পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - - ع. تحت------------sصيبسمa= ( ه » د د ,:fn , :rt- = به د ) বেদ । ●*> চুদোহ যজ্ঞ সিদ্ধার্থ মৃগযজুঃ সামলক্ষণং। অর্থাৎ—“ তিনি (ঈশ্বর) যজ্ঞ কাৰ্য্য সিদ্ধির নিমিত্ত অগ্নি হইতে সনাতন ঋকৃ বেদ, বায়ু হইতে যজুৰ্ব্বেদ, এবং স্থৰ্য্য হইতে সামবেদ উদ্ধত করিলেন { উপনিষদের সময় চারি বেদ প্রচলিত ছিল, যথা‘তস্যৈতস্য মহতোভূতস্য নিশ্বসিত মেতদ্যদুগ্বেদে যজুর্বেদঃ সামবেদে থৰ্ব্বাঙ্গিরস ইত্যাদি’ অর্থাৎ প্রস্তাবিত পরমাত্মা হক্টতে নিশ্বাস যেমন পুরুষের প্রযত্ন ব্যতীত বহির্গত হয়, সেইরূপ ঋক্, যজু, সাম, অথৰ্ব্বাঙ্গি য়স প্রভৃতি শাস্ত্রও নির্গত হইয়াছে । পৌরাণিক কালে ঋক্, যজু, সাম, অথৰ্ব্ব চারি বেদই প্রচলিত ছিল, এজন্য মহাভারত, বিষ্ণুপুরাণ, মার্কণ্ডেয় পুরাণ, ভাগবত, হরিবংশ প্রভৃতি গ্রন্থে এই চারি বেদের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া ষায় । বেদসমূহ মন্ত্র ও ব্রাহ্মণাত্মক।. মন্ত্রগুলি সংহিতা বদ্ধ হইয়া আছে, অবশিষ্ট ব্রাহ্মণ । মন্ত্রভাগ পদ্যে ও ব্রাহ্মণভাগ গদ্যে রচিত। ব্রাহ্মণ শব্দের অর্থ বেদের ব্যাখ্যা যথা পাণিনি “ ব্রাহ্মণে বেদস্য ব্যাখ্যানম” এই প্রমাণে স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে, অগ্রে মন্ত্রভাগ ও তৎপরে ব্রাহ্মণভাগ রচিত হইয়াছিল, কেন না ব্যাখ্যা পরেই হইয় থাকে। + পণ্ডিত ভরতচন্দ্র শিরোমণি কর্তৃক অনুবাদিত । মনু সংহিতা ১২ পৃষ্ঠা । বেদবাক্য সকল তিন শ্রেণীভূক্ত। ; লৌকিক লাক্য সকল যেরূপ পদ্য, গদ্য, . গীত, এই তিন প্রকার ভিন্ন চারি প্রকার নাই । বেদেও সেইরূপ পদ্য গদ্য গীত এই তিন শ্রেণীর রচনা আছে । গুলি ঋক্, গদ্য ভাগ যজুঃ, ও গীত ভাগ সাম যথা–জৈমিনী হুক “ তেষা : মৃগয়ত্রার্থীশেনপাদব্যবস্থা” “ গীতিষু | ੋ । আর একটি নাম নিগদ অর্থাৎ গদ্য । অথৰ্ব্ব বেদের স্বতন্ত্র কোন লক্ষণ নাই, : সামাখ্যা” “শেষে যজুঃ শব্দঃ ” অপর তিন বেদের কোন ২ অংশ লইয়া অথৰ্ব্ব নামক ঋষি ইহা প্রচার করেন । এই বেদ বাগ যজ্ঞের উপকারী নহে, ইহা সাংসারিক ব্যবস্থার উপকারী “ অর্থৰ্ব্বে দেবানাং প্রথম সস্তৃব” ইত্যাদি উপনিষৎ চর্চা করিলে প্রতীত হইবেক । জৈমিনী বেদকে পৌরুষেয় অর্থাৎ ৷ পুরুষ নিৰ্ম্মিত বলেন না, ঈশ্বর নিৰ্ম্মিতও | নহে । তাছার মতে বেদের নিৰ্ম্মাত৷ কেহ নাই। শব্দ অর্থ ও তুছভয়ের সম্বন্ধ । মনুষ্যের । (বোধ্য বোধক ভাব) নিত্য । কণ্ঠে যে শব্দ হয় তাহা ধ্বনি মাত্র,তাহার নিত্যতা নাই । ধবনি সকল অনিতা । আমরা বাস্তবিক শব্দের রূপ বিশেষ আবির্ভাব করিবার জন্য ধ্বনিমাত্র করিয়া থাকি। এই ধ্বনি দেশ, কাল, পাত্র ও প্রযত্ন ভেদে, মকুষ্যের বাক্ যন্ত্রের তারতম্যহেতু, শব্দ প্রকাশক সঙ্কেত ধ্বনি ভিন্ন২ প্রকার হুইয়া যায়। আমি ললিলাম লবণ, একজন বলিল লুণ, জার পদ্য