পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}త' 韓 - बजमश्रfञ [ 8जार्छ ইহা গৃহীগণের পক্ষে নিতান্ত প্রয়োজনীয় আমরা ইহা হইতে জলে ডুবার চিকিৎসা উদ্ধৃত করিতেছি, পাঠক তাহাতেই বুঝিতে পারিবেন। . “জল যে প্রকার অগ্নিনিৰ্ব্বাণ করে, সেই প্রকার প্রাণও নষ্ট করে । বায়ু বন্ধ হয় বলিয়াই জলে ডুবিলে জীবের প্রাণ সংশয় হয়। রোগীকে জল হইতে তুলিয়া যাহাতে বায়ু গ্রহণ করিতে পারে অর্থাৎ যাহাতে তাহার ফুস ফুস মধ্যে বায়ু প্রবেশ করে এ প্রকার উপায় অবলম্বন করিতে হইবে। যে পৰ্য্যন্ত শরীরে উষ্ণতা থাকে এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গাদি শিথিল থাকে সে পৰ্য্যন্ত ফুসফুস মধ্যে বায়ু প্রবেশ করাইতে সাধ্যানুসারে চেষ্টা করিবে । সমস্ত জল মুখ দিয়া বাহির করিবে । মুখের লালা বাহির কবিবে। পরে পিঠে ও গলায় চাপ দিবে। দুই নাক বন্ধ করিবে। এবং মুখে মুখ লাগাইয়া ফু দিবে যদি কামাবেব জাতা পাওয়া যায় তবে মুখ এবং এক নাক বন্ধ করিয়া এক নাকের মধ্যে জাতার নল প্রবেশ করাষ্টয়া বাতাস দিবে। পবে জ তার নল খুলিয়া সে নাক বন্ধ করিয়া অপর নাকের মধ্যে জাতাব নল প্রবেশ ককাইয়া বাতাস দিবে পিঠ এবং গলার বায়ুনালী আস্তে আস্তুে চাপিতে থাকিবে । ফুসফুস বায়ুতে পরিপূর্ণ হইলে বুকের উপরে চাপিয়া কতক বায়ু বুক হইতে বাহির করিয়া দিবে। পুনরায় ফুসফুস পুৰ্ব্বমত বায়ু পরিপূর্ণ করিবে, এবং পরে পূৰ্ব্বমত বুক চাপিয়া বায়ু বাহির করিয়া দিবে, ইহাতে স্বাভাবিক নিশ্বাস প্রশ্বাস অনুকরণ করা হয়। রোগীকে বার আনা উপুড় করিয়া শয়ন করাইবে । পরে চিত করিয়া শয়ন করাইবে । এই প্রকার এক মিনিটে ২০ বার করিবে । কিম্বা মস্তকের উপরে দুই হাত তুলিবে । পরে দুই হাত একস্থানে সংলগ্ন হইলে নীচে নামাইবে, বুকের উপর নিয়ম মত চাপিবে। এ প্রকার এক মিনিটে ২০ বার করিবে । ইহাতে স্বাভাবিক নিশ্বাস প্রশ্বাস অনুকরণ করা হইবে । গলায় কোন বন্ধনি থাকিলে তাহা তফাৎ করিবে। ভিজা কাপড় ছাড়াও, গা পুছিয়া দাও, গায়ে উত্তাপ দিয়া গা গরম কর। স্থানান্তরে লইতে হইলে তক্তপোষের উপরে মাথা উচ্চ করিয়া লইয়া যাইবে । বায়ুনালী অবরুদ্ধ হইনে নল চালাইয়া ফুসফুসে বায়ু প্রবেশ করাইবে । অম্লজান বায়ু অর্থাৎ অক্সিজেন গ্যাস প্রবেশ করাইতে পারিলে ভাল হয় । - t উত্তেজক ঔষধ সেবন বিধেয় । গিলিতে না পারিলে নল দ্বারা ঔষধ দিবে। রাইচুর্ণ, লবণ বা ব্ৰাওঁী জলে মিশাইয়া পিচকারী দিবে। বুকের দক্ষিণে রক্ত তার ক্ষরিলে সাবধান পূর্বক রক্ত মোক্ষণে উপকার হইবে। কিন্তু এদেশের লোকের পক্ষে রক্তমোক্ষণ প্রায় সততই অপকারী হয়। গ্যালভানিক ব্যাটারি দ্বারা তাড়িতশক্তি বুকে চালাইবে। কোন উপায়ে ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করাইতে