$షిe אי *्णश्चानि [ আষাঢ়
- -মনক্ষ ফেরৎ জনম গয়ে, গয়ে ন মনক ক্ষের। *
করকা মনক ছোড় কর মন্কা মনক ফের ।” “জপমালার গুটিকা ঘুরাইতে ঘুরাইতে জীবন গত হইল ; কিন্তু হৃদয়ের ঘোর বিগত হইল না। অতএব হাতের গুটিকা পরিত্যাগ করিয়া মনের গুটিকা ঘূর্ণন কর।” স্থলান্তবে :– ‘গঙ্গা ফেরা হবিদ্বারকা, গুদ্ধড়ি লিয়া মন চারক, ভট্কা ফেরা তেী ক্যা হুয়া জিন এস্ক মে সের না দিয়া । কাবা গয়া, হাজি হুয়া, মনকা কপট মিটা নাহি। মনকা কপট টুটা নাহি, কাবা গয়া তে ক্যা হুবা, হাজি হুয়া তে ক্যা স্থবা ; জিন এস্ক মে সের না দিয়া । বোস্তাং গোলেস্তাং পদ গয়া মতলব না সমঝা । শেখকা আলিন হুবা তে ক্যা হুবা, ফাজেল হুবা তে ক্যা হুবা, জিন এক্ষ মে সের না দিয়া ।” “যে ব্যক্তি হরিদ্বাররাহিনী জাহ্নবী পর্য্যস্ত ভ্রমণ করিয়াছে, দুই চারি মন কস্থাভার বহন কবিয়াছে, এবং বিভ্রান্ত হইয়া নানাতীর্থ পর্যাটন করিয়াছে, কিন্তু ভগবৎপ্রেমে শিরসমর্পণ করে নাই, তাহাতে তাহার কি হইল ? যে ব্যক্তি কাবা গিয়াছে, তাজি হইয়াছে, অথচ যাহাব মনের কপটতা ক্ষীণ হয় নাই, মনের কপটতা দুবাভূত হয় নাই ও ভগবৎপ্রেমে শিরসমৰ্পিত হয় নাই, তাহাৰ কাবাগমনই বা কি হইল ? এব হাজিপদে অধিবোতণেই বা কি হইল ? যে ব্যক্তি বোস্ত গোলেস্ত সমস্ত অধ্যয়ন কবিয়াছে, কিন্তু সেখ সাপিব তাৎপৰ্য্য গ্রহণ করিতে পারে নাই ও ভগবৎপ্রেমে শিরসমপণ করে নাই, তাহার পণ্ডিত ও পারদর্শী হওয়াতেই বা কি হইল ?” - নানকের ধৰ্ম্মপদ্ধতি এই সকল মতেরই ছায়া মাত্র । প্রভেদ এই নানক সাক্ষাৎসম্বন্ধে কেবল একমাত্র অদ্বিতীয়, সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরে চিত্তসংযোগ করিতে উপদেশ দিয়াছেন, কবীর রাম ও হরিতে সেই সৰ্ব্বশক্তিময় ঈশ্বরত্ব আরোপিত করিয়া তাহাদের উপাসনাবিধি প্রচারিত করিয়াছেন । যাহা হউক, নানক যেরূপ পবিত্র ও উদার মত প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার উপাসনাপদ্ধতি যেরূপ সকল স্থলে, সকল সময়েরই অপরিবর্তনীয় হইয়া রহিয়াছে, তজঙ্গ তিনি কখনও স্পৰ্দ্ধা বা অহঙ্কার প্রকাশ করেন নাই । তিনি আপনাকে সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরের একজন দাস ও বিনয়া আদেশবাহক বলিয়া নির্দেশ করিতেন। নিজের লিখিত ধৰ্ম্মান্থশাসন জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যে পরিপূর্ণ হইলেও তিনি কখন তাহার উল্লেখ করিয়া আত্মগরিমার বিস্তারে উন্মুখ হয়েন নাই, এবং নিজের ধর্মপ্রচারে অসাধারণ ভাবের বিকাশ থাকিলেও কখনও তাহা অমানুষী ঘটনায় কলম্বিত করেন নাই । তিনি কহিতেন,
