পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a3ఱ কৃষ্ণকাস্তের উইল । ৰঙ্গ দশম ফাঃ ১২৮২ ) কৃষ্ণকাস্তের উইল । নবম পরিচ্ছেদ । সেই অবধি নিত্য কলসী কক্ষেরোহিণী বারুণী পুষ্করিণীতে জল আনিতে যায় ; নিত্য কোকিল ডাকে, নিত্য সেই গোবিন্দলালকে পুষ্পকাননমধ্যে দেখিতে পায়, নিত্য সুমতি কুমতিতে সন্ধিবিগ্ৰহ छेउग्नहें यल्लेन झञ्च । বিবাদ বিষম্বাদ মমুষ্যের সহনীয় ; কিন্তু সুমতি কুমতির সম্ভাব অতিশয় বিপত্তি সুমতি কুমতির জনক । তখন সুমতি কুমতির রূপ ধারণ করে, কুমতি সুমতির রূপ ধারণ করে। সুমতি কুমতির কাজ করে, কুমতি সুমতির কাজ করে । তখন কে সুমতি কে কুমতি চিনিতে পারা যায় না। লোকে সুমতি বলিয়া কুমতির বশ হয় । যাই হউক,কুমতি হউক সুমতি হউক, গোবিন্দলালের রূপ রোহিণীর হৃদয়পটে দিন দিন গাঢ়তর বর্ণে অঙ্কিত করিতে লাগিল । অন্ধকার চিত্রপট-উজ্জ্বল চিত্র । দিন দিন চিত্র উজ্জলতর, চিত্রপট গাঢ়তর অন্ধকার হইতে লাগিল । তখন সংসার তাহার চক্ষে—যাক্ আমারপুরাতন কথা তুলিয়া কাজ নাই। রোহিণী, সহসা গোবিন্দলালের প্রতি মনে মনে, অতি গোপনে প্রণয়াসক্ত হইলেন। কেন যে এতকালের পর, তাহার এ দুর্দশা হইল, তাহ আমি বুঝিতে পারি

  • శాāiతఙఱ

না, এবং বুঝাইতেও পারি না । এই রোহিণী এই গোবিন্দলালকে বালককাল হইতে দেখিতেছে—কখন তাহার প্রক্তি রোহিণীর চিত্ত আকৃষ্ট হয় নাই। আজি হঠাৎ কেন ? জানি না। যাহ২ ঘটিয়াছিল, তাহা তাহ বলিয়াছি—সেই দুষ্ট কোকিলের ডাকাকাকি, সেই বাপীতীরে রোদন, সেই কাল, সেই স্থান, সেই চিত্তভাব,তাহার পর গোবিন্দলালের অসময়ে করুণা—আবার গোবিন্দলালের প্রতি রোহিণীর বিনাপরাধে অদ্যায়ীচরণ –এই সকল উপলক্ষে কিছুকাল ব্যাপিয়া গোবিন্দলাল রোহিণীর মনে স্থান পাইয়াছিল। তাহাতে কি হয় না হয়, । তাহা অামি জানি না,-আমি যেমন ঘটিয়াছে তেমনি লিখিতেছি । রোহিণী অতি বুদ্ধিমতী, এক বারেই বুঝিল যে,মরিবার কথা। যদি গোবিন্দলাল ঘূণাক্ষরে এ কথা জানিতে পারে, তবে কখন তাহার ছায়া মাড়াইবে না । হয় ত গ্রামের বাহির করিয়া দিবে। কাহারও কাছে, এ কথা বলিবার নহে । রোহিণী অতি যত্নে, মনের কথা মনে লুকাইয়া রাখিল । কিন্তু যেমন লুক্কায়িত অগ্নি ভিতর হইতে দগ্ধ করিয়া আইসে, রোহিণীর চিত্তে তাহাই হইতে লাগিল। জীবন ভার বহন করা, রোহিণীর পক্ষে কষ্ট