ՖՆՆ- वअलभञि * [ अंदर्भ নিম্ন পৰ্য্যন্ত আবৃত ; তত্পর একটি মারকিনের হাত খাট বেনিয়ান—খাট খাট চুল, প্রায় বারো আনা পাকা অবশিষ্ট মাত্র কাচা, কপাল উন্নত—ওষ্ঠস্বয় পরিষ্কার ও দন্তপাটি আরও উজ্জল, চক্ষুদ্ধয় বৃহৎ । নাজির সাহেবের সহিত চার চক্ষে–বরং আট চক্ষে—কারণ উভয়েরই চসমা ছিল—একত্র হইল। নাজিরের চসম চিঙ্কণ—গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয়ের চসম চৌড়া পিতলের হাসিয়াদার কলঙ্কময় । পিছনে সূত্র দিয়া টিকির নীচে আবদ্ধ। নাজির সাহেবকে দেখিবামাত্র আপনার চসমান্ধয় মাথার চুলের উপর উঠাইলেন। তাহাতে সূৰ্য্যকিরণ পতিত হইলে একট চতুলোচন মানুষ বোধ হইল—ও একবার গর্জন করিয়া কহিলেন “আপনিই বুঝি নাজির ? এ আপনার কোন দেশী নাজিরী ? আমরা কি কখন নাজির দেখি নাই, নাজির ! নাজির ৷ নাজির ৷ কাল ডাক্তার ইটুয়াল আসিবেন, আপনি আজ আমার ডাকঘরের হাতা হতে বেহার ধরিতে পাঠাইয়াছেন, বক্রি, মুরগি, আও! এসব বুঝি আপনাব জন্য গণ্ডায় গণ্ডায় সংগ্ৰহ হতেছে ? ঐ এক বিবাহের বরযাত্রীসহ দশখানি পান্ধির বেহারা আটক করিয়া দিলাম। আর আপনাকে কহিয়া যাইতেছি আমার একটি কাহার, একটি কুলি, আধখানি বাঙ্গিদার পাইবেন না। এখন, কাহারও পাস্কি চড়া হউক না হউক ঘরে যাওয়া হউক আর না হউক, আমি বলে রাখলাম।” দেওয়ান গজাননের প্রতি এতক্ষণে ডাকমুন্সি মহাশয়ের চক্ষু পড়িল । গজানন কহিয়া উঠিলেন “ও মহাশয়, ঘরের কথা, আমি এখানে আছি ; আপনিও হাকিম, উনিও হাকিম ।” গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় কহিলেন “হাকিম হলেই হয় না, হকিয়তের বিচার করা চাই, স্যায় অন্যায় প্রভেদ করা চাই কি না ?” দে। সে শক্তি কি সকলের আছে একবাব অনুগ্রহ করিয়া বলুন। গাঙ্গুলী “বলিবার কি অবসর আছে!” বলিয়া বেনিয়ানের জেব হইতে একটি চুণের ডিবার মত ঘড়ি খুলিয়া কহিলেন “মেল ব্যাগ প্রস্তুত করিতে হইবে আর টাইম (সময় ) নাই।” আমি তত বড় ঘড়ি কখন দেখি নাই—কহিলাম ওটা ঘড়ি না তাল অ্যাটি ?—আম পাড়া ঘড়ি ? গাঙ্গুলী “এ ছোকরা কে হে, পাক্কা ছেলে!” এই কথাগুলি কহিতে কহিতে প্রস্থান করিলেন । + এখন শিবসন্তায় সিংহের অজ্ঞাতে এই স্থির হইল কাদম্বিনীকে বিচারালয়ে উপস্থিত করাই উচিত। কিন্তু কাদম্বিনী কোথায় ? সাঙ্গাইতে হইবে ! দেওয়ানী নাজির সাহেবের কাণে কাণে কি কথা কহিলেন নাজির সাহেব মস্তক হেলাইয়া সম্মতি প্রদান করিলেন। একটা শত মুদ্রাপূর্ণ বগলি কক্ষ হইতে বাহির করিয়া চারিদিকে চাহিয়া নাজির সাহেবের প্রতি অভয় ও সম্ভাবপ্রকাশক বৃষ্টি নিক্ষেপ
