SRve J সমাজের পরিবর্ত ফয়জপ । YC& সম্পাদন কর।” এই সকল কথা যখন বলিতে পারিবে তখন সমাজতত্ত্বশাস্ত্রের দ্বারা জগতের উপকার হইল বলিয়া স্বীকার করিব । সমাজের সমস্ত অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া তাহার কোথায় কি দোষ আছে এবং সেই দোষের জন্য সংস্কার প্রয়োজন বা বিপ্লব প্রয়োজন বলা সহজ নহে এবং সংস্কার যেখানে প্রয়োজন সেখানে বিপ্লব হইল এবং বিপ্লবস্থলে সংস্কারহইলে জগতে ভয়ানক অনিষ্ট হয়। এবং এ পর্য্যস্ত কত দেশ যে এই দোষে উৎসল্প গিয়াছে তাহা বলা যায় না। ফরাসীদেশে ১৭৮৯ খ্ৰীষ্টাব্দে যে ভয়ঙ্কর প্রলয়কাও উপস্থিত হয় তাহাতে সে একপ্রকার নূতন সমাজের নূতন জগতের স্বষ্টি হইয়াছে বলিতে হইবে । সে নূতন সমাজে বিপ্লব আর প্রয়োজন করে না বোধ হয় কোন বিষয়েই বদল দরকার হয় না, কিন্তু এই ৮৯ বৎসরের মধ্যে সেখানে ৪/৫টা বিপ্লব হইয়া গেল, নূতন সমাজে বিপ্লব হইলে সমাজের শক্তি হ্রাস হয়, তাহা গত প্রসিয়ার যুদ্ধে বিলক্ষণ প্রতিপন্ন হইয়াছে। যেখানে সংস্কার স্থানে বিপ্লব করা হয়, সেখানে ত এইরূপ, আবার যেখানে বিপ্লবস্থানে সংস্কার হয় সম্পূর্ণ বদল না করিয়া কিছু পরিবর্ভে শান্ত থাকা যায়, সেখানে দুৰ্গতির পরিসীমা থাকে না । সাক্ষী রোম, রোমের ইতিহাস আদ্যস্ত এই মহৎ সভোর সাক্ষাপ্রদান কলিতেছে । রোমের সমাজ একটি নগবেব সমাজ, একনগরের শাসন, স্বাচ্ছন্দা, সুখসমৃদ্ধির জন্য যা কিছু দবকার রোমে তাহার কিছুরই অভাব ছিল না। ক্রমে সেই এক নগরীর অদৃষ্টে সমস্ত জগতের আধিপত্য ঘটিল। তখন আর পুরান নগর শাসন প্রণালীতে চলিবে কেন ? তখন স্বতন্ত্র বন্দোবস্ত স্বতই প্রয়োজন হইয়া পড়িল । কিন্তু সেটি কেহ বুঝিতে পারিল না । যে সেনেট খ্ৰীষ্টাব্দের (৪০০) বৎসর পূৰ্ব্বে সুচারুরূপে রোম শাসন করিয়াছে, সেই সেনেট খৃঃ পূঃ ১৫০ ইউফ্রেটস হইতে আটলান্টিক পর্যন্ত শাসন করিতে পারিবে কেন ? রোমের পক্ষে ভয়ঙ্কর দিন সুতরাং উপস্থিত হইল। একশত বৎসর ধরিয়া ভয়ঙ্কর যুদ্ধ, পৃথিবী রক্তস্রোতে প্লাবিত, খুন মারামারি কাটাকাটি অত্যাচার লোমহর্ষণ উৎপীড়ন, নগরদাহ প্রভৃতি পাঠ করিলে শরীর কণ্টকিত হয়। পৃথিবীর অমন দিন যেন আর না হয়। এই সময় একজন লোক কেবল সম্পূর্ণ বিপ্লব করিতে চেষ্টা করেন। তিনি সম্পূর্ণরূপে বুৰিয়ছিলেন এভাবে জার চলিবে না। সেই লোক কয়াস গ্রেকাস। র্তাহার কথা কেহ শুনিল না। : র্তাহার এমনি আশ্চৰ্য্য গণনা, একশত বৎসরের রক্তস্রোতের পর শেষ তিনি যাহা ভাবিয়াছিলেন তাহাই দাড়াইল । অগষ্টস্ যাহা করিলেন গ্রেকাসও ঠিক জাহাই করিতে চাহিয়াছিলেন। রোমের স্বাধীনতা বিলোপ ও যথেষ্টাচার নামক শাসনপ্রণালী প্রচলন, এই বিপ্লবের প্রকৃত উদ্দেশু। বিপ্লব হুটুল বটে বিপ্লবে
