পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दछझलfञ * [ चांद१ يا مياج ·兹 এই কথাগুলি শেষ না হইতেই অশ্বারোহী উভয় পুরুষ আসিয়া উপস্থিত। একজন কহিয়া উঠিল “মহাশয় সব চেষ্টা বিফল, স্ত্রীলোকের এমন বুদ্ধি ? আমরা প্রায় ধরে ছিলাম একটি স্বর্ণালঙ্কার পাটনির হস্তে দিয়া পার হইতে যাইয়া নৌকা সহিত জলশায়ী হইয়াছে, নিরুপায় হইয়া মহাশয়ের নিকট প্রত্যাগত হইয়াছি।’ নাজির সাহেব ভাবিয়া বসিয়া পড়িলেন। সমুদয় নারাসাই, দেখিতে দেখিতে আসামী হস্তান্তর ! কি কৈফিয়াত দিব ! নাজির সাহেব মনে মনে ভাবিতেছিলেন— গজানন তাহা বিলক্ষণ বুঝিতেছেন ও এক কথায় মোকদ্দমা ফাস করিবার বুদ্ধি রচনা করিতেছেন । কিঞ্চিৎকাল সকলে নিস্তব্ধ, এমন সময় সম্বাদ আসিল যে খাঁ বাহাদুর অদ্য স্বয়ং আসিতে অক্ষম, সাহেব ঘোড়া চড়িতে হঠাৎ অপারগ হইয়াছেন। সংবাদদাতা হরকরা কহিল “মহাশয় সব প্রস্তুত, সাহেব পোষাক পরিয়া টুপি লাগাইয়া ঘোড়ার নিকট উপস্থিত হইয়া চসম বাহির করিয়া দেখিলেন একটি পরকলা ফাটিয়া গিয়াছে, আব ঘোড়া চড়া হইল না—” অশ্বারোহণের সঙ্গিত চসমার সম্বন্ধ বিচাব করিতে অনেকেই অক্ষম, কিন্তু গা বাহাদুর আণ্ডা আহার করিতে প্রবৃত্ত হউন, বিচাবাসনে রায় লিখিতে প্রবৃত্ত হউন, আলবালার লম্বা নল ধারণে প্রবৃত্ত হউন, বেগম সাহেবের মহলেই যান, বা ঘোড়া চড়ুন, বা যাহাই করুন সকল কার্য্যেই তিনি চসম ব্যবহার করিতেন কিন্তু তাহা যে কেবল শোভা বৰ্দ্ধনের নিমিত্ত এমত নহে, তিনি আদৌ দেখিতে পাইতেন না শুনা যায় যে চসম ভিন্ন তাহার শয্যায় মুনিদ্রা আসিত না-চসম ভিন্ন ঠাহার স্বপ্ন দেখিতেও কষ্ট হইত। যাহা হউক সামান্ত কারণ হইতে বৃহৎ ফলের উৎপত্তি হইয়া থাকে – আজ চসম ভাঙ্গাতে অনেক অবসর ও গজাননের বুদ্ধিচালনার সুসময় হইল। গজানন নাজিরের প্রতি দৃষ্টি করিয়া কহিলেন “মহাশয়ের কি অভিপ্রায় ? যখন আমি আসিয়াছি যা চাহিবেন তাহাই সিদ্ধ হইবে । আমার নাম “গজানন চৌধুরি, হাকিমদের খিদমতেই আমি চিরকাল কাটাইলাম।” যেমন ফ্রি মেসনারী দলভুক্ত ব্যক্তি আপন ধৰ্ম্মাক্রান্ত লোককে ইঙ্গিতে চিনিতে পারে দেওয়ানজীর অঙ্গুলিবিক্ষেপণে ও নাক চোকের ভঙ্গিতে নাজির সাহেব তাহাকে নিতান্ত আত্মীয়মধ্যে গণ্য করিয়া একটী সেলাম করিয়া কহিলেন ‘মেহের বান হুজুরের, আপনিই বাবু সাহেবের দেওয়ান ?” গজানন শুধ সমেত সঙ্গে সঙ্গে সেলাম প্রত্যপণ করিয়া কহিলেন “কার্য পরে, এখন খানার উদ্যোগ করা যায় ?” খানার নাম মাত্র “ফুধ” আর “বক্রি” “রহিমাছ” আর “তরকারী" ও গণ্ডা আষ্ট্রেক “আণ্ডার" বরাত হইল, চারিদিকে লোক ছুটিল, কাছারি যেরূপ গরম হইতেছিল অনেক ঠাণ্ড পড়িল। গজানন আবার কহিলেন, “মহাশয়, এখানে বড় চমৎকার ! রেসমের চারখানা হয়—আপনার যে ইজের দেখিতেছি ইহা অপেক্ষা শ্লেষ্ঠ বস্ত্র,