পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ब्रनरर्थन,४वt, १९४° ) মৃন্দরের পুরপ্রবেশ। ওছে বিনোদরায় ধীরি ধরি যাওঁ হে, অধয়ে মধুর হাসি বঁাশীটি বাজাও হে; নব জলধর তন্থ, শিখি পুচ্ছ শক্ৰ ধনু, গীতধড়া বিজলিতে ময়ুরে নাচাও হে; নয়ন চকোয় মোর, দেখিয়া হয়েছে ভোর, মুখ সুধাকরে হাসি ক্ষুধায় বাচাও হে, নিত্যভূমিখেলষাহ,নিত্যতালনহে তাহ, আমিযেখেলিতে কহি,সেখেলা খেলাওহে, তুমিযে চাহনিচাওসে চাহনিকোথা পাও, ভারত যেমন চাহে সেই মত চাও হে ॥ এরূপ মধু মন্ত্র গানে সকলেই মোহিত হয়; ভারত একস্থানে বলিয়াছেন, “স্বশোভিত তরু লতা নবদল পাতে, তর তয় থর থর ঝর ঝর বাতে, জলি পিয়ে মকরন্দ কমলিনী কোলে, সুখে দোলে মনাবায়ে জলের হিল্লোলে।” এসকল যাঙ্ক মন্ত্র বিশেষ বলিলেই হয় । একটি আড়াই অক্ষরের মন্ত্র দেখুন ; নিৰ্ম্মল চন্ত্রিকা, প্রফুল্প মল্লিক, শীতল মন পবন । স্বভাবের কি অপরূপ চিত্র f এমন সব ছিটে ফোটায় বাঙ্গালি বশ হইবে ठांशांब्र जांद्र दिष्ठेिद्धङ किं ? আলাপে মাতিল মন মাতালেনাচায়োনা, ওহে পরাণ বধু যাই গীত গায়ো না। কোন ভাব প্রসঙ্গে শরীর মধ্যে যে শিরায় শিরায় তাড়িত প্রবাহ চালিত হইতে থাকে তাহা যিনি অনুভব করিয়াছেন তিনিই এ মন্ত্ৰ মহৌষধের বল বুঝিতে পারিবেন। এই পৰ্য্যস্ত দেখাইয়াই ক্ষান্ত হইতে হইলাম । মালিনী ও ভারত উভয় পক্ষেই বলা যায় যে আছিল বিস্তর ঠাট প্রথম বয়েসে, এবে বুড়া তবু কিছু গুড়া আছে শেষে, ছিটা ফেঁটা মন্ত্র তন্ত্র জানে কত গুলি, চেঙ্গড়া ভুলায়ে খায় কত জানে ঠুলি। এখনও ভারত সমাদরের কিঞ্চিৎ থাকুক, তাহাতেও আপত্তি নাই এবং ভারত ও র্তাহার মালিনী এখনও চেঙ্গড়া ভুলায়ে খাইতে থাকুন তাহাতেও আপত্তি নাই । কিন্তু যে যুবক মালিনীর বাড়ী বাসা লইয়া থাকে তাহার দিকে একটু সকলের দৃষ্টি থাকিলে ভাল হয়, আর যে সকল পল্ল কবি যোগ্য অাদর অপেক্ষ অধিক গৌরব প্রদান করিতে চান, তাহাদের দিকেও সকলের একটু দৃষ্টি রাখা কৰ্ত্তব্য। ২