পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰাশন, চৈঃ ১২৮২ । ) জৈমিনির মতে দেবতা নামক কোনও জৈব পদার্থ নাই। “ইন্দ্র” এই শব্দই দেবতা । তদ্ভিন্ন • “ইন্দ্র” এই শব্দের অর্থ সহস্রাক্ষাদি যুক্ত কোন জীব নাই । যাগ কালের দ্রব্য ত্যাগের উদ্দেশ্য ভূত দেবতার “ইন্দ্রীয় স্বাহ৷” এই মন্ত্র মাত্র । মীমাংসা দর্শনের ষষ্ঠাধ্যায়ে ইহার একপ্রকার বিচার করা হইয়াছে। “ ফলtথাৎ কৰ্ম্মণঃ শাস্ত্ৰং সৰ্ব্বাধিকারং স্তাৎ’ ইত্যাদি স্বত্র দ্বারা দেবতাদিগের যাগযজ্ঞ করার অধিকার নাই,ইহা প্রতিপাদন করা হইয়াছে। দেবতাদিগের কোন প্রকার বিগ্রহ নাই। এই অংশে জৈমিনী যে সকল যুক্তি প্রদর্শন করিয়াছেন,তাহা বলা যাইতেছে। স্কৃত প্রভৃতি দ্রব্য যেমন যাগের একটি অঙ্গ, দেবতাও তদ্রুপ একটি যাগের অঙ্গ যাগকালে দেবতাদিগকে আহবান করিতে হয়, যদি দেবতা শরীরী হন, তবে তাহাদিগের আগমনকালে যজমানের প্রত্যক্ষ হওয়া উচিত, আয় যদি তাহার। মহিমাবলে অন্মদাদির অপ্রত্যক্ষ হইয়া অবস্থান করেন এমত হয়, তথাপি এক সময়ে বহু লোক যাগ করিতেছে এবং সকলেই এককালে আহবান করিয়াছে, তাঁহাতে মুসারে তাছাকে সৰ্ব্বক্সই অধিষ্ঠান থাকা கை: তাহার অন্যত্র গমন অসম্ভব এবং শাস্ত্রা (t ૨? سیب مجبیسبیده جای পূর্ব প্রকাশিতের পর । । উচিত কিন্তু তাহা হইবার সম্ভাবনা নাই, আর যদি মন্ত্রই দেবতা হয়, তবে যে যে | স্থলে যাগ করুক না কেন, “ইন্দ্রীয় । স্বাহ৷” এই মন্ত্র উচ্চারণ করিলেই যজ্ঞ সিদ্ধি হইবেক । “বজ্র হস্তে পুরন্দরঃ” ইত্যাদি শাস্ত্র বাক্য সকল স্তুতিবাক্য মাত্র। জৈমিনি এইরূপ দেবতা ও যজ্ঞ সম্বন্ধে অনেক তর্ক বিতর্ক করিয়াছেন, তাহা আধুনিক রুচির সম্পূর্ণ বিপরীত, এজন্য গ্রহণ করিলাম না । সোমলতার উল্লেখ বেদমধ্যে বিশেষ রূপে দৃষ্ট হইয়া থাকে। ঋষিগণ সোমের স্তুতি করিয়াছেন, তাহার রস স্বয়ং পান করিয়াছেন ও দেবতাগণকে অপর্ণ কবত পরমানন্দ উপভোগ করিয়াছেন। বেদে লিখিত আছে সোমলতার রস তৃপ্তিকর, হর্ষজনক এবং অতি মধুর। সোমলতা : পাৰ্ব্বতীয় লতা বিশেষ । সামবেদীয় ষড়বিংশ ব্রাহ্মণে এক আখ্যায়িকায় উক্ত হইয়াছে, যে, সোমলতা পৃথিবীমধ্যে আর উৎপন্ন হয় না, এজন্য সোম যাগ প্রতিনিধি দ্রব্য দ্বারা সম্পন্ন করিতে । হইবেক । এক্ষণে পুনা প্রভৃতি স্থান হইতে যে সোমলতা আনীত হয় তাহা । বৈদিক কালের প্রকৃত সোমলতা নহে । কিন্তু সেই জাতীয় বটে। সংস্কৃত:

  1. Asclepias acida.
  • ALLA