পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১৮ ধৰ্ম্মনীতি। (दजकर्णन, जः, १९१ * তিরোহিত হইবার সম্ভাবনা জানিয়াই প্রকাশ করিব। - যতদিন মানব স্বভাব আছে, তত দিন তাহার দোষও আছে । যিনি যত কেন নীতির উন্নতি করুন না, কেহই কখন এমন প্রত্যাশা করিতে পারে না যে, এ জীবনে তিনি সেই উন্নতির সীমা দেখাইতে পারিবেন । পারিলে তিনিত দেবতার মধ্যে গণ্য ; তখন তাহাকে আর মানুষ কে বলে ? কিন্তু মানব প্রকৃতি সম্পূর্ণ অন্যরূপ ; উন্নতিশীল, অথচ কোন কালেও একবারে দোষ শূন্য নহে। মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতকুলচুড়ামণিরও কালেই একবারে নির্দোষ ছিল না, তাহ আমাদের বলিবার প্রয়োজন নাই ; কিন্তু যে ভুলক্ষ্য সূত্রেই হউক, দোষ একবার আমাদের প্রকৃতিগত হইলে তাহার ফল ষে কতদূর পর্যন্ত পিস্তৃত হয়, তাহার ইয়ত্ত করা এককালীন সাধ্যাতীত বলি য়াই অগত্যা এরূপ বলিঙে ছইল। ফলতঃ দোষ যে এক প্রকার স্বভাবের ক্ষতি, এক্ষণে আর তাহা স্বীকার না করিয়া পারা যায় না। এই ক্ষতি পূরণ সর্বদা প্রার্থনীয়, কিন্তু কোন অংশেই সহজ ব্যাপার নহে। এমন কি, তদুদ্দেশ্যে সমু দ্বায় জীবন যাপন করিলেও কৃতকাৰ্য্য দোষ তাছে, আর সাধারণতঃ ‘বড়লোক’ হওয়া যায় কি না, সন্দেহ । যাহা হউক, এই উপাধিধারী ব্যক্তিরও দোষ আছে ; ইহাতে হতাশ্বাস হইবার বিষয় কিছুই অধিকন্তু সে সকল আবার এমত প্রকা, রের দোষ যে তদুভয়ের নিকৃষ্টেরাই স্পষ্ট চক্ষুতে তাহ দেখিতে পায়। মনুষের স্বভাব পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে, যিনি যত ইচ্ছা সাবধান হইয়া চলুন না, কস্মিনকালে তদীয় উত্তর পুরু, যের মধ্যে কাহারও যে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রকৃতি প্রাপ্ত হইয়া ভূমণ্ডলে অবতরণ করিবার সস্তাবনা আছে, এমত কিছুতেই বোধ হয় না। ... আমাদের প্রকৃতির দুই অংশ শরীর ও মনঃ । এ দুইএর কোন না কোন দোষ লইয়াই প্রত্যেকে জন্মগ্রহণ { করিয়া থাকেন। কেহ ইহাতে বিস্ময় জ্ঞান করবেন না । মানবস্বভাব যে কোন নাই। মানব স্বভাবের যেমন দোষ আছে তেমনি গুণও আছে। আমরা | স্বভাবতঃ দোষের বিরোধী এবং গুণের অভিলাষী। দোষ পরিজ্ঞানমাত্রেই তৎপ্রতি আন্তরিক ঘৃণা জন্মিয় থাকে ; এবং যাহাতে উহা একবারে দূর হয়, সেই ইচ্ছা বলবতী হয়। এই ইচ্ছার বশবর্তী হইয়া কাৰ্য্য করিতে কোনমতেই অলস হওয়া উচিত নহে। আলসেই সহস্ৰ শাখা প্রশাখা বিস্তার করে। স্বত্বীবের দোষ যদিও একবারে যায় না, কিন্তু উহার সমূলোৎপাটন সংকল্প করির অনবরত চেষ্টা করিলে এবং সর্বদা সতর্ক থাকিলে, কালে উহা আর আছে, ]; 锐