२ प्र ण-मि, उप: s२v२ l - রজনী । - ○ぐり。 আসন পাতিল । আমি বিলক্ষণ দেখিয়া- , ছিলাম, যে রজনী সেই জলস্পর্শ না করিয়াই আসন পাতা বন্ধ করিয়া জল মুছিয়া লইয়াছিল। অতএব স্পর্শের দ্বারা কখনই সে জানিতে পারে নাই, যে সেখানে জল আছে । অবশ্য সে জল দেখিতে পাইয়াছিল । আমি আর থাকিতে পারিলাম না । জিজ্ঞাসা করিলাম, “ রজনি এখন তুমি কি দেখিতে পাও ?” রজনী মুখনত করিয়া, ঈষৎ হাসিয়া বলিল, “ ইঁ।” আমি বিস্মিত হইয়া শচীন্দ্রের মুখপানে চাহিলাম। শচীন্দ্র বলিলেন, “ আশ্চৰ্য্য বটে, কিন্তু ঈশ্বর কৃপায় না হইতে পারে, এমন কি আছে? অামাদিগের ভারতবর্ষে চিকিৎসা সম্বন্ধে ক তকগুলি অতি আশ্চর্য্য প্রকরণ ছিল— সে সকল তত্ত্ব ইউরোপীয়ের বহুকাল পরিশ্রম করিলেও আবিঙ্কিত করিতে পরিবেন না। চিকিৎসা বিদ্যায় কেন, সকল বিদ্যাতেই এইরূপ । কিন্তু সে সকল, এক্ষণে লোপ পাইয়াছে, কেবল দুই একজন সন্ন্যাসী, উদাসীন প্রভৃতির কাছে, সে সকল লুপ্তবিদ্যার কিয়দংশ অতি গুহাভাবে অবস্থিতি করিতেছে । আমাদিগের বাড়ীতে একজন সন্ন্যাসী কখনই যাতায়াত করিয়া খাকেন, তিনি অগ্রে অঞ্চলের দ্বারা জল মুচিয়া লইয়। আমাকে ভাল বাসিতেন । তিনি যখন প্রকারে ? কষ্ঠা যে অন্ধ। আমি রহস্য করিয়া বলিলাম, আপনি অন্ধত্বের আরোগ্য করুন।’ তিনি বলিলেন, ।
- করিব—এক মাসে ।’ ঔষধ দিয়া,
তিনি একমাসে রজনীর চক্ষে দৃষ্টির স্বজন । করিলেন ।” আমি আরও বিস্মিত হইলাম,বলিলাম “ না দেখিলে, আমি ইহা বিশ্বাস করি- . তাম না । ইউরোপীয় চিকিৎসা শাস্ত্রানু- | সারে, ইহা অসাধ্য ।” এই কথা হইতেছিল, এমত সময়ে ! এক বৎসরের একটি শিশু, টলিতে ট- ! লিতে, চলিতে চলিতে, পড়িতে পড়িতে, উঠিতে উঠিতে সেই খানে আসিয়া উপস্থিত হইল । শিশু আসিয়া, রজনীর পায়ের কাছে দুই একটা আছাড় থইয়া, তাহার বস্ত্রের একংশ ধৃত করিয়া টানাটানি করিয়া উঠিয়া, রজনীর অস্ট্রি ধরিয়া তাহার মুখ পানে চহিয়া, উচ্চহাসি হা সিয়া উঠিল। তাহার পরে, ক্ষণেক আ । মারমুখপানে চাহিয়া, হস্তোত্তোলন করিয়া ; আমাকে বলিল, “দ!!” (যা!) শুনিলেন আমি রজনীকে বিবাহ করিব, । তখন বলিলেন, “শুভদৃষ্টি হইবে কি ! আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ‘কে এটি?” শচীন্দ্র বলিলেন, “ আমার ছেলে ।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “ ইহার নাম কি রাখিয়াছেন ?” - শচীন্দ্র বলিলেন, “ অমর প্রসাদ ।” আমি আর সেখানে দাড়াইলাম না । সমাপ্তঃ । No