orf ইন্দির । ৬১৩ ইন্দির ৷ উপস্যাস । বাড়ীতে টাকা পাঠাইতে লাগিলেন— প্রথম পরিচ্ছেদ । কিন্তু সাত আট বৎসর বাড়ী আসিলেন অনেক দিনের পর আমি শ্বশুর বাড়ী । যাইতেছিলাম। আমি উনিশ বৎসরে পড়িয়ছিলাম, তথাপি এ পর্যন্ত শ্বশুরের ঘর করি নাই । ন, বা আমার কোন সম্বাদ লইলেন না। যে সময়ে আমার ইতিহাস আরম্ভ করি তেছি, তাহার কিছু পূর্বে তিনি বাড়ী তাহার কারণ, আমার ; পিতা ধনী, শ্বশুর দরিদ্র, বিবাহের কিছু । দিন পরেই শ্বশুর আমাকে লইতে লোক পাঠাইয়াছিলুেন, কিন্তু পিতা পাঠাইলেন । না। বলিলেন, “বিহাইকে বলিও, যে, আগে আমার জামাত উপার্জন করিতে শিখুক—তার পর বধু লইয় যাইবেন—এখন আমার মেয়ে লইয়া গিয়া খাওয়াইবেন কি ?’ শুনিয়া আমার স্বামির মনে বড় ঘৃণ জন্মিল—র্তাহার বয়স তখন ২০ বৎসর, তিনি প্রতিজ্ঞ করিলেন, যে স্বয়ং অর্থে পার্জন করিয়া পরিবার প্রতিপালন করিবেন । এই ভাবিয়া তিনি পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রা করিলেন। তখন রেইল হয় নাই—পশ্চিমের আসিলেন। রব উঠিল যে, তিনি কমি সেরিয়েটের (কমিসিরিয়েট বটে ত ? ) কৰ্ম্ম করিয়া অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি হইয়া আসিয়াছেন । আমার শ্বশুর আমার পিতাকে লিখিয়া পাঠাইলেন, } | পাঠাইলাম, পথ অতি দুৰ্গম ছিল.। তিনি পদব্রজে, . বিনা অর্থে বিনা সহায়ে, সেই পথ অতিবাহিত করিয়, পঞ্জাবে গিয়া উপস্থিত হইলেন, যে ইহা পারে, সে অর্থ “আপনার আশীৰ্ব্বাদে উপেন্দ্র ( আমার স্বামির নাম উপেন্দ্র—নাম ধরিলাম, প্রাচীনারা মার্জনা করিবেন ; হাল আইনে র্তাহাকে আমার “উপেন্দ্র” বলিয়া ডাকাই সম্ভব)- -উপেন্দ্র বধুমাতাকে প্রতিপালন করিতে সক্ষম । পালকী বেহার বধুমাতাকে এ বাটতে পাঠাইয়া দিবেন। নচেৎ আজ্ঞা করিলে পুত্রের বিবাহের আবার সম্বন্ধ করিব।” পিতা দেখিলেন, নূতন বড়মানুষ বটে। পান্ধী খানার ভিতরে কিংখাপ মোড়া, উপরে রূপার বিট, বাশে রূপার হাঙ্গরের মুখ । দাসী মাগী যে আসিয়া উপুঞ্জন করিতেও পারে। স্বামী | ছিল, সে গরদ পরিয়া আসিয়াছে, গলায় কৃগ্ধেপার্জন করিতে লাগিলেন— বড় মোট সোনার দান। চারিঙ্গ :
