ইতিপূৰ্ব্বে আমরা বেদপ্রচার ও বেদ এই দুইট প্রস্তাবে আর্য্যদিগের প্রধান ধৰ্ম্মগ্রন্থের সারমৰ্ম্ম বিশেষরূপে সমালোচনা করিয়াছি। এক্ষণে এই প্রস্তাবে প্রাচীন ঋষিগণ বেদবিভাগ ও তাহার সংখ্যানির্ণয় যেরূপ করিয়া গিয়াছেন, তাহাইচরণবৃহ ও “আৰ্য্যবিদ্যাস্থধাকর” হইতে সংক্ষেপে নিম্নে অবিকল সঙ্কলন করিয়া পাঠকদিগকে উপহার প্রদান করিতেছি । এই প্রস্তাব সংক্ষিপ্ত হইয়াও স্বতন্ত্ররূপে সঙ্কলিত হইল, কেন না ইহাতে পাঠকবর্গ বৈদিককালে ও পৌরাণিক সময়ে বেদশাস্ত্র যে কতদূর বিস্তীর্ণ ছিল, তাহা উত্তমরূপে অবগত হইতে পারিবেন। ইহার মধ্যে যে২ শাখার মন্ত্র ও ব্রাহ্মণভাগ বিলুপ্ত হইয়াছে ও যাহা যাহা এক্ষণে বর্তমান আছে, তাহার বিবরণ ইতিপূৰ্ব্বে লিখিয়াছি, এজন্য এ প্রস্তাবে তাহার আর উল্লেখ করিলাম না। ঋগ্বেদের পরিমাণ চরণব্যুহে উক্ত হইয়াছে যথা— ঋচাং দশসহস্রাণি ঋচাং পঞ্চশতানিচ । ঋচামশীতিঃ পাদশ্চ (১ ও ৫৮•) তৎ পারায়ণমুচ্যন্তে । অর্থাৎ ১০৫৮০ টি ঋক্ একত্রিত আছে তাহার নাম পারায়ণ । শৌনকীয় প্রাতিশাখ্যমতে এই বেদেল পাচ শাখা সঙ্গা-— বঙ্গদর্শন । (অ{ষাঢ় । বেদবিভাগ । শকল, বাস্কল, অশ্বিলায়ন, শাঙ্খ্যায়ন, মাওঁক। ইহার প্রমাণ— ঋচাংসমূহোঋগ্বেদস্তমভ্যস্ত প্রত্নতঃ। পঠিত: শাকলেনাদোচতু ভিস্তদনন্তরম্ । (শৌনকীয় প্রাতিশাখ ) অর্থাৎ পূৰ্ব্বকথিত ঋক্সমূহের নাম ঋগ্বেদ, ইহার সমস্তই সৰ্ব্বাগ্রে শাকলমুনি যত্ন পূর্বক অভ্যাস করিয়াছিলেন। পশ্চাৎ অন্য চারিজন অধ্যয়ন করেন । সেই চারিজন যথা “ শঙ্খ্যাশলায়নেীচৈব মাণ্ডুকো বাস্কলস্তথা। ; বহচাং ঋষয়ঃ সৰ্ব্বে পঞ্চৈতেএকবেদিনঃ। (শোনকীয়প্রাতিশাখা) *ांख्याॉम्रन, श्रीरंटीtब्रन, মাণ্ডক, ও বাস্কল, ইহারাই ঋrশ্বদীদিগের আচাৰ্য্য এবং কথিত পাচজনই একবেদী। শৌনকের মতে ইহঁারা ঋষি কিন্তু আশ্বলায়নগৃহের মতে ইহঁ’র আচাৰ্য্য, ঋষি নহেন। অশ্বিলায়ন যেখানে দেবতা, ঋষি ও আচার্য্যদিগকে তৰ্পণ করিতে হইবে বলিয়। স্বত্রদ্বারা রীতিবদ্ধ করিয়াছেন সে স্থলে ইহঁাদিগকে ঋযিমধ্যে গণনা না করিয়া আচাৰ্য্য বলিয়াই গণনা করিয়াছেন। উল্লিখিত ৫ পাঁচ শাখা প্রধান। তদ্ভিন্ন ঐতারায়, কৌষীতকি, শৈশির, পৈঙ্গী, ইত্যাদি আরও কয়েকটা শাখা দৃষ্ট হয়,
পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১০৩
অবয়ব