পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Şeô * श् ड्वथ्रष्कंििन [ जांषांछ কিন্তু বিপ্লব বুঝা কিছু কঠিন। বর্তমান যা আছে সব বদলাইব, কি হইবে জানিতে পারিব না, ইহা বুঝিয়, এরূপ কার্য্যে সাহসী হইয়া হস্তক্ষেপ করা, সকল মমুষ্যের সাধ্যায়ত্ত নহে। আগে ত কেহই বুঝিত না ; অষ্টাদশ শতাব্দীর ফিলজফারদিগের কল্যাণে এখন তবু কেহ কেহ বুঝিতেছে। পৃথিবীর সমাজসকল যেরূপে গঠিত তাহাতে লোকের “যা আছে বেশ, এর আর বদল কাজ নাই” এই ভাবই জন্মে। বদলাইতে ত ইচ্ছা করেই না, তবে একটু আধটু বদলাইলে যদি ভাল হয় ক্ষতি নাই। “একেবারে সব বদল, বাপুৰে, সে যে বড় ভয়ানক, যা আছে এর কিছু থাকবে না ; না তা ত পারব না,” এই ভাবই বেশী, সুতরাং বিপ্লব কেমন করিয়া হইবে। তবে যে দুই একটি বিপ্লব মাঝে মাঝে হুইয়া গিয়াছে, মধ্যে মধ্যে সমূল পরিবর্তও হইয়া গিয়াছে তাহার কারণ এই :–তখন লোকে মনে করিয়াছে যে বৰ্ত্তমান পাপের ভবা, বৰ্ত্তমান অত্যাচাররাশি আর সহিতে পারি না, এর চেযে মরণ ভাল। এ অবস্থা বদলাইলে সুখ হউক আর নাই হউক অত্যাচার কমিবে, অন্তত: উস্তাব রূপান্তবও হইবে । এই বলিয়া জীবনাশায় বিসর্জন দিয়া উন্মত্ত হইয়া লাগিয়াছে, একটা প্রলয় হইয়া গিয়াছে । যে সকল বিপ্লব হইয়া গিয়াছে অধিকাংশ পূৰ্ব্বোক্তরূপ নৈরাশুভাব হইতেই হইয়াছে। আর যত বিপ্লব হইয়াছে অধিকাংশ রাজপরিবর্ত, বাষ্ট্রবিপ্লব, অথবা শাসনপ্রণালী পরিবর্ভ ! সমাজ পবিবৰ্ত্ত এক ফ্রান্সে হইয়াছে আর কোথায় হুইবে ? আমরা যে বিপ্লবের কথা কহি এ ও সমাজবিপ্লব । সমাজের আস্তস্ত পরীক্ষা করিয়া সমাজসংস্কার আবশ্বক বা বিপ্লব আবশ্যক এরূপ বিচার কোথায় হইয়াছে বলিতে পারি না । সমাজের অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া বহুদিন আগে এ সমাজ এ ভাবে চলিবে কি না বলিয়া দেওয়া সামান্য সমাজ-তত্ত্ববিদের কার্য্য নহে ; কিন্তু ইউরোপে অনেকে ৪•।৫০ বৎসর আগে যে সকল ভবিষ্যৎবাণী করিয়া গিয়াছেন তাহা অনেক সিদ্ধ হইয়াছে এবং বোধ হয় চেষ্টা করিলে আরও স্পষ্টরূপে বলা যাইতে পারে । যাহারা বহুদিন পদ্মায় মাঝিগিরি করিতেছে তাহারা মেঘের আকার, বায়ুর গতি দেখিয়া ৪,৫ ঘণ্টা আগে ঝড় হুইবে টের পায়, যদি উদ্ধারের উপায় থাকে করে, আর যদি না থাকে সেই ৪৫ ঘণ্টা আগেই বলিয়া দেয় “যে বার চেষ্টা কর, রক্ষা হবার নয়।” বিপ্লবের পূৰ্ব্বেং ঠিক সেইরূপ বলা চাছি। তবে সমাজতত্ত্বশাস্ত্রের প্রকৃত উন্নতি হইয়াছে বলিতে হইবে, সমাজনৌকা সময়স্রোতে বেশ চলিয়া আসিতেছে, ঐ পাহাড়ে, ঐ চড়ায় তাহার বাণচাল হইবে, এই উপায়ে অন্য পথে চালাইতে পারিলে উদ্ধার নচেৎ সৰ্ব্বনাশ । অথবা “এ সমাজগৃহ অত্যন্ত জরাজীর্ণ, সামান্ত বাতাসেই ভূমিসাৎ হইবে, বাতাসে পড়িলে জনেক লোক মারা পড়িবে, কাজ নাই এই বেলা বাতাস না উঠিতে ইহার বিনাশ