পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$२४é ] প্রাচীন ভারতবর্ষ Seరీ নিৰ্দ্ধারিত হওয়াতে নিশ্চিত ফল প্রত্যাশায় জ্যামিতি ও গণিতের স্ত্রীবৃদ্ধি সাধিত হয়। স্বরসংযোগে বেগদান করিতে গিয়া সঙ্গীতের আলোচনা বৃদ্ধি হয় । অর্থ বুঝিয়া বেদপাঠ করিতে গিয়া ব্যাকরণ শাস্ত্রের মূলপত্তন হয়। এ দিকে কৰ্ম্মকাণ্ডের বাড়াবাড়ী হওয়াতে গভীর চিন্তাশীল উপনিষৎকারগণ জ্ঞানপথে মোক্ষলাভের উপায় দেখিতে আরম্ভ করেন । কল্পসূত্র ও স্মৃতিতে কৰ্ম্মকাণ্ডের এবং দর্শনে জ্ঞানকাণ্ডের বিস্তার ; আর ক্ষত্রিয় শুরগণের অদ্ভূত কীৰ্ত্তিকলাপ যে সকল গাথায় গীত হইয়া বহুকাল হইতে জনসমাজের আনন্দবৰ্দ্ধন করিয়া আসিতেছিল, সেই সকল গাথা হইতে রামায়ণ ও মহাভারতের উৎপত্তি। এই সকল গ্রন্থ হইতে দেশের অবস্থা অনেক দূর জানা যায়। তৎকালে প্রায় সমুদয় আৰ্য্যাবৰ্ত্ত আৰ্য্যদিগের অধিকৃত হইয়াছে, দক্ষিণাপথের কোন কোন স্থানে তাহাদিগের রাজ্য বিস্তার ঘটিয়াছে এবং অন্যান্য স্থানের বিষয়ে কিছু কিছু জ্ঞান জন্মিয়াছে। অনার্য্যজাতীয় অনেক লোক অনাৰ্য্যসমাজের নিম্নদেশে স্থান পাইয়াছে ; এবং. দ্যুদিগের লিঙ্গোপাসনা আৰ্য্যধৰ্ম্মে প্রবিষ্ট হইয়াছে। যে বিষ্ণু, বেদে সূর্য্যের নামান্তর বলিয়া মধ্যে মধ্যে উপাসনার বিষয় ছিলেন, তিনি এখন একটা প্রধান উপাস্ত দেবতা হইয়া দাড়াইয়াছেন। যে রুদ্র বায়ু বা অগ্নির প্রচণ্ড মূর্তিরূপে কখন কখন পূজিত হইতেন, তিনি লিঙ্গরূপী বলিয়া গ্রাহ্য হইয়া অতি উচ্চপদে আরোহণ করিয়াছেন। সমাজের শ্রেণীবন্ধন পাকাপাকী হইয়াছে, এবং জ্ঞানীরা তাহা ছেদন করিতে চেষ্টা করিতেছেন । এইরূপ সময়ে বুদ্ধদেবের উৎপত্তি। তিনি যে ধৰ্ম্ম প্রচার করেন, তাহাতে বাহ কাৰ্য্য অপেক্ষ চরিত্রের উন্নতির দিকে দৃষ্টি পড়ে ; এবং তাহার অহিংসাবাদ প্রভাবে রক্তস্ৰাবী বৈদিক যজ্ঞকাণ্ডের স্রোত অনেক দুর কমিয়া যায় । বৌদ্ধদিগের সংখ্যা ক্রমে বাড়িতে থাকে ; কিন্তু চন্দ্রগুপ্ত মগধে যৎকালে রাজত্ব করিতেছিলেন, তৎকাল পর্য্যন্তও বৌদ্ধের প্রবল হইতে পারে নাই। চন্দ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করিবার পূৰ্ব্বে সুবিখ্যাত দিগ্বিজয়ী গ্রীক বীর আলেকজাণ্ডর পঞ্জাবপ্রদেশ আক্রমণ করিয়া প্রতিনিবৃত্ত হন। অনস্তর আলেকজাগুরের মৃত্যু হইলে পর তদীয় সেনানী সেলুকস আসিয়ার পশ্চিম বিভাগের অধিপতি হইয়া ভারতবর্ষ পুনরাক্রমণ করেন, কিন্তু চন্দ্রগুপ্ত কর্তৃক পরাজিত হইয় তাহার সৃহিত সন্ধি করিয়া প্রস্থান করেন। সেলুকস চন্দ্রগুপ্তকে একটি কন্যাদান করেন, এবং তাহার সভায় মেগাস্থিনিস নামক একজন দূত পাঠান। মেগাস্থিনিস অনেক দিন পাটলীপুত্রনগরে ছিলেন, এবং ভারতবর্ষ সম্বন্ধে একখানি গ্রন্থ লিখেন। এই গ্রন্থ বৰ্ত্তমান নাই, কিন্তু আরিয়ান وسسهt)*ة