পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| २s বিষবৃক্ষ । (বঙ্গদর্শণ, বৈঃ, ১৫৭৯ । | না । অন্ধকারে ব্যঞ্জন হস্তে যেখানে তাহার | পিতা জীবিতাবস্থায় শয়ান ছিলেন, এক্ষণে সেখানে তাহার শব পড়িয়াছিল, সেই স্থানে | বায়ু সঞ্চালন করিতে লাগিল। নিদ্ৰাই | শেষে স্থির করিল, কেননা মরিলে কুন্দের দশ | কি হইবে ? দিব রাত্র জাগরণে এবং এক্ষণকার ক্লেশে বালিকার তন্ত্রণ আসিল । কুন্দনন্দিনী দিবী রাত্র জাগিয়া পিতৃসেবা করিতেছিল। নিদ্ৰাকর্ষণ হইলে কুন্দনন্দিনী তালবৃন্ত হস্তে সেই অনাবৃত কঠিন শীতল হৰ্ম্ম্যতলে আপন মৃণালনিন্দিত বাহুপরি মস্তক রক্ষা করিয়া নিদ্রা গেল । তথন কুন্দনন্দিনী স্বপ্ন দেখিল, যেন রাত্রি অতি পরিষ্কার জ্যোৎস্নাময়ী। আকাশ উজ্জল নীল, সেই প্রভাময় নীল মাকাশ মণ্ডলে যেন বৃহচ্চন্দ্ৰম গুলের বিকাশ হইয়াছে। এত বড় চক্রমণ্ডল কুন্দ কখন দেখে নাই । তাহার দীপ্তিও অতিশয় ভাস্বর, অথচ নয়ন| স্নিগ্ধকর। কিন্তু সেই রমণীর প্রকাগু চন্দ্রমণ্ডল মধ্যে চন্দ্র নাই ; তৎপরিবর্তে কুন্দ | মণ্ডল-মধ্যবৰ্ত্তিনী এক অপুৰ্ব্ব জ্যোতিৰ্ম্ময়ী | দৈবী মূৰ্ত্তি দেখিল । সেই জ্যোতিৰ্ম্মী মুপ্তি সনাথ চন্দ্রমণ্ডল যেন উচ্চ গগন পরিত্যাগ | তখন কুন্দ দেখিল যে, ! সেই মণ্ডল-মধ্যশোভিনী, আলোকময় কিরীট| কুণ্ডলাদি ভূষণাৰন্থত মূৰ্ত্তি স্ত্রীলোকের জুৰুতি। রমণীর কারুণ্য পরিপূর্ণ মুখমণ্ডলে স্নেহ পরিপূর্ণ হাস্যে অধর যুক্তি হইতেছে। ধুবাবলুপ্ত হইয়া আমাকে মনে করিয়া আমার তখন কুনা সভয়ে, সাননো চিনিল, যে সেই করুণাময়ী তাহার বহুকাল-মৃত প্রস্থতির অবয়ব ধারণ করিয়াছে । . আলোকময়ী সস্নেহাননে কুনাকে ভূতল হইতে উখিত করিয়া ক্ৰোড়ে লইলেন এবং মাতৃহীন কুন বহুকাল পরে “মা” কথা মুখে আনিয়া যেন চরিতার্থ হইল। পরে জ্যোতিৰ্ম্মণ্ডলমধ্যস্থ কুন্দের মুখ চুম্বন করিয়া বলিলেন, “বাছা! তুই বিস্তর দুঃখ পাইতেছিস্ । আমি জানিতেছি যে, বিস্তর দুঃখ পাইবি । তোর এই বালিকা বয়ঃ, এই কুসুমকোমল শরীর, তোর শরীরে সে দুঃখ সহিবে না । অতএব তুই আর এখানে থাকিস না । পৃথিবী ত্যাগ করিয়া আমার সঙ্গে আয় ।” কুন্দ যেন ইহাতে উত্তর করিল, “কোপায় যাইব ?” তখন কুন্দের জননী উদ্ধে অঙ্গুলি নির্দেশ দ্বারা উজ্জ্বল প্রজ্জ্বলিত নক্ষত্ৰলোক দেখাইয়া দিয়া কহিলেন যে, “ঐ দেশে ।” কুনা তখন যেন বছ দূরবর্তী, বেলাবিহীন অনন্তসাগরপারস্থবৎ, অপরিজ্ঞাত নক্ষত্ৰলোক দৃষ্টি করিয়া কহিল, { “আমি অত দুর যাইতে পারিব না ; আমার | बन नाहे ” उदन देश खनिद्रा छननैौजू. কারুণ্য প্রফুল্ল অথচ গম্ভীর মুখমণ্ডলে ঈষৎ অনাহুলা-জনিতবৎ ক্রুকুটি বিকাশ হইল এবং | তিনি মৃদুগম্ভীর স্বরে কহিলেন, “বাছ, যাহা তোমার ইচ্ছা তাহ কর । কিন্তু আমার সঙ্গে আসিলে ভাল করিতে। ইহার পর তুমি ঐ নক্ষত্ৰলোক প্রতি চাহিয়া তথায় আসিবার জন্ত কাতর হইবে। আমি আর একবার তোমাকে দেখা দিব। যখন তুমি মনঃপীড়ায় 3 g