পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(विशेषं, भtः,०७२१s ।) বিষবৃক্ষ । «ξ» হইল। স্ত্রীরূপিণী মূৰ্ত্তি, সূর্যমুখীর .অবয়ব বিশিষ্ট । নগেন্দ্র যেমন চিনিলেন যে, এ সূর্যমুখীর ছায়া—তমনি পর্যাঙ্ক হইতে ভূতলে পড়িয়া ছায়াপ্রতি ধাবমান হইতে গেলেন। চায় অদৃশ্য হইল। সেই সময়ে আলো নিবিল। তখন নগেন্দ্র চীৎকার করিয়া ভূতলে পড়িয়া মূচিছত হইলেন । o - পঞ্চচতুরি শক্তম পরিচ্ছেদ । छ|झु| ! মথন নগেন্দ্রর চৈতন্য প্রাপ্তি হইল, তপন ও শয্যাগৃহে নিবিড়ান্ধকার। ক্রমে ক্রমে তাহার সংজ্ঞা পুনঃ সঞ্চিত হইতে লাগিল । যখন মুচ্ছৰ্ণর কথা সকল স্মরণ হইল, তখন বিস্ময়ের উপর আরও বিস্ময় জন্মিল। তিনি ভূতলে মুচ্ছিত হইয়া পড়িয়াছিলেন, তবে তাহার শিরোদেশে উপাধান কোথা হইতে" আসিল ? আবার এক সন্দেহ–এ কি বালিশ বালিশ স্পর্শ করিয়া দেখিলেন –এ ত বালিশ নহে। • কোন মমুষ্যের উরুদেশ। কোমলতায় বোধ হইল, স্ত্রীলোকের উরুদেশ। কে আসিয়া মুচ্ছিত অবস্থায় তাহার মাথা তুলিয়া উরুতে রাখিয়াছে ? এ কি কুন্দনন্দিনী ? সন্দেহ ভঞ্জনার্থে জিজ্ঞাসা • করিলেন “কে তুমি ?” তখন শিরোরক্ষাকারিণী কোন উত্তর দিল না—কেবল দুই তিন বিন্দু উষ্ণবরি নগেন্দ্রের কপোল দেশে পড়িল । নগেন্দ্র বুঝিলেন যেই হউক, সে কঁদিতেছে। উত্তর না পাইরা নগেন্দ্র । তাহার অঙ্গস্পর্শ করিলেন। তুর্থন অকস্মাৎ নগেন্দ্র বুদ্ধিভ্রষ্ট হইলেন, তাহার শরীর রোমাঞ্চিত হইল। তিনি ! নিশ্চেষ্ট জড়ের মত ক্ষণকাল পড়িয়া ! রহিলেন । পরে, ধীরে২ রুদ্ধ নিশ্বাসে | রমণীর উরুদেশ হইতে মস্তকোত্তলন করিয়া বসিলেন ।* এখন ঝড় বৃষ্টি থামিয়া গিয়াছিল। আকাশে আর মেঘ ছিল না—পূর্বদিগে | প্রভাতোদয় হইতেছিল। বাহিরে বিলক্ষণ | আলোক প্রকাশ হইয়াছিল—গৃহমধ্যেও i আলোকরষ্ক, দিয়া অল্প অল্প আলোক আসিতেছিল । নগেন্দ্র উঠিয়া বসিয়া দেখিলেন যে, রমণী গাত্রে থান করিল— ধীরে দ্বারোদেশে চলিল। নগেন্দ্র তখন অনুভব করিলেন, এত কুন্দনন্দিনী নহে । তখন এমত অালো নাই যে মানুষ চিনিতে পারা যায়। কিন্তু আকার | ও ভঙ্গী কতক২ উপলব্ধ হইল । আকার ও ভঙ্গী নগেন্দ্র মুহুৰ্ত্তকাল বিলক্ষণ । করিয়া দেখিলেন। দেখিয়া, সেই দণ্ডায়মান স্ত্রীমূৰ্ত্তির পদতলে পতিত হইলেন। কাতরস্বরে, অশ্রুপূর্ণ লোচনে বললেন “তুমি দেবতাই হও, আঁর মনুষই