পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AAAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S ● २ বহু বিবাহ। " (বঙ্গদর্শন, আৰia, ১২৮, ফেলিয়া দিয়া, ফিরে বাঙ্গালীর মেয়ে সাজিয়া, স্বামীর শ্ৰীচরণ মাত্র ভরসা মনে করিয়া, বিবিয়ান চাল খাট করিয়া আনিবেন। কালভূজঙ্গিনী কুলকামিনীগণ এখন হইতে মুখের বিষ হৃদয়ে লুকাইয়া, কেবল কটাক্ষ বিষকে সংসার জয়ের এক মাত্র সম্বল করিবেন। তাহাদিগের মনে থাকে যেন “সদ্যস্তৃপ্রিয়বাদিনী!”—বিদ্যাসাগর মহাশয়প্রণীত বহুবিবাহ নিবারণ বিষয়ক দ্বিতীয় পুস্তকে এ ব্যবস্থা খু* জিয়া পাইয়াছি । বিদ্যাসাগর মহাশয় বহুবিবাহ নিবারণ জন্ত এই পুস্তক লিখিয়াছিলেন,কিন্তু বঙ্গালীর অদৃষ্ট স্বপ্রসন্ন!—আমাদিগের পূৰ্ব্বজন্মার্জিত পুণ্য অনন্ত! সেইপুস্তকোস্কৃত ধৰ্ম্মশাস্ত্রের বলে, বাঙ্গালী মাত্রেই অসংখ্য বিবাহ করিতে পারিবেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় যে শাস্ত্রকারদিগকে “লোকহিতৈষী” বলিয়াছেন, তাহা সার্থক বটে। এরূপ শাস্ত্রের দোহাই দিয়া কি ফল! এশাস্ত্রানুসারে লোককে কাৰ্য্য করিতে বলিলে বুহু বিবাহ নিবারণ হয়, না বৃদ্ধি হয় ? কিন্তু বোধ হয়, শাস্ত্রাবলম্বন পূৰ্ব্বক বহু বিবাহ পরিত্যাগ করিতে বল্লা, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য নহে। বিদ্যাসাগর মহাশয় এবং তাহার সহিত র্যাহারা *এক মতাবলম্বী তাহাদের মুখ্য উদ্দেশ্য এই যে বহু বিবাহ নিবারণ জন্ত রাজব্যবস্থা প্রচার হউক। দ্বিতীয় পুস্তকেসে কথা কিছুই নাই, কিন্তু প্রথম পুস্তকে আছে। সেই উদ্দেশ্যে প্রতিদায়ক স্বরূপ বহু বি বাহের অশাস্ত্রীয়তা প্রমাণ করিবার জন্ত যত্ন করিয়াছেন। নচেৎ শাস্ত্রের নামে ভয় পাইয়া হিন্দু বহুবিবাহ বা কোন চিরপ্রচলিত প্রথা হইতে নিবৃত্ত হইবেক, এমত ভরসা বিদ্যাসাগর মহাশয় করি, বেন বোধ হয় না । কিন্তু রাজ ব্যবস্থার পক্ষে প্রবৃত্তিদায়ক বলিয়াও এ বিষয়ে ধৰ্ম্মশাস্ত্রের সাহায্য অবলম্বন করা আমাদি. গের উপযুক্ত বোধ হয় না। এ বিষয়ে রাজবিধি প্রণীত করিতে গেলে, তাহ কি শাস্ত্রানুমত হওয়া আবশ্বক ? না শাস্ত্র বিরুদ্ধ হইলেও ক্ষতি নাই ? যদি তাহ শাস্ত্রাকুমত হওয়া আবশ্যক হয়, তবে “ সদ্যস্ত প্রিয়বাদিনী” “ ক্ষত্র বিট্‌ শুদ্ধ কন্যাস্তু aaaবিবাহ কচিদেবতু” প্রভৃতিক থা গুলিও বিধি বদ্ধ করিতে হইবে। আর যদি তাহ শাস্ত্রবিরুদ্ধ হইলেও চলে, তবে বহুবিবাহের অশাস্ত্রীয়তা প্রমাণ করিতে প্রয়াস পাওয়া নিম্প্রয়োজনে পরিশ্রম করা মাত্র । আর একটি কথা এই, যে এদেশে অ ৰ্দ্ধেক হিন্দু,অৰ্দ্ধেক মুসলমান। যদি বহুধি বাহ নিবারণ জন্য আইন হওয়া উচিত হয় তবে হিন্দু মুসলমান উভয় সম্বন্ধেই দে আইন হওয়া উচিত। হিন্দুর পক্ষে বহু বিবাহ মন্দ, মুসলমানের পক্ষে ভাল এমত নহে। কিন্তু বহুবিবাহ হিন্দুশাস্ত্র বিরুদ্ধ বলিয়া, মুসলমানের পক্ষেও তাই কি প্রকারে দণ্ডবিধির দ্বারা নিষিদ্ধ হই বে? রাজব্যবস্থা বিধাতৃগণ কি প্রকারে বলিবেন, যে “বহুবিবাহ হিন্দুশাস্ত্র কি