পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূৰ্য্যমুখী বলিলেন, “আমার গায়ে ! কি সোনা দানা আছে যে, আমি বাবু দের বাড়ীর বউ ?” বুড়ী ভাবিল, “সত্যি ত বটে।” সে তখন কাঠ কুড়াইতে২ অন্য বনে গেল । দিনমান এইরূপে বৃথায় গেল। রাত্রেও কোন ফল লাভ হইল না । তৎপরদিন ও তৎপরদিনও কার্য সিদ্ধ হুইল না— অথচ অনুসন্ধানের ਾਂ হইল না । পুরুষ অনুসন্ধানকারির প্রায় কেহই সূৰ্য্যমুখীকে চিনিত না--তাহারা অনেক কাঞ্জাল গরিব ধরিয়া আনিয়া নগেন্দ্রের সম্মুখে উপস্থিত করিল। শেষে ভদ্র লোকের মেয়ে ছেলেদের এক পথে ঘাটে স্নান করিতে যাওয়া দায় ঘটিল। এক দেখিলেই নগেন্দ্রের নেমক হালাল হিন্দুস্থানীরা “মা ঠাকুরাণী” বলিয়া পাছু লাগিত, এবং স্নান বন্ধ করিয়া অকস্মাৎ পালকী বেহাৱা আনিয়া উপস্থিত করিত। অনেকে কখন পান্ধী চড়ে নাই, সুবিধা পাইয়া ৰিনা ব্যয়ে পান্ধী চড়িয়া লইল । ঐশচন্দ্র আর থাকিতে পারিলেন না। কলিকাতায় গিয়া অনুসন্ধান আরস্ত করিলেন । কমলমণি, গোবিন্দপুরে থাকিয়া, | | |. (दछ...बि, ζή, إليه جهود একত্রিংশ পরিচ্ছেদ । { همامي সকল স্বশ্বেরই সীমা আছে। . কুন্দনন্দিনী যে সুখের আশা করিতে কখন ভরসা করেন নাই, তাহার সে স্বর্থ | হইয়াছিল। তিনি নগেন্দ্রের স্ত্রী হইয়াছিলেন। যে দিন বিবাহ হইল, কুন্দনন্দিনী মনে করিলেন, এ স্থখের সীম নাই, পরিমাণ নাই। তাহার পর সুর্ঘ্যমুখী পলায়ন করিলেন। তখন মনে পরিতাপ হইল—মনে করিলেন, “সূর্যমুখী | আমাকে অসময়ে রক্ষা করিয়াছিল— | নহিলে আমি কোথায় যাইতাম--কিন্তু | আজি সে আমার জন্য গৃহত্যাগী হইল।। আমি মুখী না হইয়া মরিলে ভাল ছিল " | দেখিলেন, সুখের সীমা আছে । প্রদোষে নগেন্দ্ৰ শয্যায় শয়ন করিয়া | আছেন—কুন্দনন্দিনী শিয়রে বসিয়া ব্য- | জন করিতেছেন। উভয়ে নীরবে আ- | ছেন। এটি স্বলক্ষণ নহে ; আর কেহ । নাই—অথচ দুই জনেই নীরব—সম্পূর্ণ। মুখ থাকিলে এরূপ ঘটে না । কিন্তু সূৰ্য্যমুখীর পলায়ন অবধি ইহঁr. দের সম্পূর্ণ স্নখ কোথায় ? কুন্দনন্দিনী সৰ্ব্বদা মনে ভাবিতেন, “কি করিলে, আ- | বার যেমন ছিল, তেমনি হয়।” আজিকার. দিন, এই সময়, কুন্দনন্দিনী মুখ ফুটিয়া | এ কথাটি জিজ্ঞাসা করিলেন,-“কি করিলে, বেনছিল, তেমনি ৰয় ? : |