NoNo o বঙ্গে ব্রাহ্মণাধিকার | - இண (বঙ্গদর্শল, ७५६, ४ ३४ २ l গণ সেই গৌরবান্বিত আৰ্য্য। বরং গৌরবের বৃদ্ধিই হইল। আৰ্য্যগণ বাঙ্গালায় তাদৃশ কিছু মহৎ কীৰ্ত্তি রাখিয়া যান নাই —আর্য্যকীৰ্ত্তিভূমি উত্তর পশ্চিমাঞ্চল। এখন দেখা যাইতেছে যে আমরা সে কীৰ্ত্তি ও যশেরও উত্তরাধিকারী । সেই কীৰ্ত্তিমন্ত পুরুষগণই আমাদিগের পূর্বপুরুষ । দেবে, চোবে, পাড়ে, তেওয়ারীর মত আমরাও ভারতীয় আৰ্য্যগণের প্রাচীন যশের ভাগী বটে। আমাদের আর একটি কলঙ্কের লাঘব হইতেছে। আদিশূরের সময়ে মোটে সাড়ে সাত শত ঘর ব্রাহ্মণ ছিল। বল্লালের সময় সেই সাড়ে সাতশত ঘরের বংশ এবং পঞ্চ ব্রাহ্মণের বংশ একাদশ শত ঘর ছিল । ক্ষত্ৰীয় বৈশ্য এখনও যখন অতি অল্প সংখ্যক, তবে তখন যে আরও অল্পসংখ্যক ছিল তাঁহাতে সন্দেহ নাই। বল্লালের cमज्ज শত বৎসর পরে মুসলমানগণ বঙ্গজয় করেন । তখন বঙ্গীয় আর্যগণের সংখ্যা অধিক সহস্ৰ নহে, | ইহা অহুমেয়। তখনও তাহারা এদেশে ঔপনিবেশিক মাত্র । সুতরাং সপ্তদশ অশ্বারোহী কর্তৃক বঙ্গজয়ের যে কলঙ্ক,তাহ আর্য্যদিগের কিছু কমিতেছে বটে। তখনও বঙ্গীয় আৰ্য্যগণের অভু্যদয়ের সময় হয় নাই। এখন সে সময় বোধ হয় উপস্থিত। বাহুবলে না হউক, বুদ্ধিবলে যে বাঙ্গালি অচিরে পৃথিবীমধ্যে যশস্বী হইবে, তাহার সময় আসিতেছে। : আমরা উপরে ব্রাহ্মণ সম্বন্ধে যাহা । বলিলাম,কায়স্থগণ সম্বন্ধেও তাহ বৰ্ত্তে। ' বিদ্যানিধি মহাশয় বলেন কায়স্থগণ সৎশূদ্র, অর্থাৎ বর্ণসঙ্কর নহে। আমাদিগের বিবেচনায় তাহারা বর্ণসঙ্কর বটে। তদ্বিষয়ে বঙ্গদর্শনে ইতিপূৰ্ব্বে অনেক বলা হইয়াছে। এক্ষণে আর কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। সঙ্করতা হেতু কায়স্থগণ আর্য্যবংশসস্তৃত বটে। আদিশূরের সময় পঞ্চ ব্রাক্ষণের সঙ্গে পীচ জন কায়স্থও কান্যকুব্জ হইতে আসিয়াছিলেন। তৎপূৰ্ব্বে যেমন বাঙ্গালায় ব্রাহ্মণ ছিল, সেই রূপ কায়স্থও ছিল, কিন্তু অল্পসংখ্যক । এক্ষণে কায়স্থগণ বঙ্গদেশের অলঙ্কার স্বরূপ । 행 ஆற
