8Ꮜy ☾ রায় কর্তৃক প্রকাশিত। বাঙ্গালী কুলকামিনীরা যখন গ্রন্থ রচনা করেন, তখনই তাহারা পাঠকের নিকট একটু দয়ার পাত্র হইয়া বসেন। রচনা কত্রী মনে ভাবেন, “আমি যে স্ত্রীলোক হইয়া যৎকিঞ্চিৎ লেখা পড়া শিখিয়াছি, ইহাই বঙ্গবাসী পুরুষগণের ভাগ্য ; আবার তাহার উপর লিখিলাম—তার কি রক্ষা আছে ।” পাঠকেরা বলেন, “ভাল মোর ধন !—ঢের হয়েছে ” সুতরাং গ্রন্থ কত্রীগণ ভাল না লিথিয়াও সুখ্যাতির পাত্রী হয়েন। আমরা সেরূপ সুখ্যাতি করিতে বড় অনিচ্ছুক । আমরা বলি যে, বাঙ্গালির মেয়ে যে লেখা পড়া শেখেন, ভালই ; কিন্তু ভাল রচনা | কথায় আমাদিগের যে কষ্ট হইয়াছিল, করিতে না পরিলে, তাহাদিগের রচনা করিয়া সাধারণের সমীপবৰ্ত্তিনী হইবার প্রয়োজন নাই । যদি তাহারা আমাদের শিক্ষাদাত্রী হইতে স্পৰ্দ্ধা করেন, তবে স্ত্রী পুরুষের সমান রিচার করিব ; স্ত্রীলোক বলিয়া ক্ষমা করিব না। যে স্ত্রীলোক অন্নদা সুন্দরীর স্থায়, কবিতা রচনা করিতে না পারেন,তিনি যেন লিখেন না । অন্নদা সুন্দরীকে স্ত্রীলোক বলিয়া কাহারও দয়া বা ক্ষমা করিতে হইবে না । তিনি যদি পুরুর হইতেন, তথাপি উহার কবিতা শ্রদ্ধার বিষয় হইত। বাৰু হৃদয় শঙ্কর রায় বিজ্ঞাপনে লিখিয়াছেন, যে, “বঙ্গ কামিনী বিরচিত যে কয়েকখানি পদ্য Lগ্রন্থ আমাদের দৃষ্ট্রিপথে নিপতিত হইয়াছে, প্রাপ্ত গ্রস্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা । (विश्रार्थिम्, cशोः, *१फ़्a বোধ হয়, সে সকল অপেক্ষা এইখানি কখন নুন নহে।” সে সকল অপেক্ষা নূ্যন নহে, বলিলে প্রশংসা হইল না। আমরা বলি, ইহা কোন খানির অপেক্ষা নুনি নহে। হৃদয় শঙ্কর বাবুর বিজ্ঞাপনে জানা যায়য় গ্রন্থকত্ৰী নারীজন্মে নিতান্ত মন্দভাগিনী । পিতা, মাভ, স্বামী, ভ্রাতা, সহোদরা, সকলকেই একে একে শমন হস্তে সমপণ করিয়াছেন। যখন তাহার শোকানল “অধিকতর প্রজ্বলিত হইয় উঠে, তখন নির্বাপিত অথবা লঘুকৃত করিবার মানসে এই পদ্যগুলি আসর ক্রমে ক্রমশঃ রচনা করিয়াছেন।” গ্রন্থকত্রীর মন্দভাগ্যের শেষ কথাটিতে তাহার কিঞ্চিৎ লাঘব হইল—আমরা স্থখী হইলাম। দুর্কিসহ শোক সন্তাপ অৱশ্ব এতদূর মন্দতেজ: ' হইয়া আসিয়াছে যে, এক্ষণে তাহ পদ্যে ব্যক্ত হয়, এবং নির্বাপিতও হয় । এরূপ নিয়ম না থাকিলে সংসারের যন্ত্রণা কে সহিতে পারিত ? og গ্রন্থকত্রীকে একটি পরামর্শ না দিয়া থাকিতে পারিলাম না। তিনি সাধারণ পাঠকের নিকট সহৃদয়ভার প্রত্যাশায় কবিতাগুলিন প্রচার করিয়াছেন। কিন্তু লাধারণ পাঠক, গ্রন্থ প্রণেতার দুঃখে কখন কাতর হয় না। তাহাদিগের নিকট यकृमब्रङांद्र कृमिनां यद्रप्*ü cब्रांमन भांज ।