পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্গদর্শন, ৰৈ ১২৮• ) . ہے کےلیےسےیے ایسے তুলনায় সমালোচন। ף לא রার একটার কোন সম্বন্ধই নাই ; जकत७लिई *न ७ ब्रांशौक्लषः विषब्रक ; প্রোক্টাল সম্বন্ধেও তদ্রুপ, সকল গুলিই মৎস্ত, ও তৈল, লবণ, জিহার সহিত সমান ভাবে সম্বন্ধ। পদগুলিও অতি সরস, কোমল, মিষ্ট, ক্ষুদ্র, ও আপনাদের বাস্তভূতে অর্থাৎ কীৰ্ত্তন গায়কদিগের কণ্ঠে সৰ্ব্বদাই ফরফরায়তে । অপিচ মৎস্তগুলি স্বনার শঙ্কাবৃত কিন্তু সেই শস্কগুলি অব্যবহার্য্য; পদগুলিও সুন্দর ব্রজভাষাময় কিন্তু ব্ৰজভাষা অব্যবহার্য্য; বিদ্যাপতির কবিতার সকলগুলিই আদিরসময়ী, আদিরসোদ্দীপিকা ; আর এই সফরীযুথের যেটিকে দেখিবে, দেখিলেই তোমার সেই নিজ সফরীনয়নাকে মনে পড়িবে, সুতরাং এস্থলেও সকল গুলি আদি রসোদ্দীপিকা । কিন্তু মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ও ভূঁাহার চওঁীমঙ্গল বৃহৎ রোহিত মৎস্ত সদৃশ ; স্বত্বহৎ, একটিতেই যথেষ্ট, সুন্দর, স্বচ্ছন্দোধারী, অগাধ সঞ্চারী, স্বচ্ছন্দবিহারী জাল ভেদকারী। যেমন মৎস্ত কুলে রোহিত, তজপ কাব্যকুলে চণ্ডীমঙ্গল, রাজা বলিলেই হয়; অতি সুন্দর, একটিতেই যথেষ্ট, নানা ছন্দে রচিত, অগাধ পাণ্ডিত্য ব্যপ্রক, স্বচ্ছন্দবিহারী অর্থাৎ কষ্টে রচিত হয় নাই, ও জালভেম্বকারী, অর্থাৎ স্থানে২ এমন কুট ষে তাহার অর্থ শব্দবুদ্ধিজাল ভেদ করিয়া পলায়ন করে। চওঁীকাব্যে যেমন নানা রস আছে, রস অাছে। কিন্তু কোথায় কোন রস আছে সে বিষয়ে নানা মত আছে ; কেহ কেহ বলেন যে ইহার মস্তকে বীর, রৌদ্র, ভস্নানক ; মধ্য দেশে শাস্ত, কুরুণ, আদি ; ও পশ্চাত্তাগে অদ্ভুত, হাত, ও বীভৎস রস দেখিতে পাওয়া যায়। অপরে বলেন ষে ইহার স্রাণে আদি, দর্শনে করুণ, স্পর্শনে অদ্ভূত ও তক্ষণেই শান্ত রসের উৎপত্তি হইয়া থাকে। যাহা হউক ইহা যে চণ্ডীকাব্য সদৃশ নানা রসাত্মক তাহাতে মতভেদ নাই। আমাদের প্রথম উপদেষ্ট এইরূপে আমাদিগকে তুলনায় সমালোচনের শিক্ষা প্রদান করেন । তাহার তুলনা অতুল্য বলিতে হইবে। পরে এক জ্ঞানী সমালোচক আমাদিগকে আর একটি তুলনা শুনান । তাহাও দেওয়া যাইতেছে; তিনি বলেন যে বিদ্যাসাগর মহাশয় টাকশাল, ও তাহার গ্রন্থগুলি আনি য়িকি আধুলি ও টাকা ব্যতীত আর কিছুই নহে। সাগরী টাকশালে রূপা ব্যতীত সোণার সম্পর্ক নাই, টঙ্কযন্ত্রাধ্যক্ষ বিদ্যাসাগর অন্ত স্থানে রূপ ক্রয় করিয়া নিজে খাদ মিশাইরা ব্যরসা করিতেছেন। খণ্ড রূপা যেমন একটু পরিষ্কার করিয়া, চারিদিকে গোলাকার করিয়া কিরণ দিয়া,উপরে QUEEN VICTORLA stfal fizik gl ki, সেইরূপ অন্তের রূপ একটু বাঙ্গালা রসান চড়াইয়া, চতুষ্কোণ করিয়া চারিদিক ছাটিয়া উপরে “শ্ৰীঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণীত” ছাপিয়া দিলেই সাগরিক গ্রন্থ হয়। বর্ণ