পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(१जन “म. તન્ત્રો:, ४ ॐ ॐ २ 1) বাঙ্গালি কবি কেন? ইউরোপীয়ের কবিত্বের উপর অনেকট। হতাদর হইয়া উঠিয়াছেন। র্তাহাদের উৎসাহ এবং যত্ন বিজ্ঞানামুশীলনে নিযুক্ত। কাব্যের এইরূপ অযথা অনাদর দেখিয়া ইউরোপীয় পণ্ডিতমণ্ডলীর মধ্যে কেহ কেহ দুঃখ প্রকাশ করিতেছেন। সে দিবস একজন ইংলওঁীয় পণ্ডিত বলিতেছিলেন,—বিজ্ঞানের অনুশীলন কর, তাহ বাঞ্ছনীয় ; কিন্তু তাই বলিয়া জড়-প্রকৃতিকে সারসৰ্ব্বস্ব করিয়া তুলিতেছ কেন? মনুষ্যের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত, সুতরাং যেমন বুদ্ধিবৃত্তির, তেমনি হৃদয়েরও অমুশীলন হওয়া কর্তব্য । ইউরোপে তাহা হইতেছে না। আমাদিগের দেশেও তাহা হইতেছে না। ইউরোপ একদিকে ছুটিতেছে ; আমরা তাহার বিপরীত দিকে যাই, তেছি । প্রাচীন গ্রীসে যে কয়েকটি রস কাব্যের আধার বলিয়া পরিগণিত ছিল, আধুনিক ইউরোপেও তাহাই আছে ; কিন্তু প্রাচীন গ্রীসের পাঁচটি ভূতের স্থানে এক্ষণে পয়ষ িট্টটা দেখা ब्रिां८छ् । আমাদের দেশে ঠিক ইহার বিপরীত । প্রাচীন ভারতে যে পাঁচটি ভূত ছিল, এখনও সেই ক্ষিত্যপতেজোমরুদ্ব্যেম আছে, কিন্তু রসের যারপর নাই ছড়াছড়ি। মূলরসের সংখ্যা বৃদ্ধি হয় নাই বাঙ্গালি কবি কেন ? বটে, কেননা যাহা প্রাচীন এবং সংস্কৃত ভাষায় লিখিত, তাহার উপর বাক্যব্যয় করা হিন্দুসন্তানের পক্ষে পঞ্চ মহাপাতক মধ্যে গণ্য ; কিন্তু শাখা প্রশাখার বিলক্ষণ বিস্তার হইয়াছে। প্রাচীন ভারতে নয়টি রস ছিল । শান্তিরস তাহার মধ্যে একটি। সেই শান্তিরসের একটি শাখা,ভক্তিরস । আমাদের দেশে এখন এক ভক্তিরসই চৌষট্টিবিধ।* | ইউরোপীয়ের প্রাচীন রসেই সন্তুষ্ট ; যত কারিগরি, তাহ ভূতের উপর । আমরা প্রাচীন ভূতেই সন্তুষ্ট; কারিগরি কেবল রস লইয়া । ইউরোপে কেবল বিজ্ঞান—কেবল অন্নজন, জলজন, আর যবক্ষারজন ; আমাদের দেশে কেবল রস, কেবল কল্পনা, কেবল কবিত্ব—কেবল নিৰ্ম্মল চন্দ্রিক আর প্রফুল্ল মল্লিক, কোকিলের কুজন আর ভ্রমরের গুঞ্জন, কবরীভূষণ আর কাচলিকষণ, বিরহিণী বালা আর যৌবনের জালা । কল্পনার এইরূপ অযথা অমুশীলন এবং বুদ্ধিবৃত্তির এইরূপ অযথা অনাদর দেখিয়া অনেকে ভীত । বিজ্ঞান২ করিয়া অনেকে মাথা কপাল ভাঙ্গিয়া মরিতেছেন, তবু বিজ্ঞান হয় না। আবার * কল্পনায় আর প্রয়োজন নাই, অনুগ্রহ করিয়া ইতি করা বলিয়া গলা ভাঙ্গিতে

  • হরিভক্তিরসামৃত সিন্ধু দেখ।

கைகணக.கணகண்கூ 월