পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F- অবকাশরঞ্জিনী । (बजकर्णम, ৰৈঃ, ༠༠ཅཁ1 : ভকত হৃদয়াকাশ, পূষ্ঠগৃহে পড়ি, } গুটি কত ভগ্ন ঘট যার গড় গড়ি।” | উপরোক্ত কয়েক চরণের কবিত্ব অতি মনোহর। বিশেষ সাগর কপোতের এবং ভগ্ন ঘটের উপমা দুইটি অতি মনোহর। যে সকল মোহিনী সৃষ্টির গুণে কবিগণ চিরস্মরণীয় হয়েন, অবকাশরঞ্জিনীতে তাহার কিছু নাই। এবং থাকিবার সম্ভাবনাও নাই। অপিতু কোন রসের অত্যুৎকৃষ্ট অবতারণা দৃষ্ট হয় না। কিন্তু সে সকল স্মৃষ্টি বা অবতারণায় সক্ষম যে সকল মহাত্মা, তাহারা এ জগতে অতি দুর্লভ। সে সকল গুণ না থাকিলেও অবকাশরঞ্জিনীর কবিকে মুকবি বলা যায়। র্তাহার একটি ক্ষমতা যে তিনি শব্দচতুর। কতকগুলা শব্দ প্রয়োগের দ্বারা যিনি বাগাড়ম্বর করিতে পারেন, র্তাহাকে শব্দ চতুর বলি না ; অথবা যিনি শ্রুতিমধুর শকা প্রয়োগে দক্ষ, তাহাকেও বলি না । কাব্যোপযোগী শব্দের মাহাত্ম্য এই যে একটি বিশেষ শব্ব প্রয়োগ করিলে তদভিপ্রেত পদার্থ ভিন্ন অন্তান্ত আনন্দ দায়ক পদার্থ স্মরণ পথে আইয়ে। এই কবির সেই শকা প্রয়োগে পটুতা আছে। কাব্যোপযোগী সামগ্ৰী গুলিন 'আহরণ করিয়া সাজাইতে ইনি বিশেষ ক্ষমতাtణి যাহা বর্ণনা করিতে আরম্ভ করেন তাহাই উজ্জলতা বিশিষ্ট করেন। অবকাশ রঞ্জিনীর যে কোন স্থান হইতে উদ্ধৃত করিলে ইহার উদাহরণ পাওয়া शत्रा चामा श्वत्र नाभिक्ने त्रहरु | নিয় লিখিত কয়েক পংক্তি উদ্ধৃত ক ! রিলাম। : . “ সখিরে! কি কব করম কথা! প্রণয় ভাবিয়া, পাষাণ হৃদরে চাপিয়া, পাইকু ব্যথা । কুসুম কলিকা, জিনিয়া বালিকা, ছিলাম যখন সই, প্রণয় কেমন, জানি নাই আমি, শৈশব আমোদ বই। মধুকর ভ্রমে, বিকাশিমু দল, ভাসিয়া যৌবন জলে, নিদারুণ কীট, পশিয়া মরমে, শুকাল বিকচ দলে । সখি! যায় প্রাণ যায়, দংশন জালায়, i বঁাচিনে পরাণে আর, f জীবনু মৃণাল, এই ছুরিকায়, কাটিব করেছি সার ॥” অল্পবয়স্ক কবিগণ, বিনাযুকরণে রচনা | করিতে সক্ষম হইলে ও একটুং অনুকরণ- } প্রিয় হয়েন। অবকাশরঞ্জিনী হইতে উ- { স্কৃত নিম্ন লিখিত কয়েক পংক্তি পাঠে শ্ৰীযুক্ত দত্ত মহাশয় কে স্মরণ হইবে। ছিলে তুমি অয়ি গঙ্গে। হিমাচলশিরে, তরল রজতাসনে রাজরাণী প্রায় ভূতলে পতিত এবে তাই ধীরে ধীরে, কাদিতেছ মনোদুঃখে একাকিনী হায়! আমি ভাবি গুনি মম দুঃখের কাহিনী, কাতরে কাদিছে আহা! নগেন্দ্র মন্দিনী।

: t