পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وان به হইতেছে । আমরা যে কোন জল পরিষ্কৃত করি না কেন, উহা ধূলিপূর্ণ। কলিকাতার জল পলতার কলে পরিষ্কৃত | হইতেছে বলিয়া ভাহা ধুলিশূন্ত নহে। ছকিলে ধূলা যায় না। ২। এই ধূলা বাস্তবিক সমুদয়াংশই ধূলা নহে। তাহার অনেকাংশ জৈব পদার্থ। যে সকল অদৃশ্ব ধূলি কণার | কথা উপরে বলা গেল, তাহার অধিক | ভাগ ক্ষুদ্র২ জীব। যে ভাগ জৈব নহে, তাহা অধিকতর গুরুত্ব বিশিষ্ট ; এজন্য তাহা বায়ুপরি তত ভাগিয়া বেড়ায় না। অতএব আমরা প্রতি নিশ্বাসে শত ক্ষুদ্র২ জীব দেহ মধ্যে গ্রহণ করিয়া থাকি ; | জলের সঙ্গে সহস্র২ পান করি ; এবং রাক্ষসবৎ অনেককে আহার করি । লগুনের আটটি কোম্পানির কলে ছাকা পানীয় জল টিগুল সাহেব পরীক্ষা করিয়া | দেখিয়াছেন, এতদ্ভিন্ন তিনি আরো অনেক প্রকার জল পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন। তিনি পরীক্ষা করিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, জল সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করা মনুষ্য সাধ্যাতীত। যে জল স্ফটিক পাত্রে রাখিলে বৃহৎ হীরক খণ্ডের স্যায় স্বচ্ছ | বোধ হয়, তাহাও সমল, কীটাণু পূর্ণ। জেলেরা একথা স্মরণ রাখবেণ । ৩। এই সর্বব্যাপী ধূলিকণা সংক্রামক পীড়ার মূল। অনতি পূর্বে সর্বত্র এই ঘত প্রচলিত ছিল যে, কোন এক প্রকার o - ধূলা। (बथम*त्र, कां; v • १> () পচনশীল নিৰ্জ্জীবজৈব পদার্থ (Malaria) কর্তৃক সংক্রামক পীড়ার বিস্তার হইয়া থাকে। এ মত ভারতবর্ষে অস্থাপি প্রবল। ইউরোপে এ বিশ্বাস এক প্রকার ॐञ्चिन्न इईtङएझ । उप्रांल्लॉर्षीं छैि७ल. প্রভৃতির বিশ্বাস এই যে, সংক্রামক পীড়ার বিস্তারের কারণ সঞ্জীপ (Germ ) । ঐ সকল পীড়া বীজ বায়ুতে এবং জলে ভাসিতে থাকে ; এবং | শরীর মধ্যে প্রৰিষ্ট হইয়া তথায় জীবজনক হয় । জীবের শরীরের মধ্যে অসংখ্য জীবের আবাস . কেশে উৎকুণ, উদরে কৃমি, ক্ষতে কীট, এই কয়টি মনুষ্য শরীরে সাধারণ উদাহরণ। পশু মাত্রেরই গাত্র মধ্যে কীট সমূহের আবাস। জীবতত্ত্ববিদেরা অবধারিত করিয়াছেন যে, ভূমে, জলে, বা বায়ুতে যত জাতীয় জীব আছে, তদপেক্ষা অধিক জাতীয় জীব অন্ত জীবের | শরীরবাসী। যাহাকে উপরে “পীড়াবীজ” বলা হইয়াছে, তাহাও জীবশরীর বালী জীব বা জীবোৎপাদক বীৰ । শরীর মধ্যে প্রবিষ্ট হইলে তদুৎপাদ্য জীবের জন্ম হইতে থাকে। " এই সকল শোণিতনিবাসী জীবের জনকতা শক্তি আত ভয়ানক। যাহার শরীর মধ্যে ঐ প্রকার পীড়াবীজ প্রবিষ্ট নয়, সে সংক্রামক পীড়াগ্রস্ত হয়। ভিন্ন২ পড়ার ভিন্নং বীজ। সংক্রামক জ্বরের বীজে, kSkSAAAA