পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSiSAAAA )t مrهه د ,a, vsttr1٤}یrیم বহুবিবাহ

evరి

র, অতএব যে মুসলমান বহুবিবাহকরিবে,তাহাকে সাত বৎসরের জন্য কারারুদ্ধ ইতে হইবে।” যদি তাহ না বলেন, তবে অবশ্ব বলিতে হইবে, যে “আমরা বড় প্রজা হিতৈষী ব্যবস্থাপক বটে; প্রজার হতার্থ আমরা বহুবিবাহ কুপ্রথা উঠাইব; কন্তু আমরা অৰ্দ্ধেক প্রজাদিগের মাত্রহিত করিব। হিন্দুদিগের শাস্ত্র ভাল,র্তাহাদিগের ব্যাকরণের গুণে এক স্থানে “ক্রমশোবরা” ও “ক্রমশো অবরা” উভয় পাঠচলিতে-পারে, সুতরাং তাহাদিগেরই হিত করিব। আমাদিগের অবশিষ্ট প্রজ তাহাদিগের ভাগ্য দোষে মুসলমান,তাহাদিগের শাস্ত্র প্রণেতৃগণ স্বচতুর নহে; আরবী কায়দা হেলে দোলে না; বিশেষ মুসলমানেদের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত ঈশ্বরবিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায় কেহ পণ্ডিত নাই, অতএব বাকি অৰ্দ্ধেক প্রজাগণের হিত করিবার আবশ্যক নাই।” আমাদিগের ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে বোধ হয়, যে ব্যবস্থাপক সমাজ এই দ্বিবিধ উক্তির মধ্যে কোন উক্তিই ন্যায়সঙ্গত বিবেচনা করিবেননা । অতএব, আমাদিগের সামান্য বিবেচনায়, ধৰ্ম্মশাস্ত্রের দোহাই দিয়া কোন দিকে কোন ফল নাই। তবে ইহা অবশু স্বীকার কর্তব্য, যে যদি ধৰ্ম্ম শাস্ত্রে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিশ্বাস ও ভক্তি থাকে, এবং যদি বহু বিবাহ সেই শাস্ত্র বিরুদ্ধ বলিয়া তাহার বিশ্বাস থাকে, তবে তিনি আত্ম পক্ষ সমর্থনে অধিকারী বটে, এবং তাহার পুস্তক, একজন সদনুষ্ঠাতার མཇེ་བ་ཆོད།──────ས་ལས་─ལ།མ་འ་ o সদনুষ্ঠানে প্রবৃত্তির প্রমাণ স্বরূপ সকলের নিকট আদরণীয়। আর যদি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শাস্ত্রে বিশ্বাস ও ভক্তি না থাকে, তবে সেই শাস্ত্রের দোহাই দেওয়া কপটতা মাত্র । যিনি বলিবেন যে সদনুষ্ঠানের অনুরোধে এইরূপ কপটতা প্রশংসনীয়, আমরা তাহাকে বলিব, যে সদনুষ্ঠানের উদ্দেশেই হউক, বা অসদনুষ্ঠানের উদ্দেশেই হউক, যিনি কপটাচার করেন, তাহাকে কপটাচারী ভিন্ন আর কিছুই বলিব না। আপনার ক্ষুধানিবারণার্থে যে চুরি করে সেও যেমন চোর, পরকে বিতরণার্থে যে চুরি করে সেও তেমনি চোর। বরং দাতা চোরের অপেক্ষ ক্ষুধাতুর চোর মার্জনীয়, কেন না সে কাতরতা বশতঃ, এবং অলঙ্ঘ্য প্রয়োজনের বশীভূত হইয়া চুরি করিয়াছে। তেমনি যে ব্যক্তি আত্মরক্ষার্থ কপটতা করে, তাহার অপেক্ষ যে নিম্প্রয়োজনে কপটতা করে, সেই অধিকতর নিন্দনীয়। যিনি এই পাপপূৰ্ণ, মিথ্যাপরায়ণ, মনুষ্য জাতিকে এমত শিক্ষা দেন, যে সদনুষ্ঠানের জন্ত প্রতারণা এবং কপটাচারও* অবলম্বনীয়, তাহাকে আমরা মনুষ্যজাতির পরম শত্রু বিবেচনা করি। তিনি কুশিক্ষার পরম গুরু • আমরা একথা বিদ্যাসাগর সম্বন্ধে বলিতেছি না। আমরা এমত বলিতেছি না যে বিদ্যাসাগর মহাশয় ধৰ্ম্মশাস্ত্রে স্বয়ং বিশ্বাস বিহীন বা ভক্তিশূন্ত। তিনি ধৰ্ম্মশাস্ত্রের প্রতি গগদি চিত্ত হইয়া তৎ প্র