পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| wo) (to বেদোৎপত্তি হইল। তাহাতে পুনৰ্ব্বার উত্তাপ প্রদত্ত্ব হইলে এই তিন বেদের সার স্বরূপ ঋগ্বেদ হইতে"ভূঃ” যজুৰ্ব্বেদ হইতে “ভুবঃ” এবং সামবেদ হইতে “স্বঃ” (ভূ| ভুবঃ স্বঃ)সমৃদ্ভূত হইল। ঋগ্বেদিগণ হোত্ৰী, | যজুৰ্ব্বেদিগণ অধ্বর্য, এবং সামবেদিগণ উদ্‌গতি নামে খ্যাত হইলেন। এইরূপে তিন বেদের জ্যোতি হইতে ব্রাহ্মণগণের সকল কৰ্ম্মের বিধি নিরূপিত হইল। ছান্দোগ্য ও বৃহদারণ্যক উপনিষদ মধ্যেও এইমত তিন বেদের উল্লেখ আছে। পুরুষস্বত্ত মধ্যেও লিখিত আছে—পুরুষ হইতে তিন বেদের স্বষ্টি হইল, ইহাতে অথৰ্ব্ব বেদের নাম উল্লেখ নাই। সায়নাচাৰ্য্য কহেন যজুৰ্ব্বেদ ভিত্তি স্বরূপ, তাহাতে ঋক্, সামবেদ চিত্রিত হইয়াছে। এসকল পাঠে বোধ হয় ঋক, যজু, সাম, বেদের | পরে অথৰ্ব্ববেদ রচিত হয় এবং এক্ষণে যে অথৰ্ব্ববেদ পাওয়া যায় তাহা অথৰ্ব্বাঙ্গিরসঃ শ্ৰীমদথৰ্ব্ব বেদ সংহিতা নামে খ্যাত । পৌরাণিক কালে চারি বেদ প্রচলিত ছিল, সুতরাং সকল পুরাণেই চারি বেদের উল্লেখ আছে । 'বেদ নিত্য, মমু কহেন— —সৰ্ব্বেষান্তু স নামানি কৰ্ম্মাণিচ পৃথক পৃথকৃ। বেদ শব্দেভ্য এবাদে পৃথক্ সংস্থাশ্চ নিৰ্ম্মমে ৷ হিরণ্য গর্তরূপে অবস্থিত সেই পরমাত্মা সকলের নামূ অর্থাৎ মনুষ্য জাতির মনুষ্য, 0,ሞሻ-gz1 plፉ ! দান করিলে তাহা হইতে ঋক্, যজু সাম | ه ياهلا , :iج{,1ة أم 4e75) গোজাতির গো ইত্যাদি; ও ব্ৰাহ্মণাদি চতুৰ্ব্বর্ণের বেদোক্ত অধ্যয়নাদি কৰ্ম্ম এবং অন্তান্ত জাতির লৌকিক কৰ্ম্ম অর্থাৎ কুলা লের ঘট নিৰ্ম্মাণ কুবিন্দের পট নিৰ্ম্মাণ ইত্যাদি প্রথমত বেদ শাস্ত্র হইতে অবগত হইয়াপূৰ্ব্ব কল্পে যাহার যে রূপ ছিল এক ল্পেও সেইরূপ নির্দিষ্ট করিলেন । * বেদ নিত্য হইল এবং ঈশ্বর তাহাই পাঠ করিয়া দ্বিতীয় কল্পে স্বষ্টি করিলেন। আশ্চৰ্য্য বিশ্বাস আশ্চৰ্য্য কৌশল! ময়ু লিথিয়াছেন, কাহার সাধ্য অবিশ্বাস করে। কপিল ঘোর নাস্তিক, ঈশ্বর সম্বন্ধে বলিলেন “প্রমাণাভাবাৎ নতৎসিদ্ধিঃ” অথচ বেদ মানিলেন . দাশনিকগণ সকলেই বেদ ঈশ্বর প্রণীত স্বীকার করিয়াছেন। কেবল গৌতম তাহার প্রতিবাদ করিয়া বেদ পৌরুষেয় বলিয়াছিলেন কিন্তু তাহ বেদ মনুষ্য প্রণীত বলা হ্যায়-স্বত্রকারের ইচ্ছা ছিল কি না তাহা ভাল জ্ঞাত হওয়া যায় না । বেদ নিত্য বলিয়াও শেষ হইল না তাহ আবার ঈশ্বরের “গাইড’ ! আর বলিতে সাহস হয় না, যেটুকু লিখিলাম তাহাতেই প্রাচীন সম্প্রদায় আমার উপর বিলক্ষণ কোপ প্রকাশ করিবেন। গে দিন আমারে একজন কহিলেন “কায়স্থ হইয়া বেদের আলোচনা করিলে কখনই নিরোগী হইতে পারিবেন না।” • বেদ শব্দের প্রকৃত অর্থ “ জ্ঞান” কিন্তু সোমরস এবং গোমাংসের প্রশংসা যুক্ত * মনুসংহিতা ত্রযুক্ত ভারতচন্দ্র।শিরেমণি কর্তৃক অনুবাদিত। - - o