পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8१२ কমলাকান্তের দপ্তর। 尊 (बन्न क्4म,मा श, °२छ-० | ঘরে আমার মন পড়িয়া থাকিত। যেখানে পোলাও, কাবাব, কোফতার সুগন্ধ, যে { খানে ডেকচী সমারূঢ় অন্নপূর্ণার মৃদ্ধ মৃদ্ধ ফুটফুটবুটবুটটকবকে ধ্বনি, সেই খানে আমার মন পড়িয়া থাকিত। যেখানে ইলিস মৎস্য, সত্বত অভিষেকের পর, ঝোলগঙ্গায় স্নান করিয়া, মৃন্ময়, কাংস্যময়, কাচময়, বা রজতময় সিংহাসনে উপবেশন করেন, সেইখানেই আমার মন প্রণত হইয়া পড়িয়া থাকে, ভক্তি রসে অভিভূত হইয়া, সেই তীর্থস্থান আর ছাড়িতে চায় না। যেখানে ছাগনন্দন, দ্বিতীয় দধীচির ন্যায়, পরোপকারার্থ আপনার অস্থি সমপণ করেন, যেখানে মাংস সংযুক্ত সেই অস্থিতে কোরমা রূপ বজ্র নিৰ্ম্মিত হইয়া, ক্ষুধারূপ বৃত্ৰাসুর বধের জন্য প্রস্তুত থাকে, আমার মন সেইখানেই, ইন্দ্রত্ন লাভের জন্য বসিয়া থাকে। যেখানে, পাচক রূপা বিষ্ণু কর্তৃক, লুচিরূপ স্বদর্শন চক্র পরিত্যক্ত হয়, আমার মন সেই খানেই গিয়া বিষ্ণুভক্ত হইয়া দাড়ায়। অথবা যে আকাশে লুচি চন্দ্রের উদয় হয়, সেই খানেই আমার মনরাহু গিয়া* তাহাকে গ্রাস করিতে চায়। অন্যে যাহাকে বলে বলুক, আমি লুচিকেই অখণ্ড মণ্ডলাকার বলিয়া থাকি । যেখানে সন্দেশ রূপী শালগ্রামের বিরাজ, আমার मन সেই খানেই পূজক। হালদার দিগের বাড়ীর রামমণি দেখিতে অতি কুৎসিত, এবং তাহার বয়ঃক্রম ষাট বৎসর, কিন্তু রাধে ভাল, এবং পরিবেশনে মুক্তহস্ত বলিয়া, বলিতেছি যে তাহার সঙ্গে আমার কোন | আমার মন তাহার সঙ্গে প্রসক্তি করিতে চাহিয়াছিল। কেবল রামমণির সজ্ঞানে গঙ্গালাভ হওয়ায় এটি ঘটে নাই। স্বহৃদের প্রবর্তনায়, পাকশালায় মনের সন্ধান করিলাম, সেখানে পাইলাম না। পলার, কোফত প্রভৃতি অধিষ্টাতৃদেবগণ জিজ্ঞাসায় বলিলেন, তাহারা কেহ আমার মন চুরি করেন নাই,- দেখিলাম, কূপ । কার, মাথায় গামছা বাধিয়া পাক কবিতে | ছেন–র্তাহাকে যুক্ত করে বলিলাম, “হে । প্ৰভো! এই যে আঁকা, উনান, বা চুলার শ্রেণী, ইহাই তোমার যমুনা, এতন্মধাস্থ : তরঙ্গোৎক্ষেপী অগ্নি, সেই যমুনার গদগদ । নাদী বারি রাশি; তুমিই কলিকালে ঐনন ' नन्न ; ७३ ईक्लिब cर्भ ८भी भक८डानाद्र ! বংশীরব ; আর তোমার যে মাথায় গামছা । বাধা, উহা চুড়ার টাননি; তোমার হাতে । যে ভাতের কাটি, ঐ পাচন বাড়ি; ভূমি । অনেক গোরু রক্ষণ কর ; অতএব হে | রাখালরাজ! ভক্তকে সদয় হইয়া বল । আমার মন কোথা ? छूमेिं কি চুরি করি য়াছ ?” রাখালরাজ বলিলেন, আমি | তোমার মনোহরণ করি নাই, দেখ আমার । খিচুড়ির ছাড়ি আঁকিয়া গিয়াছে। বন্ধু বলিলেন, একবার প্রসন্ন গোয়ালি ! নীর নিকট সন্ধান জান। প্রসন্ন সম্বন্ধে । আমার একটু নিন্দ ছিল বটে, কিন্তু সত্য । দুৰ্য প্রণয় ছিল না। তবে প্রসন্ন দেখিতে শুনিতে মোটুসোটা গোলগাল । বয়সে চল্লিশের नैौफ़, দাভে মিসি হাসি । -- -