পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चळ ф е е বৌদ্ধ মত ও তৎসমালোচন । -* অবগত হইয়া বোধিসত্ত্ব, ঐ হেতু ক বের উচ্ছেদ চিস্তায় নিমগ্ন হইলেন এবং তৎক্ষণাৎ তাহার মনে হইল যে “অবিদ্যায়। মসত্যং সংস্কারা ন ভবস্তি অবিদ্যা নিরোধাৎ সংস্কারনিরোধঃ । ংস্কার নিরোধাদ্বিজ্ঞাননিরোধঃ । যাবজ্জাতি নিরোধাজ্জরা মরণ শোক পরিজেব দুঃখ দৌৰ্ম্মমস্তেীপায়াংশ নিরুধান্তে । এবমস্ত কেবলন্ত মহতো দুঃখ স্কন্দস্ত নিরোধে ভবতীতি । ইতিহি ভিক্ষবো বোধি সত্ত্বস্ত্য পুৰ্ব্ব মশ্রতেষু ধৰ্ম্মেযুযোৎনিশো মনশিকো বা দ্বহুলোকারাঞ্জান মুদ্রপাদি চক্ষুরূদপাদি-বিদ্যোদপাদি ভূবিরুদপাদি— মেঘোদপাদি প্রজ্ঞোদপাদি আলোকঃ প্রাচুর্বভূব-অবিদ্যাকে নিরোধ করিতে পারিলে সংস্কার নিরুদ্ধ হয়, সংস্কার ! নিরুদ্ধ হইলে বিজ্ঞানোৎপত্তি নিরুদ্ধ হয় ; এইরূপ ক্রমে সমস্ত দুঃখ স্কনা নিরুদ্ধ হইতে পারে। অতএব ছ:প নিরোধের নাম নিৰ্ব্বাণ । নিৰ্ব্বাণ ছটলে সুখ দুঃখাদি থাকে না, আত্মাও থাকে না, একবারে অভাব হইয়া যায়। শাক্য সিংহ এইরূপ চিস্তার চরম ফল প্রাপ্ত হইলেন এবং তিনি “জর মরণ বিঘাতী । ভিষশ্বর” বলিয়া খ্যাত হইলেন। ভারতবর্ষায় আর্য দার্শনিক দিগের মধ্যে যেমন জগতের মূল তত্ব কোনমতে ২৫, কোন মত্তে ১৬, কোন মতে ৭— তেমনি পুরাতন বৌদ্ধদিগের মতে জগতের মূলতত্ত্ব ২, চিত্ত ও ভূত। চিত্ত হইতে পঞ্চ স্কন্ধাত্মক চৈত্তপদার্থ, ভূত মতে হইতেছে । ! मCश् । হইতে ভৌতিক পদার্থ, এই উভয়বিন্ধ পদার্থ দ্বারা বাহ ও অভ্যস্তর ঘটিত সমস্ত ব্যবহার নিম্পন্ন হইতেছে। “ ভূতং ভৌতিকং চিত্তং চৈত্তঞ্চ” (শঙ্করাচাৰ্য্যন্থত বুদ্ধ ৰাক্যং) “খর স্নেহোষ্ণেরণস্বভাবাস্তে পৃথিবী খাম্বাদয়শচত্বারঃ ** বুদ্ধদেবের মতে ভূত এট, ইনি মূল পদার্থকে ধাতু শব্যে উল্লেখ করিতেন। তদনুসারে পৃথিবী ধাতু, আপ্যধাতু, তেজোধাতু বায়ুধাতু। এই চারি প্রকার ধাতু অর্থাৎ পরমাণু সত্তা বৌদ্ধদিগের আকাশ কোন পদার্থ আবরণভাব অর্থাৎ যেখানে কিছু নাই, সেই অবকাশময় স্থানের নাম আকাশ, তাহা কোনও পদার্থ নহে। উক্ত চারি প্রকার ধাতু অর্থাৎ পরমাণুর স্বভাব ভিন্ন ভিন্ন। পৃথিবী ধাতু খর অর্থাৎ কঠিন স্বভাব। পৃথিবীর স্বভাবেই বস্তুতে কাঠিন্য জন্মে। আপ্যধাতু স্নেহ স্বভাবাপন্ন তেজোধাতু উষ্ণস্বভাব বায়বীয় পরমাণু ঈরণ অর্থাৎ চলনশীল। । “অন্যদপি স্বভাব্যমন্তর শ্রতেষামূ” উক্ত । ঐ প্রকার স্বভাবাপন্ন ৪ প্রকার ধাতুর অন্য প্রকার স্বভাবও অাছে । তাছু। আকর্ষণ, বিকর্ষণ, বিক্রিয়া ধৰ্ম্মবত্তাদি অনেক প্রকার । এই ৪ প্রকার পরমাণু রাশির নুনাধিক ও তারতম্য ভাবে সংহত হওয়ার নাম স্থল স্থষ্টি । ইহা ভূত হইতে জন্মলাভ করে বলিয়া ভৌতিক নামে অভিহিত হয় । এইরূপে ভূত اه ۹۰ د : rt به بa)