বঙ্গদর্শন দৃষ্টি,১৭৭৯) বিষবৃক্ষ । * * t ૨૭. . নগেন্দ্র । সেকি কি কথা ? হীরা। আপনার সাক্ষাতে লজ্জায় তা আমি বলতে পারি না । স্থনিয়া নেগেন্দ্রের ললাটে অন্ধকার হইল। তিনি ইরাকে বলিলেন, “আজ ; বাড়ী যা । কাল ডাকাবো।” : হীরার মনস্কাম সিদ্ধ হইল। সে এই জন্য কৌশল্যার সঙ্গে বচসা স্বজন করি । য়াছিল। ' নগেন্দ্র উঠির সূৰ্য্যমুখীর নিকটে । গেলেন। হীরা পা টিপিয়া টিপিয়া ! পশ্চাৎ পশ্চাৎ গেল । সূৰ্য্যমুখীকে নিভৃতে লইয়া গিয়া নগেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি হীরাকে বিদায় দিয়াছ ?” সূর্যমুখী বলি । লেন, “দিয়াছি।” অনন্তর হীরকৌশল্যার বৃত্তান্ত সবিশেষ বিবরিত করিলেন। ; শুনিয়া নগেন্দ্র বলিলেন, "মরুক। তুমি ; কুন্দনন্দিনীকে কি বলিয়াছিলে ?” | নগেন্দ্র দেখিলেন, সূৰ্য্যমুখীর মুখ ! শুকাইল সূৰ্যমুখী অফ টুম্বরে বলিলেন, “কি বলিয়াছিলাম ?” | | নগেন্দ্র । কোন দুৰ্ব্বাক্য ? { | সূর্যমুখী কিয়ৎক্ষণ স্তব্ধ হইয়া রহিলেন। পরে বাহ বলা উচিত, তাহাই | बजिह्लन १ ইব ? কখন কোন কথা তোমার কাছে | লুকাই নাই, আজ কেন এক জন পরের কথা তোমার কাছে লুকাইব? আমি | কুন্দকে কুকথা বলিয়াছিলাম। পাছে তুমি | রাগ কর বলিয়া তোমার কাছে ভরসা | করিয়া বলি নাই। সে অপরাধ মার্জন | করিও। আমি সকল বলিতেছি।” । তখন সূর্যমুখী হরিদাসী বৈষ্ণবীর । পরিচয় হইতে কুন্দনন্দিনীর তিরস্কার প- | র্য্যন্ত অকপটে সকল বিবৃত করিলেন । ] বলিয়া, শেষ কহিলেন, “আমি কুন্দ- | নন্দিনীকে তাড়াইয় আপনার মরণে | আপনি মরিয়া তাছি। দেশে দেশে | তাহার তত্ত্বে লোক পঠাইয়াছি। যদি | সন্ধান পাইছাম, ফিরাইয়া আনিতাম। ] আমার অপরাধ লইও না ” নগেন্দ্র তখন বলিলেন, “তোমার বি- | শেষ অপরাধ নাই । তুমি যেরূপ কুন্দের | কলঙ্ক শুনিয়াছিলে, তাহাতে কোন ভদ্র । লোকের স্ত্রী তাকে মিষ্ট কথা বলিবে কি ! ঘরে স্থান দিবে ? কিন্তু একবার ভাবিলে"| ভাল হইত •যে, কথাটা সত্য কি না? | তুমি তারাচরণের কোন দিনের ঘরের খবর না জানিতে ? কুন্দের সঙ্গে যে প্রকারে দেবেন্দ্রের যেরূপ তিন বৎসরের আলাপ তাই কোন না শুনিয়াছ ? তবে মাতালের কথায় বিশ্বাস করিলে কেন ?”.
