পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●°8 (वबदलन, कः, >९१> 1); | t ধূলা । উমোরও অনেক ; সকলের চাকরি —আমরা ধূলা সম্বন্ধেই লিখিব। ধূলার } জুটে না ; কাগজ কলম ধার চাহিলে পওয়া যায়, কেননা কেহ পরিশোধের প্রত্যাশা করেন ; মুদ্রাযন্ত্র অতি স্থলভ . লিখিতে হইলে ছোট বিষয়ে লেখা অযুক্তি—মৃতরাং অন্ন বস্ত্রের যাদশ অভাব—বড়২ বিষয়ে প্রবন্ধের তাদৃশ অভাব নাই। আমাদিগের ক্ষুদ্র । বুদ্ধিতে বিবেচনা হইয়াছিল যে, দর্শন বিজ্ঞানাদির কথা যাহাই হউক, কাব্য সমালোচনা কিছু কঠিন ; কেননা দর্শনাদি শিখিলে তদ্বিষয়ে লেখা যায়, কিন্তু কাব্যের সমালোচনা কেবল শিক্ষার বশীভূত নহে। কিন্তু আমাদিগের দেশের সৌভাগ্য যে, তাহারই কিছু ছড়াছড়ি অধিক । মা সরস্ব তীর অনুগ্রহ ! - দেখিয়া শুনিয়া আমরা স্থির করিয়াছি, আমরা কোন গুরুতর বিষয়ের আলোচনা করিব না। আমরা ক্ষুদ্রবুদ্ধি এবং অল্প জ্ঞান, স্বতরাং গুরুতর বিষয়ের সমালোচনায় অক্ষম। কোন সামান্য বিষয় অবলম্বন করিয়া একটি প্রস্তাব লিখিব । এই প্রতিজ্ঞ করিয়া সামান্ত বিষয়ের অনুসন্ধান করিতেছিলাম । অনুসন্ধান কালে আমাদের সম্মুখে একজন “ক ভূদার” সন্মার্জনী হস্তে, রাজপথ পরিষ্কার করিতেছিল, বড় ধূলা উড়াইতেছিল। দেখিয় আমরা স্থির করিলাম যে, ষাহার তত্ত্ব করিতেছিলাম, তাহ পাইয়াছি মত সামাপ্ত পদার্থ আৰ সংসারে নাই । ভাবিলাম যে, ধুলার সম্বন্ধে অনেক নূতন কথা লিখিতে পারিব, যথা ; প্রথমতঃ, ধূলায় জল ঢালিলে কাদা হয় ; দ্বিতীয়তঃ, ধূলা চক্ষে গেলে করকর করে; তৃতীয়তঃ, ধূলা দাতে গেলে কিচুকিচ্‌ করে ; চতুর্থতঃ, রেইলে বড় ধূলা লাগে ইত্যাদি নানাবিধ নুতন এবং বিস্ময় জনক তত্ত্বের আবিঙ্কিয়া করিব, ইচ্ছা করিয়াছিলাম। সকল স্থানে রাস্ত ঘাটে ভাল জল দেওয়া হয় না বলিয়া মিউনিসিপল কৰ্ম্মচারিদিগকে কিঞ্চিৎ সুসভ্য গালিগালাজ করিব, এমতও ইচ্ছা ছিল। মনে করিয়াছিলাম, কাব্যালঙ্কারেও ধুলার প্রয়োজন দেখাইতে পারিব, যথা, “ধূলায় ধূষর অঙ্গ,” “ধূলায় মিশাৰে দেহ” ইত্যাদি । বস্তুতঃ তামরা কল্পনা করিয়াছিলাম যে, কোন প্রকারে পাঠক মহাশয়ের “চক্ষে ধূলা” দিব। পারি ত, আপনারাও কিছু “ধূলা বাকস পাতা” উপার্জন করিব । t দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদিগের স্মরণ হইল যে, আচাৰ্য্য টিণ্ডলও ধূলা সম্বন্ধে একটি দীর্ঘ প্রস্তাব লিখিয়াছেন। এবং তাহা । পাঠ করিয়া ধূলা লামান্ত তত্ত্ব বলিয়া বোধ হয় না, অতি গুরুতর এবং স্কুঞ্জেয় । বিষয় বলিয়া স্বীকার করিতে হয়। আচার্য। স্বয়ং এক জন ইউরোপের মান্ত বিজ্ঞান