり স্বৰ্য্য মণ্ডল । (বঙ্গদর্শন, আশ্বিং, ১২৮২ । স্বতপ্ত সোণার থালার দ্যায় গোল সূৰ্য্য প্রতি দিন আকাশমার্গে গমন করিয়া আমাদিগকে কিরণ দান করিতেছে, ইহা সকলেই দেখিতেছেন । এই স্থৰ্য্য আয়তনে যে সৌরজগৎস্থ গ্রহ উপগ্ৰহগণ অপেক্ষা বড়, তাহ আজি কালি সামান্ত পাঠশালার ছাত্রেরাও অবগত অাছে। হুর্য্যের ব্যাস পৃথিবীর ব্যাস অপেক্ষা ১১১গুণ রভু ; অর্থাৎ তাহার পরিমাণ ৮৮২৯০০ মাইল । এই পরিমাণের স্থান কতখানি, তাহা বোধ হয় এইরূপে সহজে বুঝা যাইতে পারে। কোন রেলগাড়ী যদি প্রতি ঘণ্টায় ৩০ মাইল হিসাবে চলে, তবে উক্ত গাড়ির স্বৰ্য্যমগুলের একপ্রাস্ত হইতে অপরপ্রাস্ত পর্য্যস্ত যাইতে তিনবৎসর সাতমাসেরও অধিক সময় লাগিবে। কিম্বা যদি পৃথিবীকে লইয়া স্বৰ্য্যমণ্ডলের ঠিক মধ্যস্থলে রাখা যায়, তবে পৃথিবীর চারি পাশ্বে স্বৰ্য্যমণ্ডলের এতস্থান থাকিবে, যে এক্ষণে চন্দ্র পৃথিবী হইতে যত দূরে থাকিয়া পৃথিবীকে বেষ্টন করিতেছে,তত দূরে থাকিয়া বেষ্টন করিলেও, চন্দ্রের কক্ষীর বহিঃস্থ স্থান, চন্দ্র হইতে পৃথিবীর দূরত্ব অপেক্ষা অতি অল্প কম হইবে । - স্বৰ্য্য পৃথিবীর ন্যায় গোলাকার ; কিন্তু অপেক্ষাকৃত অনেক বড়। দূরবীক্ষণ সাহায্যে সূর্য্যের উপরিভাগে কতকগুলি অস্থির কৃষ্ণচিহ্ন দেখা যায়। সেগুলি স্বৰ্য্যমণ্ডলের একপাশ্ব হইতে অন্যপার্শ্বে গমনকরে। তাহাতে জানা যায়, যে গ্রহ উপগ্ৰহগণের ন্যায়, স্বৰ্য্যও আপনার মেরুদণ্ডের উপর আবর্তন করে। এরূপ একবার আবর্তন করিতে আমাদের ২৫দিন পরিমাণ সময় লাগে। স্বৰ্য্য তাপ আর আলোকের আকর। স্বৰ্য্যমণ্ডল হইতেই সৌরজগৎস্থ গ্রহ ও চন্দ্রগণ তাপ আর আলোক পায়। পৃথিবীর যে পার্শ্ব যখন স্বৰ্য্যাভিমুখে থাকে, তখন সেই পাশ্ব তাপ আর আলোক পায় ; আর তাহার বিপরীতদিক্ অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকে। এই আলোক ও অন্ধকারের নামান্তর দিন ও রাত্রি । স্বৰ্য হইতে পৃথিবী উপরে নিপতিত তাপ আর আলোকের পরিমাণ নির্ণয় করিয়া একজন পণ্ডিত কহিয়াছেন, যে কোন স্থানে ৫৫৬৩টা মমবাতি একসঙ্গে জালিলে,তাহার একফুট দূরে যত আলো হয়, স্বৰ্য্য হইতে পৃথিবীর উপরে লম্বভাবে পতিত রশ্মির আলোক পরিমাণ তত। আর একটা মাত্র বাতি জালিলে, তাহার ১২ফুট দূরে যে আলো হয়, চন্দ্রী লোকের পরিমাণ তত; সুতরাং চন্দ্রা লোক অপেক্ষা স্বৰ্য্যালোক প্রায় ৩০০০০০ { গুণ অধিক । • স্বৰ্য্য অপরিমিত প্রচণ্ড তাপের অt | ধার। সুৰ্য্যের হ্রাসবৃদ্ধি নাই; স্বৰ্য্যমণ্ডলে | দিবস রজনীরূপ আলোক ও অন্ধকারের } পরিবর্তন ঘটে না; ঋতু পরিবর্তন নাই | এবং স্থল জলদিরূপ কোন বিভাগ নাই । { তাপের আধিক্য এত যে কোন প্রকার } কঠিন পদার্থ, স্বীর কাঠিন্য রক্ষা করিক্তে ?
পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৬৪
অবয়ব