পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| (3)e বেদ । டினா ?ந: , டிசs ) বিদ্যাবিশারদ হেগ সাহেব এই লতার আস্বাদ অতীব তিক্ত, গন্ধযুক্ত এবং মত্ততাকারক লিখিয়াছেন । কিন্তু বেদে ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত বর্ণনা দৃষ্ট হইয়। থাকে । তাহীতে লিথিত আছে সেমি লতার রস সুমিষ্ট, মাদক ও অত্যন্ত হর্ষজনক যথা ঋগ্বেদ –“ধৎসালোঃ সালু মারুহৎভূৰ্য্য স্পষ্ট কত্বং । চেততি যুথেন বৃষ্টি রেজতি।” যৎকালে যজমান সকল সোমবল্পী আহরণের নিমিত্ত্ব এক পৰ্ব্বতশিখর হই, তে শিখরান্তরে আরোহণ করেন, তখনই তাহাদিগের সোম-যাগ আরস্ত করা হয় । ইন্দ্র তৎকালে যজমানের প্রয়োজন বুঝি তদিন্দ্রোহুর্থ য় তাহীদের যজ্ঞস্থলে আগমন করেন । “ প্রবো মিয়ন্ত ইদং বোমৎসয়া মাদ য়িষ্ণবঃ। দ্রপ্স। মধ্বশ মুষদঃ ” (১ম, ২৬ ব, ৪ অনুবাক ১৪ স্থত্ত) হুে ইন্দ্র আদি দেবগণ ! আপনাদের নিমিত্ত উৎকৃষ্টরূপে সোম সম্পাদন করা হইতেছে, ইহা অত্যন্ত তৃপ্তিকর, হর্ষের হেতু, বিন্দুই করিয়া নিষ্কাসিত, অতি মধুর এবং চমূ অর্থাৎ পাত্রবিশেষে অব স্থিত আছে । মধু” অর্থাৎ হে অশ্বিনী কুমার মধু মাধুর্যা গুণবিশিষ্ট সোম পান কর । এইরূপ সৰ্ব্বত্রই বেদে সোমের মিষ্টতা বর্ণনা আছে, বিশেষ ১৯ বর্গ সোমস্থত্ত নামক ঋক্ সমূহে, সোমের মিষ্টাস্বাদ বর্ণনা করা : f Ait. Br. vol. II, p. 439. পুনশ্চ, “ অশ্বিনেী পিবতং । হইয়াছে। সোমের রস ছন্ধের ন্যায় ও গাঢ় যথা “ সন্তে পয়াংসি সমুচন্তু বাজা” অর্থাৎ হে সোম! তোমার পূৰ্ব্বোক্ত গুণ যুক্ত পয় অর্থাৎ ক্ষীর সকল তোমাকেই প্রাপ্ত হউক । ইহার বর্গ সম্বন্ধে এই মাত্র উক্ত হইয়াছে “রাজ্ঞোমুতে বরুণষ্ঠ লতানি বৃহস্পতিবং তব সোম ধাম—” অর্থাৎ হে সোম! তুমি রাজমান বরুণের ন্যায়, তোমার তেজ অতি বিস্তীর্ণ এবং গাম্ভীৰ্য্যযুক্ত । ইহাতে এই মাত্র অনুভব হইতেছে যে সোমের বর্ণ জলের ন্যায় শুভ্ৰ । সোমলতার আকার পুতিক + (পুই শাকের মত) লতার সদৃশ হইবার সম্ভাবনা, কেন না সোমলতার অভাবে পুতিকা লতার বিধান আছে—“ সাদৃষ্ঠে প্রতিনিধিঃ” শাস্ত্রকারের কোন বস্তুর অভাব হইলে তৎসদৃশ বস্তুস্তরের গ্রহণ । বিধান করিয়াছেন। সোমাভাবে পূতিকা । বিধি যথা— “সোমাভাবে পূতিকানভিযুহুয়াৎ” (শ্ৰুতিঃ) যড়বিংশ ব্রাহ্মণ প্রভৃতি ব্রাহ্মণ গ্রন্থে সোমাভাব স্থলে পুতিক বিধানের অনেক বাক্য আছে । - সোমতস্তু অর্থাৎ অভ্যস্তরে আঁশযুক্ত লতা ৰাথী--- আপ্যায় স্বমন্দিতম সোম বিশ্বেভিবংশুভিঃ।। ভরানঃ সুশ্র বস্তম: সথাৰুষে । (১৪ অ. ১৯ স্বাক) f Guilandina Bonduc. .