পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশন জৈা, ১২৮s i) झ वि झडिङ्गो* श्रृङ्गानि ।। ८ष ‘कोर्भप्ल প্রাচীন কবির, দৈব চরিত্র মন্থষ্যের সহৃদয়তাম্পদ করিয়াছেন, ইনিও তাহাদিগের প্রদর্শিত প্রথানুসারে সেই কোঁশল অবলম্বন করিয়াছেন । অস্বরগণকে মানব প্রকৃত করিয়া উপাখ্যানের মনোহারিতা সম্পাদন করা যে কৌশল, অনেক কাল হইল পৌরাণিকেরা তাহার উদাহরণ দেখাইয়া গিয়াছেন । কিন্তু এই কবি প্রথমে চণ্ডীর উগ্ৰচণ্ড মূৰ্ত্তিকে মানবমূৰ্ত্তি সদৃশী করিয়াছেন। চণ্ডীকে কেবল মাত্র অতিপ্রকৃত বলবীৰ্য্যের আধার কল্পনা করিয়া অন্তান্ত বিষয়ে, তাহাকে মানবপ্রকৃতিশালিনী করিয়াছেন। উদাহরণ স্বরূপ আমরা কয়েক স্থান উদ্ধৃত করিলাম। কিন্তু এরূপ খণ্ড উদাহরণে প্রকৃত কৌশল কিছুই বুঝা যায় না। তবে রামচন্দ্র বাবুর বর্ণনা শক্তি এবং শব্দ চাতুৰ্য্যও মনোহর, তাহ পাঠকের নিকট পরিচিত করিবার মানসে আমরা এই সকল অংশ উদ্ধৃত করিতে সঙ্কোচ করিলাম না । হেথা মনোরম বেশে ভবেশ ভাবিনী অধিত্যক দেশে ভ্রমে, প্রমোদ কাননে শুম্ভের ;–পশিছে কডু, মধু কুঞ্জ মাঝে, শোভার পিঞ্জরে যেন সুখে শুক পাখী ! কখন তুলিয়া ফুল, আঘ্ৰাণ লইছে। কছু দাড়াইছে গিয়া আলবালোপরি প্রস্রবণু পাশে; মরি জলের ফোয়ারা পাশে, রূপের ফোরারা যেন । কখন বা শিলা পটে বসি ধনী ঈষৎ হাসিছে, কৌতুক আবেগ মৰ্মে সম্বরিতে নারি ; আবার উঠিয়া পুনঃ হেট মুখে দেখে, কুসুমকলিকাকুল কেমনে ফুটিছে । বৃক্ষশাখা ধরি কভু, এক দৃষ্টে চাহে, দুর গত কোকিলের কুহুরব পানে – রঙ্গে একাকিনী ভ্ৰমে উল্লাসে বরাঙ্গী, আপনার ভাবে হয়ে আপনিই ভোর ! হেন কালে আসি দূত, রসিক সুগ্ৰীব, অধরে মধুর হাসি, ভাবে দুলু ঢুলু, দেখা দিলা সে উদ্যানে মনা মন গতি। দেখিয়া তাহারে গৌরী, হাসিলা অস্তরে। ভাবিলা, মায়ার জালে পড়েছে শীকার। ধীরে ধীরে আসি দূত কহিতে লাগিল,— “কি গে। ধনি, কি করিছ, কি ভাবে ভ্ৰমিছ ? আবার এলাম আমি তোমায় দেখিতে । হেট মুখে কি দেখিছ কুসুমের দলে ?— রূপের কি প্রতিবিম্ব পড়েছে উহাতে ? ঈষৎ হাসিছ কেন, আমায় দেখিয়া ; প্রদীপ্ত রবির বিভা মন্দীভূত করি? রূপের সাগর তুমি ; কি রূপ আবার, এক দৃষ্টে চাহি দেখ এদিক ওদিক ?” পুনশ্চ, শুনিয়া চণ্ডের খেদ, লাজে অমুতাপে, মনে মনে তবে সতী, কহিতে লাগিলা, “কি কু কৰ্ম্ম করিলাম? হায় কেন আমি দেবগণ লাগি অস্ত্র ধরি অকারণে " বধিলাম দৈত্যবরে; বীরত্ব রতনে : ফেলিলাম কাল অন্ধকূপে ; কাটিলাম শক্তি রথচক্র; মরি, ভাঙ্গিলাম পুনঃ সে সাহস ধ্বজ,ঘোরতর যুদ্ধঝড়ে ।