পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

save J জটাধারীর রোজনামচা ՖՆ* নাজির সাহেব কহিলেন “আর তাহাকে লইয়া কাছারীতে হাজির করিতে আদেশ পাইয়াছি। তিনি কোথায় ?” গোপাল চৌকিদার কহিল "জলমগ্ন ।” নাজির সাহেব আবার বেত উঠাইয়াছেন এমন সময় একজন অশ্বারোহী পুলিস কৰ্ম্মচারী আসিয়া তাহার কাণে কাণে কহিলেন “মহাশয় একটা সন্ধান পাওয়া গেল, একটা কুলকন্যা এই গোপাল চৌকিদারের গৃহ হইতে উহার স্ত্রীর সহিত বহিষ্কৃত হইয়া শ্ৰীনগরের দিকে যাইতেছে, সেই লাবণ্যময়ী যুবতী মলিনবসন৷ কিন্তু মেঘাচ্ছাদিত চন্দ্রিমার ন্যায় আরো সুন্দরী দেখাইতেছে। শুনিতেছি র্যাহার সন্ধানে আসিয়াছি সে কন্যা আর আমরা পাইব না । নাজির ৷ শ্ৰীনগর ? দ্রুত যাও, ও স্ত্রীদ্বয় যে হউক পথিমধ্যে ধৃত কর । আদেশমাত্র দুইটা সজ্জিত অশ্বারোহী পুরুষ তীরবেগে ধাবিত হইল। শিবসহায়, কালীর নাম অস্তরে জপিতে লাগিলেন। চতুর্দশ পরিচ্ছেদ । দেওয়ান গজানন হঠাৎ সিংহবাবুদের দরজায় নাজির সাহেবের সম্মুখে উপস্থিত। “বলি মিথ্যা এখন ত আর মিথ্যা রহিল না, মিথ্যাই সত্য হল, কাদস্বিনি কন্যা অদ্য পৰ্য্যন্ত জীবিত ছিলেন না ছিলেন ভগবানই জানেন, রঘুবীরই জানেন- কিন্তু যদি আজ যা দেখিলাম, যদি মহাশয় । আঁখিন্ধয়কে বিশ্বাস করিতে হয়, তবে সব সন্দেহই ভঞ্জন হইল, কাদম্বিনী জলমগ্না । আমি ব্রাহ্মণী নদী পার হইয় একশত বিঘামাত্র আসিয়াছি, দেখিলাম, জনাব নাজির সাহেব ! শুনুন মহাশয় শুমুন, আপনারই অনুচর হইবেক, দুই অশ্বারোহী পুরুষ ধাবমান, বামপার্শ্বে রাস্ত ছাড়িয়া দুটি অনাথিনী অবলা নদীর ঘাটে ত্বরিত উপস্থিত ও নৌকায় আরোহিত ; ঐ স্ত্রীদ্বয় মধ্যে, একজন একটি নিজ অঙ্গ হইতে কি একটা সামগ্রী - পাটনির হস্তে অর্পণ করিবামাত্র খিলা নৌকা ঘাট হইতে ত্বরিত চালিত হইল। এদিকে অশ্বারোহী উভয়ে নৌকা রাখ রাখ’ বলিয়া গম্ভীরস্বরে পাটনিকে ডাকিতে লাগিল, কিন্তু আজকাল বন্যার জলে উভয় কুল টইটযুর ; এক টানা, নৌকা রেলের বেগে চলিল ও বাদশাহী ভগ্ন সাকোর নিকট যাইয়া সেই পাঙ্ক নেড় থামের উপর যেমন পড়িল একটি পতঙ্গের ন্যায় জলস্রোতে ভাসিয়া নৌকাটি নয়নপথের বহির হইল, একটি গোল উপস্থিত হইয়া থামিল, বোধ হইল নৌকা চুরমার হইয়া তর্কালঙ্কারের আশ্রমের ঘাটের নিকট জলমগ্ন হইল, ছারখার হায় রে! ছারখার ” 3. پلماس 8 چ