go ੋੜ੍ਹਾਂ 8ઝર কমলাকাস্তের দপ্তর } (বঙ্গদর্ণম,ফাঃ ১২৮১ । इंहेब्राष्ट्रिश–७क अन्नब यछ झनस्तत्व अछ হইয়াছিল—সেই হৃদয়ে হৃদয়ে সংঘাতহৃদয়ে হৃদয়ে মিলন, ইহা মনুষ্য জীবনের স্বখ। ইহজন্মে মনুষ্যহৃদয়ে একমাত্র তৃষা, অন্যহৃদয় কামনা। মনুষ্য হৃ} দয় অনবরত হৃদয়ান্তরকে ডাকিতেছে, “ এসো এসো বঁধু এসে ” ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র | প্রবৃত্তি সকল শরীর রক্ষার্থ—মহতী প্রবৃত্তি সকলের উদেহু “এসে এসো বঁধু এসো ।” তুমি চাকরি কর, খাইবার জন্য---কিন্তু ঘশের আকাজক্ষা কর, পরের অনুরাগ লাভ করিবার জন্য—জনসমাজের হৃদয়কে তোমার হৃদয়ের সঙ্গে মিলিত করিবার জন্ত। তুমি যে পরোপকার কর সে পরের হৃদয়ের ক্লেশ আপন হৃদয়ে অনুভূত কর বলিয়া । তুমি যে রাগ কর, সে তোমার মনোমত কাৰ্য্য হইল না বলিয়, হৃদয় হৃদয়ে আসিল না বলিয়া । সৰ্ব্বত্র এই রব—“এসো এসে বঁধু এসে।” সৰ্ব্ব কৰ্ম্মের এই মন্ত্র,“এসে এসো বঁধু এসো।” জড় জগতের নিয়ম আকর্ষণ। বৃহৎ গ্রহ, উপগ্রহকে ডাকি তেছে “ এসে এসে বধু এসো।” লেীর পিগু বৃহৎ গ্রহকে ডাকিতেছে, “ এসো এসো বঁধু এসো।” জগৎ জগদম্ভরকে ডাকিতেছে “ এসে এসে বধু এসে ” পরমাণু পরমাণুকে অবিরত ডাকিতেছে —“ এসে এসো বঁধু এসো” জভূপিও সকল; গ্রহ, উপগ্রহ ধূমকেতু—সকলেই প্রকৃতি, পুরুষকে ডাকিতেছে - এসো দ্বর্থে শান্তিপুরে কলকাদার আঁচলের এই মোহমস্ত্রে বাধা পড়িয়া ঘুরিতেছে। এসে বধু এসো—আধ আঁচরে বসে।” এসে বধু এসে ” জগতের এইগম্ভীর। অবিশ্রাস্ত ধ্বনি—“এসে এসে বধু এসো।” কমলাকাস্তের বঁধু কি আসিবে! আধ অচিরে বসে। * এই তৃণশল্পসমাচ্ছন্ন, কণ্টকাদিতে ক- ; কঁশ সংসারারণ্যে, হে বাঞ্ছিত! তোমাকে g আর কি আসন দিব, আমার এই হৃদয়বয়ণের অৰ্দ্ধেকে উপবেশন কর । তোমার দুঃখ, তোমার কুশ কণ্টকাদি আচ্ছাদন জন্ত আমি এই আপন অঙ্গ অনাবৃত করিতেছি—আমার আঁচরে বসো । যাহাতে আমার লজ্জারক্ষা, মানরক্ষা, যাহাতে আমার শোভা, হে মিলিত ! তুমিও তাহার অৰ্দ্ধেক গ্রহণ কর—আধ আঁচরে বসে । হে পরের হৃদয়, হে সুন্দর, হে মনোরঞ্জন, হে সুখদ । কাছে এসো, আমাকে স্পর্শ কর, আমি তোমাতে সংলগ্ন হইব,—দূরে আসনগ্রহণ করিও না--এই আমার শরীরলগ্ন অঞ্চলান্ধে বসে। হে কমলাকান্ত ! হে দুর্বি নীত ! হে আজন্মবিবাহশূন্ত, তুমি এত আধখানা বুঝিও না । তুমি যে অঞ্চলান্ধে বসিবে, তাহার তাতি আজিও জন্মে নাই। \ মনের নগ্নত্ব জ্ঞানবস্ত্রে আবৃত ; অৰ্দ্ধেকে তোমার হৃদয় আবৃত রাখ, অৰ্দ্ধেকে বাঞ্ছিতকৈ বসাও। তুমি মুর্থ—তথাপি তোমার অপেক্ষ মুখ যদি কেহ থাকে তাহাকে ডাক—“এসে
