পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बञछ*{ञ [ चांदांल्ल وما هو পানওয়ালী বলিল, “এ ঘরে হইবে না। আর একটা ঘরভাড়া লইতে হইবে।” তখনই ছুইজনে বাজারে গিয়া আর একটা ঘর লইল। পানওয়ালী মোগলের অভ্যর্থনা জন্য তাহা সজ্জিতকৰণে প্রস্তুত হইল—মাণিকলাল পত্র লইয়া মুসলমান শিবিরে উপস্থিত হইল। শিবিরমধ্যে মহাগোলযোগ—কোন শৃঙ্খলা নাই— নিয়ম নাই। তাহার ভিতরে বাজার বসিয়া গিয়াছে— রঙ্গ তামাসা রোসনাইয়ের ধূম লাগিয়াছে। মাণিকলাল মোগল দেখিলেই জিজ্ঞাসা করে, “মহম্মদ খাঁ কে মহাশয় ? তাহার নামে পত্র আছে।” কেহ উত্তর দেয় না- কেহ গালি দেয় ; —কেহ বলে চিনি না— কেহ বলে খুজিয়া লও। শেষ একজন মোগল বলিল, “মহম্মদ খাকে চিনি না, কিন্তু আমার নাম মুর মহম্মদ খা । পত্র দেখি–দেখিলে বুঝিতে পারিব পত্র আমাৰ কি না ?” মাণিকলাল আনন্দচিত্তে তাহাব হস্তে পত্র দিল— মনে জানে, মোগল যেই হউক, ফাদে পড়িবে । মোগল ও ভাবিল—পত্র যারই হউক, আমি কেন এই সুবিধাতে বিবিটাকে দেখিয়া আসি না । প্রকাশ্বে বলিল, তা পত্র আমারই বটে । চল, আমি তোমাব সঙ্গে যাইতেছি । এই বলিয়া মোগল তাম্বু মধ্যে প্রবেশ করিয়া চুল আঁচড়াইয়া গন্ধ দ্রব্য মাখিয়া পোষাক পবিয়া বাহির হইল। বাহির হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ওরে ভূতা, সে স্থান কতদূৰ ।” মাণিকলাল যোড়হাত কবিয়া বলিল “হুজুর, অনেক দূর ! ঘোড়ায় গেলে ভাল হইত ।” “বহুত আচ্ছা” বলিয়া খাঁ সাহেব ঘোড়া বাহির করিয়া চড়িতে যান, এমত সময়ে মাণিকলাল আবার যোড়হাত করিয়া বলিল, “হুজুর : বড় ঘরের কথা— হাতিয়ার বন্দ হইয়া গেলেই ভাল হয়।” নূতন নাগর ভাবিলেন, সে ভাল কথা—জঙ্গী জোয়ান আমি ; হাতিয়ার ছাড়া কেন যাইব । তখন অঙ্গে হাতিয়ার বাধিয়া তিনি অশ্বগৃষ্ঠে আরোহণ করিলেন। 據 নির্দিষ্ট স্থানে উপনীত হইয়া মাণিকলাল বলিল, “এই স্থানে উতারিতে হইবে । আমি আপনার ঘোড়া ধরিতেছি, আপনি গৃহমধ্যে প্রবেশ করুন।” থা সাহেব নামিলেন—মাণিকলাল ঘোড়া ধরিয়া রহিল। খী বাহাছন্ন সশস্ত্রে গৃহ মধ্যে প্রবেশ করিতেছিলেন, পরে মনে পড়িল যে হাতিয়ার বন্দ হুইয়া রমণী সম্ভাষণে যাওয়া বড় ভাল দেখায় না। ফিরিয়া আসিয়া মাণিকলালের কাছে অস্ত্রগুলিও রাখিয়া গেলেন। মাণিকলালের অারও সুবিধা হইল।