पत्रकर्नन, बारि, २२१० ) বাঙ্গীলা ভাষা Woo Y প্রকৃত গৌরাঙ্গোপসক বৈষ্ণবকে যদি গত প্রাণার পশ্চাতেই থানান ছ বল যায়, “কেপল ভক্তিতে কোন ফল হইতে পারে না ; জ্ঞান দ্বারা ভক্তির ংযম করা উচিত ; ভক্তির আধিক্যে বাতুলতা জন্মিতে পারে ; ঈশ্বরদত্ত এই মহৎ জ্ঞান ইচ্ছাপূর্বক হারান কখনই উচিত নহে, তুমি ভক্তি একটু সংযত কর।” এ কথা কি বৈষ্ণব বুঝিতে পারিবে ? সে বলিবে, “আপনি তাই বলুন, আমি যেন ভক্তির আধিক্যে বাতুলই হই ; আমি যেন সেই ‘দশ প্রাপ্ত হইয়া চিরকাল যাপন করি । আহা ! তাহষ্টলে ত প্রভূর কৃপা হইয়াছে।” জয়দেব, বিদ্যাপতি প্রভৃতি সেই রূপ, প্রেম যে কখন কলুষিত হইতে পারে, কলুষিত প্রেম রূপ যে কোন পদার্থ আছে, তাত অনুভব ও করিতে পারেন নাই । প্রেম হুইলেই হইল, সে প্রেম যখনই পঠিয়ছেন, তাঙ্গলাদে উন্মত্ত হইয়া, জ্ঞারি লোকালুক্ষি, তারি ছড়চড়ি, তারি ঢল ঢলি কবিয়াচেন । যে তাপনী ভুলে পরেণ জনা ব্যস্থ, ষ্টাহারা তাহারি জন্য ব্যস্ত ছিলেন । বৃন্দাবন বিলাসিনী রাধা যখন ঘোরতিমির রজনীতে, চাতকিনী • যেমন ধায় বাfর পালে, সেই রূপ, সেই তিমির পুঞ্জ রং বলে, একাকিনী--লঙ্গিতাপেণী, চুম্বিতাধরণী, একাকিনী শ্যাম গুণমণির জন্য ভ্রমণ কুরিতেন, তখুনু ঠুত্বারা সেই এক তেন। তাঙ্গর পবিত্র হৃদয়ে রাধা শ্যামের মিলন দেখিতে বিদ্যাপতি প্রভৃতি এই প্রেম পথের প পারিতেন। জয়দেব, থিক ! পদকল্পতরু গ্রন্থের প্রথম ভাগ এই প্রেমের পাগার, এই গ্রন্থে প্রেম পরিচ্ছেদের কুত্রাপি বিচ্ছেদ নাই। নায়কের বিচ্ছেদকে প্রেমবিচ্ছেদ বলি না । বরং বিচ্ছেদে কহ প্রেম দেখুন। পেপুতুকলাবতী প্রিয় সখী মাঝে ॥ আছইতে আছল কাঞ্চন পুতলা । ভুবনে অনুপম,কঁপ গুণে কুশলা ॥ এবে ভৈল বিপরীত কামর দেঙ্গ। দিবসে ম লন ও লু চাদ কি রেহা ৷ বাম করে কপো লুলিত কেশ ভার। কর নগে দি খু মন্ত্ৰী অ'থ জল ধার। বিদ্যাপ্ত ভণ — — 岑 * নব প্রেমে বিচ্ছেদের ছায়া পড়িয়ছে ; ছায়ায় এই চিত্ৰ কি মনোহর ভাবেই । দেখা যাইতে .8 ! আমরা বিদ্যাপতির এই পদট ইলিয়াই অগত্যা ক্ষান্ত রহিলাম। ইহঁদের সুন্দর পদাবলীর বিশেষ সমালোচনের ইচ্ছা রহিল। - , প্রধান কয়টি বিপ্লবে ভাষার কতগুর পরিবর্ভূল হইয়াছে, আমরা তাহাই দেশইতে চেস্টা করিতেছি । ভাগলফ্রে ভাষার অনেক রূপান্তর করিয়াছে । ইহার প্ৰেমভাগে ভাগীর কত দূর
