পাতা:বঙ্গদর্শন-তৃতীয় খন্ড.djvu/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a-*-*-* বঙ্গ দশম, পোঃ, ১৯৮১ ) জাতিভেদ । ৪১৩ তেও তাহ প্রকৃষ্ট রূপে বদ্ধমূল হইতে পারে নাই। পরিশেষে দুইটা কথার প্রতি লক্ষ্য করা আবশ্যক (১) জাতিভেদ মঙ্গল জনক নহে (২) প্রকৃতি সহজে পরিবর্তন হইবার মহে। অতএব জাতিভেদ নিৰ্ম্মল করিবার জন্ত উৎসাহিত হইবার সময়ে স্মরণ করা কৰ্ত্তব্য যে এই উদ্যমে সহস! ফললাভ করিবার সম্ভাবনা নাই । বৈষ্ণব খ্ৰীষ্টান ও ব্রাক্ষগণ এই চেষ্টাতে নিযুক্ত হইয়া কেবল তিনটী নুতন বর্ণ সংস্থাপন করিয়াছেন । জাতিভেদবিশিষ্ট সমাজের সহিত বিবাদ করিলে উভয় পক্ষেই ধারাবহন প্রকৃতি বরং বদ্ধমূল হইবেক । অতএব স্বানুবৰ্ত্তিত। অভাবে কেবল সংকল্প করা বৃথা । কিন্তু যদি কোন প্রথা দুরাকৃত করিলে জাতিভেদ অপনীত হইবার সম্ভাবনা থাকে তবে সেই প্রথ। বালিকাবিবাহ । উন্নতিপ্রিয় ব্রাহ্মগণও কেমন ধারাবহন প্রকৃতিতে আচ্ছন্ন তাহ এই কথাতে ব্যক্ত হইবেক যে তাহারা বিস্তুর যত্ন করিয়া বিবাহ বিষয়ে মূান বয়সের এক আইন করিয়া লইয়াছেন। তাহাদিগের এবং সকল সমাজসংস্কারকের স্থল উদেশ্য এই যে বিবাহ বিষয়ে লোকের যতদূর সম্ভব স্বাধীনতা বৰ্দ্ধিত হউক, কিন্তু যেন ব্যভিচার বৃদ্ধি না ঘটে। শাস্ত্রকারের যে অভিসন্ধিতেই হউক, এই سدصصصصخضخمة নিয়ম করিয়াছিলেন যে এত বয়সের মধ্যে সকল কন্যার বিবাহ দিতেই হইবেক । ইহাতে স্বাধীনতার ব্যাঘাত হইয়াছিল, কারণ, কেহ বয়ঃক্রমের উদ্ধ সীমা অতিক্রম করিতে পারিতেন না এবং কন্যাগণ পিতা মাতার গলগ্ৰহ হইয়া উঠিলেন। অতএব এই নিষেধ মুক্ত করিলেই যথেষ্ট । কিন্তু ব্রাহ্মগণ ধারাবহন প্রকৃতির বশবর্তী হইয়া শাস্ত্রকার দিগের উদ্ধ সংখ্যার স্থলে একটা নূ্যন সংখ্যা প্রবর্তন করিতে যত্ন পাইয়াছিলেন কিন্তু তাহাতেও প্রকারান্তরে স্বাধীনতার বিস্ত্র হয় । মানব মনের প্রকৃতিই এই রূপ যে একটার স্থলে আর একটা প্রথা স্থাপন না করিলে যেন ফাকই বোধ হয়। আমাদিগের সমাজ এখন শাস্ত্রীয় নিয়ম করির আচার ব্যবহারের পরিবর্তন চেষ্ট । উল্লঙ্ঘন করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। এখন কন্যার বিবাহ না দিলে নয় এই সংস্কার বিনষ্ট হইলে অনেক উন্নতির সোপান হইবেক । কন্যার বিবাহ দেওয়া কঠিন বলিয়। আমরা লোকমুখে অনেক আক্ষেপ শুনিয়া থাকি । কিন্তু র্যাহার। আক্ষেপ করেন, বোধ হয়, তাহারা বিপরীত অবস্থার প্রতি সম্যক্ রূপে লক্ষ্য করেন না । পূৰ্ব্বে পুত্রসন্তানের সংখ্যাধিক্য জন্য অথবা কৌলীন্য মৰ্য্যাদা হেতুক কিম্ব অন্য যে কারণেই হউক কন্যার বিবাহু দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ ছিল । তাহার ফল এই হইয়াছিল যে পঞ্চম বৎসর অতীত হইবার পূৰ্ব্বেই অনেক কন্যার বিবাহ