পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৮ बाणाङ्गानि [ थांदन বন্তগাভীর তুঙ্কশ্বলী বা পালান এত ক্ষুদ্র ও সামান্ত যে তাহার প্রতি প্রায় দৃষ্টি পড়ে না ; কিন্তু গৃহপালিত গাভীর পালন কিরূপ স্কুল ও পরিপুষ্ট, তাহ সকলেই জানেন। এইরূপ প্রভেদের হেতু যে ক্রিয়াজনিত তাহার সন্দেহ নাই । দোহন কালে গৃহপালিত গাভীর দুগ্ধস্থলী যেরূপ প্রত্যহ টানা হয়, তাহ দেখিলেই প্রভেদের কারণ বুঝা যায়। অনেকে বলেন যে, চতুষ্পদদিগের বন্য অবস্থায় কর্ণের অগ্রভাগ উদ্ধমুখে থাকে, অর্থাৎ তাহাদের কাণ খাড়া থাকে, তাহাদের কর্ণের গঠনই ঐরূপ। কিন্তু গৃহপালিত হইলে কিছু পুরুষ মধ্যেই তাহাদের কাণ ঝুলিয়া পড়ে। ডারউইন সাহেব বলেন যে, শব্দ নির্ণয় করিবার নিমিত্ত, বিশেষতঃ কোন দিক হইতে শব্দ আসিতেছে তা স্থির করিবার নিমিত্ত, চতুষ্পদদিগকে সৰ্ব্বদাই কর্ণ উত্তোলন করিতে হয় ; কিন্তু গৃহপালিত অবস্থায় তাহার প্রায় প্রয়োজন হয় না। ক্রমে সঞ্চালন ও ক্রিয়া অভাবে কর্ণের শিরা ও বলমাংস দুৰ্ব্বল হইয়া যায়, কর্ণ বুলিয়া পড়ে । র্যাঙ্ক সাহেব প্রতিপন্ন কবিয়াছেন যে, যে অঙ্গ সঞ্চালিত হয়, সঞ্চালনের সময় সে অঙ্গে অধিক বক্ত প্রধাবিত হয়, সঞ্চালন ক্ষান্ত হইলে বক্তস্রোতও হ্রাস পায় । কাজেই যে অঙ্গ সচরাচর সঞ্চালিত হয় সে অঙ্গের বক্তপ্রণালী বা শিরা পরিসর হইয়া উঠে, পথ পরিসব হইলে রক্ত অধিক পরিমাণে প্রধাবিত হয়, যে অঙ্গ অধিক রক্ত পায় সে অঙ্গ অবশু অধিক পরিপুষ্টত লাভ করে । আমরা বাম হস্ত অপেক্ষ দক্ষিণ হস্ত সচরাচর অধিক সঞ্চালন করি, এই জন্ত তামাদের দক্ষিণহস্ত বামহস্ত অপেক্ষা মোটা এমন কি বাম হস্তেব অঙ্গুরা দক্ষিণহস্তের অঙ্গুলীতে প্রবেশ করে না। উৰ্দ্ধবাহু সন্ন্যাসীরা বাম হস্ত উদ্ধ কবিয়া রাখে, কখন নামায় না, তাহাদের সে হস্তের আর কোন ক্রিয়া হয় না। কাজেই সে হস্তে রক্তের গতি কমিয়া যায়, ক্রমে হস্তটি শুকাইয়া উঠে । অতএব অঙ্গ সঞ্চালন করিলে যেমন অঙ্গের পুষ্টিলাভ হয়, ক্রিয়ারোধ কবিলেও অঙ্গের তদনুরূপ ক্ষীণত জন্মে। পালিত হংসের পক্ষ সম্বন্ধে দৌৰ্ব্বলতা বা পালিত চতুস্পদের কর্ণ সম্বন্ধে দৌৰ্ব্বলতা এইজন্য। অনেকেই জানেন, মনুষ্যমধ্যে বন্যজাতিরা পুরুষানুক্রমে বিশেষ বলিষ্ঠ । কেন বলিষ্ঠ ? অনুসন্ধান করিলে দেখা যাইবে. তাহাদিগকে সর্বদাই বলের আলোচনা করিতে হয় । তাহাদের মধ্যে রাজশাসন নাই, কাজেই কথায় কথায় মল্লযুদ্ধ দ্বার বিবাদ নিম্পত্তি করিয়া লইতে হয়। আগ্নেয় অস্ত্র বা যুদ্ধ কৌশল নাই, কাজেই তাহাদের জয়পরাজয় কেবল শারীরিক বলের উপর নির্ভর করিতে হয়। যে বলিষ্ঠ তাহারই জয়, যে তুৰ্ব্বল, সে হয় শিকারকালীন পশুহস্তে, নতুবা বিরোধকালীন শক্র হস্তে প্রাণত্যাগ করে। কাজেই কেবল বলিষ্ঠের