পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয় দুআনি ; ক্ষুদ্র, "বালকের জন্ত প্রয়োজনীয়, শীঘ্র নষ্ট হয় বাহারাইয়া যায়। এই রূপ তাহার কোন গ্রন্থ সিকি, কোন গ্রন্থ আধুলি ও কোন গ্রন্থ টাকা। তিনি প্রথমে এক খোট্টা মহাজনের নিকট রূপ। রূপায়টাক প্রস্তুত করান; সেটাকার নাম একজন বিলাতী মহাজনের নিকট রূপ। লইয়া “জীবন চরিত” নাম দিয়া, একটু কমখাদ মিশাইয়াক হাজার আধুলি প্রস্তুত করাইয়া অনেক লাভ করিলেন। একজন বৃদ্ধ পশ্চিমে পণ্ডিত অধিক পরিমাণে বেশ খাটি রূপা রাখিয়া যান ; তাহাই লইয়া আসিয়া আপনার নিজের খাদ কতক গুলা দিয়া তাহাই “ সীতার বনবাস” নামে টাকা করিয়া বিক্রয় করিলেন । এখন ও ব্যবসা ছাড়েন নাই, আজি চারি বৎসর হইল সেক্ষপিয়রের “ ধোকার মজা ’ বলে খানিক রূপা ছিল তাহাতেই আপনার সেই মোহরদিয়া,“ভাস্তিবিলাস” টাকা নাম দিয়া বিক্রয় করিলেন। এইরূপে উপদেষ্টা প্রতিপন্ন করিলেন যে বিদ্যাসাগর টঙ্কযন্ত্র মাত্র । আর একজন উপদেষ্টা বলেন যেদিনবন্ধুবাবু কাচামিঠা আমগাছ। নীলদর্পণ তাহার মুকুল, তখন একবার দক্ষিণ মলয় বায়ুতে তাহার সৌরভ দিধিস্তার করিয়াছিল ; তাহার নিমৰ্চাদ, মল্লিকা, শ্ৰীনাথ, ক্ষীরোদবাসিনী, প্রভৃতি র্তাহার সেই কাচামিঠার কাচা অবস্থা; আর | সেই ফল যে পাকিয়া উঠিতেছে তাছা আমরা বেশ বুঝিতে পারিতেছি। আর একজন বলেন, বমি বাৰু মিষ্ট লঙ্কার আচার ; আর বঙ্গদর্শন সেই আচারের হাড়ি। খানিক মিষ্টলাগিবে; খানিক । অমরসময় ; অন্ন শুধু খেতে ভাল লাগে না কিন্তু ভাল খাইবার সময় অন্ন না হলে চলে না। কিন্তু কালের ভাগটা যাহার অদৃষ্টে পড়িবে তাহার হাড়ে হাড়ে ঋ ঋ আমাদের উপদেষ্টগণের স্থানে এইরূপ শিক্ষা প্রাপ্ত হই। এক্ষণে সেই শিক্ষার ; পরীক্ষা দিবার জন্য অগ্রসর হইতেছি। আমরা রায় গুধাকর ভারত চন্দ্রকে : তাহার স্বঠা মালিনীর সহিত এক বলিয়া ! বিবেচনা করি । কবি ভারত ও হীরা ; মালিনী এক; বিদ্যাম্বন্দরের প্রণয়ন কর্তা | ও বিদ্যাসুন্দরের প্রণয় কত্রী এক । প্রথমে মালিনীর চিত্র । “স্বৰ্য্য যায় অস্ত গিরি আইসে যামিনী, হেন কালে তথা এক আইল মালিনী, কথায় হীরার ধার, হীরা তার নাম, দাত ছোলা, মাজ দোলা, হাস্ত অবিরাম, গাল ভরা গুয়া পান, পাকি মালা গলে, কাণে কড়ি কড়ে রাড়ি কথা কয় ছলে ; চুড়া বান্ধা চুল, পরিধান শাদা সাড়ী, ফুলের চুপড়ি কাখে ফিরে বাড়ী বাড়ী। আছিল বিস্তর ঠাট প্রথম বয়েসে, এবে বুড়া তযু কিছু গুড়া জাছে শেষে।