পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*२२ (बचषर्नन, भtः, *११s ) § হও, তোমার পায়ে পড়িতেছি, আমার সঙ্গে একবার কথা কও । নচেৎ আমি মরিব ।” রমণী কি বলিল, কপাল দোষে নগেন্দ্র তাহা বুঝিতে পারিলেন না। কিন্তু কথার শব্দ যেমন নগেন্দ্রের কর্ণে প্রবেশ করিল, অমনি তীরবৎবেগে দাড়াইয় উঠিলেন । এবং দণ্ডায়মান স্ত্রীলোককে বক্ষে ধারণ করিতে গেলেন । তখন মন, শরীর দুই মোহে আচ্ছন্ন হইয়াছে—পুনর্ববার বৃক্ষচু্যত সেই মোহিনীর পদ প্রান্তে পড়িয়া গেলেন । আর কথা কহিলেন না । রমণী আবার উরুদেশে মস্তক তুলিয়া বলিয় রহিলেন । যখন নগেন্দ্র মোহ বা নিদ্রা হইতে উত্থিত হইলেন, তখন কলরব করিতেছে। শিরস্থ আলোকপস্থা হইতে বালসূর্ঘ্যের কিরণ গৃহমধ্যে ! পতিত হইতেছে । তখনও নগেন্দ্ৰ দেখি “কুন্দ, তুমি কখন আসিলে ? আমি আজি স্বপ্নে দেখিতেছিলাম, সূর্যমুখীর কোলে | মাথা দিয়া আছি। তুমি যদি সূর্যমুখী হইতে পারিতে, তবে কি সুখ হইত ?” কিন্তু ! আছেন ? শেষে এই কি কপালে ছিল ? বল্লীবৎ ; লুকাইয়া আবার কাদিতে লাগিলেন। | দিনোদয় হইয়াছে। গৃহমধ্যে আলে। । কক্ষপর্শ্বে উদ্যান মধ্যে বৃক্ষে বৃক্ষে পক্ষিগণ । দুঃখের শেষ হইল। উঠ উঠ ! আমি s লেন, কাহার উরুদেশে তাহার মস্তক । | রহিয়াছে। চক্ষু ন চাহিয়া বলিলেন, । সমস্ত রাত্র সূর্যমুখীকে স্বপ্ন দেখিয়াছি। : দেখিলে যদি তুমি এত সুখী হও, তবে আমি সেই পোড়ার মুখীই হইলাম।” নগেন্দ্র চাহিয়া দেখিলেন । চমকিয়৷ উঠিয়া বসিলেন। চক্ষু মুছিলেন। আবার চাহিলেন । মাথা ধরিয়া বসিয়া রহিলেন । আবার চক্ষু মুছিয়া চাহিয়া দেখিলেন। তখন পুনশ্চ মুখাবনত করিয়া, মৃদু২ আপন আপনি বলিতে লাগিলেন, “আমি কি পাগল হইলাম—না সূৰ্য্যমুখী বাচিয় বলিয়া চক্ষু আমি পাগল হইলাম !” এই নগেন্দ্র ধরাশায়ী হইয়া বtহুমধ্যে এবার রমণী তাহার পদযুগল ধরিলেন । র্তাহার পদযুগলে মুখাবৃত করিয়া, তাহ অশ্রুজলে অভিষিক্ত করিলেন । বলিলেন, “উঠ, উঠ ! আমার জীবন সৰ্ব্বস্ব ! মাটী ছাড়িয়া উঠিয়া বসে। আমি যে এত দুঃখ সহিয়াছি, আজি আমার সকল মরি নাই । ত্যাবার তোমার পদসেবা করিতে আসিয়াছি।” d আর কি ভ্রম থাকে ? তখন নগেন্দ্ৰ | উঠিয়া সূৰ্য্যমুখীকে গাঢ় আলিঙ্গন করিলেন। ༅་།༤ তাহার বক্ষে মস্তক রাখিয়া, বিনা বাক্যে অবিশ্রান্ত রোদন | করিতে লাগিলেন । তখন উভয়ে উভয়ের স্বন্ধে, মস্তকন্যস্ত করিয়া কত