পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शबमर्थन [व्थांयण مساج একই প্রকার গজদন্ত উঠিয়াছিল। এই সাদৃশ্য হঠাৎ বা অকারণ হয় নাই, সেই গৰ্ত্তে শত সন্তান জন্মিলে সকলেরই কনিষ্ঠ অঙ্গুলি বাকা হইত, সকলেরই গজদন্ত হইত। কি কারণে সন্তানের অঙ্গুলি বাকিয়া যায় অথবা গজদন্ত উঠে আমরা তাহা জানি না, কিন্তু তাহা যে কারণেই হউক গৰ্ত্ত অবস্থায় সে কারণ ঘটিয়াছিল, তাহাই উভয় সস্তানের শরীরে তাহার কার্য্য দেখা দিয়াছিল। অন্য সস্তান অপেক্ষা যমজ সন্তানের বৈসাদৃশ্য বড় থাকে না ; কারণ তাহাদের এক অবস্থাধীনে জন্ম। অনেক যমজ এক সময়ে এক গৰ্ত্তে জন্মে বটে, কিন্তু হয় ত পৃথক পৃথক্ থলী বা পোরোর ভিতরে থাকিয়া বাড়িতে থাকে, সে স্থলে সস্তানদের মধ্যে পরস্পর অবস্থার কিঞ্চিৎ ভিন্নতা থাকে, কাজেই আকৃতি প্রকৃতিরও কিঞ্চিৎ ভিন্নতা জন্মে। কিন্তু যেস্থলে উভয় সস্তান এক “পোরোর” মধ্যে জন্মে, সে স্থলে যমজের মধ্যে একেবাবেই বৈসাদৃশু থাকে না বলিলেই হয়। অনেক দিন হইল একবার এইরূপ ছুইটি যমজের সহিত আমাদের বাস করিতে হইয়াছিল, আমরা সৰ্ব্বদা তাহাদের দেখিতাম অথচ সৰ্ব্বদাই একজনকে মনে করিয়া আর একজনের সহিত কথা কহিতাম। এই যমজসম্বন্ধে এরূপ ভ্রম সকলেরই হইত। তাহাদের শারীরিক ও অভ্যন্তরিক সাদৃশ্য এতই চমৎকার ছিল যে, উভয়ের পীড়া পৰ্য্যন্ত একই রূপ হইত। একজনের শিরঃপীড়া হইয়াছে নিশ্চয়ই তৎক্ষণাৎ অপরটির ও শিরঃপীড়া হইবে । তাতাদের মৃত্যুও একই পীড়ায় হইয়াছিল। একজন মেদিনীপুরে ওলাউঠা রোগে মরিয়াছিল, অপরটি তৎকালে প্রায় পনের ক্রোশ দূরে ছিল ; তাহারও ওলাউঠায় মৃত্যু হইল। কিন্তু প্রায় তিন চারি দিবস পরে হয়। যমজ মাত্রেরই মৃতু্যবিষয়ে এই নিয়ম নহে, আমরা আরও দুই চারিটি যমজ দেখিয়াছি একটির অনেক বৎসর পর অপটি মরিয়াছে। অবস্থা যতই একরূপ হইবে সাদৃশু ততই সম্পূর্ণ হইবে। যমজদের অবস্থা অনেকবিষয়ে একরূপ, এইজন্য তাহাদের সাদৃশ্যও অতি অসাধারণ হয় । অপর সহোদরদের মধ্যে অবস্থা ততটা একই রূপ ঘটে না, এই জন্য সাদৃশ্যও তত প্রবল হইতে পায় না। সমাবস্থা সাদৃশ্বের কারণ । অসমাবস্থা বৈসাদৃশ্যের কারণ। একেবারে সম্পূর্ণ সমাবস্থা ঘটে না এইজন্য সম্পূর্ণ সাদৃশ্ব দেখা যায় না, কাজেই বৈসাদৃশু সকল ব্যক্তিতে কিছু না কিছু থাকে । . এই বৈসাদৃশ্বের জন্ত কতই নূতন নূতন জাতি উৎপন্ন হইয়াছে, হইতেছে, ও হইবে। জাতিবৃদ্ধির ফল কি, তাহা ঈশ্বরই জানেন । কিন্তু এই বৈসাদৃশ্বের নিয়ম অবলম্বন করিয়া এক্ষণে মমুন্যেরা আপনাদের ইচ্ছামুরূপ পশু পক্ষীর আকৃতি প্রকৃতি পরিবর্তন করিয়া লইতেছে। তাহার আয়ুপূর্বক পরিচয় এস্থলে নিতান্ত অনাবশ্বক নহে, তথাপি দুই একটি কথা অতি সংক্ষেপে বলা যাইতেছে।