পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se e श्वथ्रक्षत्रि [ Հարծ অন্তর্গত মালঞ্চী গ্রামে আমার নিকট পত্র প্রেরণ করিলে অনায়াসে পাইতে পারিবেন ।” এই সুশিক্ষিত চরিত একরূপ বঙ্গবিদ্যালয়ের পাঠোপযোগী, তাহার সন্দেহ নাই। বঙ্গদেশে গঞ্জিকালয় এবং শুণ্ডিকালয় বলিয়া যে সকল চতুষ্পাঠী আছে, সেই সকল মহাবিদ্যালয়ে এই গ্রন্থ বডই আদৃত হইবে। গ্রন্থকার ভয় দেখাইয়াছেন যে ক্রমশঃ নানাবিধ গ্রন্থ মুদ্রাঙ্কন করিবেন। আমরা ভয় পাই না। আমরা সাহস করিয়া বলিতে পারি, তিনি যত গ্রন্থ লিখিবেন, সকলই গঞ্জিকালয়ে চলিতে পারিবে । বিজ্ঞাপনের পর একটা সংস্কৃত শ্লোক। মধুসূদনসরকারি সংস্কৃত, তার পর আবার অস্ত্যার্থ, তার পর হঠাৎ “অন্নদা সতী অমিত্রাক্ষব প্রবন্ধ।” কবিত্ত্ব, প্রথমের তুই চারি ছত্রেই বুঝিতে পারিবেন। “হে মাত ভুবনময়ী জীবনদায়িনী, তব গুণচয় স্মরি ক্ষুধাৰ্ত্ত জঠর " পড়িয়াই বুঝা গেল, শ্ৰীমধুসূদন সরকারস্ত ক্ষুধা পাইয়াছে, মাত ভুবনময়ীকে ভক্ষণ করিবেন । তার পবেই— "গীতলিল পুলকিল তচু মন প্ৰাণ । শিহরিল তচু রোম ভরিল জঠর ॥” দেখা যাইতেছে ক্ষুধা পাইবামাত্রেই সরকার মহাশয় ভুবনময়ীকে ভোজন করিয়াছেন । নহিলে তখনি জঠর ভরিবে কেন । এই সুশিক্ষিত-চরিত এইরূপ আগাগোড়া পাগলামি । মধ্যে মধ্যে অশ্লীলতা এবং কদৰ্য্য রুচির পরিচয় । বাস্তবিক এই গ্রন্থ সমালোচন করিয়া আমরা বঙ্গদর্শন কলুষিত করিতাম না । সমালোচন করার উদ্দেশ্য এই যে আমরা পাঠককে দেখাইলাম যে যাহারা আদে পাঠশালায় যায় নাই, তাহারাও এক্ষণে গ্রন্থ লিখিতেছে। ইহার পর আর বাঙ্গালাসাহিত্যের শোচনীয় অবস্থা কি হইতে পারে। নহিলে মধুসূদন সরকারস্য পৃষ্ঠদেশ বঙ্গদর্শনের বেত্রাঘাতের যোগ্য নহে । 3. নলিনী । অধরলাল সেন বিরচিত। এই নবা গ্রন্থকার ললিতা সুন্দরী প্রভৃতি কয়েকখানি ক্ষুদ্র কাব্য প্রণয়ন করিয়াছেন । ইনি শুইবার্গএর উপাসক । ইহার কবিতা স্বমধুর। অনেক স্থলে কবিন্ধের উচ্ছাসে পরিপূর্ণ—কিন্তু বড় এক ঘেয়ে। কয়েক ছত্র উদ্ধৃত করিতেছি।