পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:१७ f भधूमउँौ | * (बन्नगर्भम, रेंज*, ०२४० ! কেবল মাত্র ঈষৎ চঞ্চল হইলেন, যেমন চক্ৰোদয়ে সাগর চঞ্চল হয়, সেইরূপ চঞ্চল কুইলেন। করালীপ্রসন্ন মধুমতীকে শীর্ণ দেখিয়া আতি ব্যস্তে জিজ্ঞাসা করিলেন “কি হইয়াছে ? কেন এত শীর্ণ হইয়াছ?” মধু মতী উত্তর করিল না । করালী পুনঃ২ জিজ্ঞাসা করাতে কহিলেন “কিছু হয়নাই,” করালী তথাচ কহিল, “ কেন আমন হইয়াছ, আমাকে বলিবে না?” মধুমতী নীরব হইয়া রহিলেন, করালী অতি কাতরস্বরে কহিল, “যাহাকে এক মূহুর্তের জন্য না দেখিলে কাদিতে তাহার নিকট পীড়া গোপন করিতেছ।” মধুমতী কোন উত্তর দিলেন না। করালী ব্যথিত হইয়া বসিয়া পড়িলেন। মধুমতী করালীর মুখপ্রতি চাহিলেন, এবং দেখিলেন যে, তাহার মুখমণ্ডল রক্তিমাবর্ণ হইরাছে, এবং চক্ষু | ছল ছল করিতেছে। মধুমতী তথাপি কিছু বলিলেন না। করালী অনেকক্ষণ অবধি সেইখানে বসিয়া মধুমতীর প্রতি চাহিয়া রছিলেন এবং অনেক অনুনয় বিনয় দ্বারা তাহার প্রতি ভাবান্তরের কারণ জা. নিতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু মধু মতী ক্ৰক্ষেপও করিলেন না । করালী ব্যথিত ও দুঃখিত হইয়া আপন শয্যা গৃহে যাইয়া উপাধানে মুখ লুকাইয়া রহিলেন। বোধ হয় কাদিতে লাগিলেন । রাত্র প্রায় হুই প্রহর একটা হইয়াছে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়াতে অতি গাঢ় SAASAASAASAASAAMAMMMAMMMA SAMMAAASAAA S -------------------- অন্ধকার হইয়াছিল। পৃথিবী নিঃশব্দ, করালীপ্রসল্পর বৃহৎ অট্টালিকাও নিঃশব্দ, { কিন্তু এত গভীর রাত্রে করালীপ্রসন্ন দুরনিঃস্থত মনুষ্য পদধ্বনি শুনিতে পাইলেন। করালী কিছু বিস্থিত হইলেন, পদশৰা ক্রমে নিকটবৰ্ত্তী হইল। করালী একবার ভাবিলেন চোর আসিয়াছে। আবার ভাবিলেন যে, তাহার ভ্রম মাত্র, কিন্তু পদশব্দ এত স্পষ্ট গুনাযাইতে লাগিল যে, করালী উtহার ভ্রম মনে করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিলেন না—ত্বরায় দ্বারোদঘাটন পূৰ্ব্বক বাহিরে চতুর্দিক অন্বেষণ করিলেন। কিন্তু কিছু দেখিতে পাইলেন না । নিশ্চেষ্ট হইয়া গৃহে প্রত্যগমন করিলেন। কিন্তু দ্বার বন্ধ করিবামাত্র আ- | বার পদশব্দ শুনিতে পাইলেন । ‘ हि | হইয়া গৃহমধ্যদেশে দাড়াইয়া শুনিতে । লাগিলেন, হঠাৎ শব্দ থামিল, এবং তৎপরক্ষণেই গবাক্ষপথে শ্মশ্রীবিশিষ্ট এক | বৃহৎ মনুষ্যমস্তক দেখিতে পাইলেন। অতি ক্ৰত দ্বারোদঘাটন পূর্বক বাহিরে গেলেন। কিন্তু কিছুই দেখিতে পাইলেন না । করালীপ্রসল্লের দুই মহল অন্তঃপুর উভয় মহল আলো লইয়া তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিয়া শয়ন কক্ষে ফিরিয়া আসিতেছিলেন, পথি মধ্যে, অন্ধকারে, বোধ হইল, এক জন স্ত্রীলোক দাড়াইয়া আছে । জিজ্ঞাসা করিলেন “ কে ও ?” স্ত্রীলোক কহিল “আমি ।” করালী স্বরে চিনিলেন, মধুমতী । পুনরপি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখানে কেন ?” মধুমতী কছিলেন, “ কাহাকে খুজি