পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શ્રrઃમિ, દેવડ, ૩૨૧મો ) বিষবৃক্ষ । ছিল। , কিন্তু চঞ্চলা কমলার কৃপার সঙ্গে সঙ্গে একে একে সকলই গিয়াছিল। সদ্যসমাগত দারিদ্যুের পীড়নে পুত্র কন্যার মুখমণ্ডল, হিমানীসক্ত পদ্মবৎ দিন দিন মান দেখিয়া, অগ্ৰেই গৃহিণী নদী-সৈকতশয্যায়ু শয়ন করিলেন। অবশিষ্ট তারাগুলিনও ঘ্রেই চাদের সঙ্গে সঙ্গে নিবিল। এক বংশধর পুল্ল, মাতার চক্ষের মণি, পিতার বাদ্ধক্যের ভরসা, সেও পিতৃ সমক্ষে চিতারোহণ করিল। কেহ রহিল না, কেবল প্রাচীন আর এই লোকমনোমোহিনী বুলুিক। সেই বিজন বনবেষ্টিত ভগ্ন গৃছে বাস করিতে লাগিলেন। পরস্পরে পরম্পরের এক মাত্র উপায়। কুন্দ-নন্দিনী, বিবাহের বয়স অতিক্রম করিয়াছিল, কিন্তু কুন্দ পিতার অন্ধের যষ্টি, এই সংসার বন্ধনের এখন একমাত্র গ্রন্থি ; বৃদ্ধ প্ৰাণ ধরিয়া তাহাকে পরহন্তে সমর্পণ করিতে পারিলেন না। আর কিছু দিন যাক, কুন্দকে বিলাইয়া দিয়া কোথায় থাকিব ? কি লইয়া থাকিব ?” বিবাহের কথা মনে হইলে, বুদ্ধ এইরূপ ভাবিতেন । এ কথা তাহার মনে হইত না যে, যেদিন র্তাহার ডাক পড়িবে, সেদিন কুন্দকে কোথায় রাখিয়া যাইবেন ? আজি অকস্মাং যমদূত আসিয়া শয্যাপার্থে দাড়াইল। তিনি ত চলিলেন। কুন্দনন্দিনী কালি কোথায় দাড়াইবে ? এই গভীর, অনিবার্ঘ্য যন্ত্রণ মুমুধুর প্রতিনিশ্বাসে ব্যক্ত হইতেছিল। অবিরল মুদিতোমুখনেত্রে বারিধারা পড়িতেছিল। আর শিরোদেশে প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তির ন্যায় সেই ত্রয়োদশবর্ষীয় ৰালিকা স্থিরদৃষ্ট্রে মৃত্যুমেঘাচ্ছন্ন | পিতৃমুখপ্রতি চলিছিল। আপন ভুলিয়া, কালি কোথা যাইবে, তাহা ভুলিয়া, গমনো প্রাণ ব্যথা হইতে নিস্কৃতি পাইল । সেই নিভূত কক্ষে, স্তিমিত প্রদীপে, কুন্দনন্দিনী একাকিনী পিতার মৃত দেহ ক্রোড়ে লষ্টয়া বসিয়; বহিল। নিশা ঘনান্ধকার ; বাহিরে শঙ্কিত হইতেছিল। ছিল । হইয়া প্রদীপ নিবিয়া গেল । হইতে অপস্থত হইলেন । তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ছায় পুৰ্ব্বগামিনী । ও তাহার পিতার শব ! “বাবা”। কেহ উত্তর দিল না । মুখের মুখপ্রতি চাহিয়াছিল। ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধের | বাক্যদুৰ্ত্তি অস্পষ্টতর হইতে লাগিল ৷ নিশ্বাস } কণ্ঠাগত হইল, চক্ষু নিস্তেজ হইল, ব্যথিত ; এখনও বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি পড়িতেছিল, বৃক্ষপত্রে | তাহার শৰ হইতেছিল, বায়ু রহিয়া রহিয়া | গর্জন করিতেছিল, ভগ্ন গৃহের কবাট সকল | গৃহমধ্যে নিৰ্ব্বাণোন্মুখ | চঞ্চল ক্ষীণ প্রদীপালোক ক্ষণে ক্ষণে শবমুখে | পড়িয়া,আবার ক্ষণে ক্ষণে অন্ধকারবৎ হইতে | সে প্রদীপে অনেকক্ষণ তৈলসেক | হয় নাই। এই সময়ে দুই চারি বার উজ্জ্বলতর | তখন নগেন্দ্র নিঃশব্দ পদসঞ্চারে গৃহ দ্বার | ടുക്കു २७ | নিশীথ সময় ! ভগ্ন গৃহমধ্যে কুন্দনন্দিনী । কুন্দ ডাকিল, ! কুন্দ এক | বার মনে করিল, পিতা ঘুমাইলেন, আবার" মনে করিল, বুঝি মৃত্যু—কুদ সে কথা স্পষ্ট । মনে জানিতে পারিল না । শেষে, কুন্দ আর } ডাকিতেও পারিল না, ভাবিতেও পারিল |