পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$ఆ दुष्कंञि . [ वंांदर्भ বয়সে গার্হস্থ ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিল, সে যে পুনরায় গৃহত্যাগ করিয়া নগরবহিঃস্থ উপবন আশ্রয় করিবে, তিনি এতদূর অনুসন্ধান রাখিতেন না। আর সকলেই যে সাঁইত্রিশ বৎসর বয়স পর্য্যস্ত ব্রহ্মচারী থাকিত এরূপ বোধ হয় না । মনুর ব্যবস্থামুসারে ছত্রিশ বৎসর ব্রহ্মচর্য্যের শেষ সীমা । ইহাকে মেগাস্থিনিস সাধারণ নিয়ম ভাবিয়াছিলেন । মেগাস্থিনিস বলেন যে ব্রাহ্মণের এই ভাবিয়া স্ত্রীলোকদিগকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রদান করিত না যে পাছে তাহারা গৃঢ়তত্ব প্রকাশ করে, বা জ্ঞান লাভ করিয়া পরাধীন থাকিতে না চায়। মৃত্যুসম্বন্ধে তাহাব সৰ্ব্বদা কথোপকথন করিত। তাহাদিগের মতে এ জীবন গর্ভাবস্থাতুল্য এবং মৃত্যু তত্ত্ববিদ্যুদিগের পক্ষে প্রকৃত ও সুখময় জীবনপ্রাপ্তিরূপ জন্ম। তাহাদিগেব বিবেচনায় যাহা কিছু মানুষের ঘটে ভাল বা মন্দ নহে, অন্যরূপ ভাবা স্বপ্লবৎ মায়া, কারণ একই পদার্থ হইতে কাহারও সুখ, কাহারও দুঃখ উৎপন্ন হয়, এবং একব্যক্তিরই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাব উদ্ভূত হয় । নৈসর্গিক ঘটনা সম্বন্ধে তাহাদিগের গ্রীকৃদিগের স্যায় মত দেখা যায় । তাহারা বলে যে জগতের উৎপত্তি ও ধ্বংস আছে, ইহার আকার গোল, এবং যে ঈশ্বর ইহার স্রষ্টা ও পাতা তিনি ইহার সৰ্ব্বত্র ব্যাপিয়া আছেন । তাহাদিগের মতে বিশ্বমণ্ডলে অনেক ভূতের কার্য্য লক্ষিত হয়, এবং জলদ্বারা জগতের স্মৃষ্টি হইয়াছিল। চারিভৃতে তাহারা আর একটি ভূত (অর্থাৎ আকাশ ) যোগ করে, উহা হইতেই স্বর্গ ও তারকারাজী নিৰ্ম্মিত । আত্মার উৎপত্তি ও প্রকৃতি এবং অন্যান্য অনেক বিষয় সম্বন্ধে, তাহাদিগের মত গ্রীক্দিগের সদৃশ । আত্মার অমরতা, ভাবিষ্যৎ বিচার, এবং ঈদুশ বিষয়ে, তাহারা প্লেটোর স্যায় আপনাদিগের মত গল্পচ্ছটায় নিবদ্ধ রাখে । 旁 শ্রমণদিগকে মেগাস্থিনিস দুই দলে বিভক্ত করিয়াছেন । একদল বনে বাস করত, পত্র ও ফল আহার করিত, গাছের বাকল পরিত, মদ্য ও ইন্দ্রিয়সুখ হইতে বিরত থাকিত । কোন বিযয়ের কারণ জানিতে ইচ্ছা হইলে রাজারা ভাহাদিগের নিকটে দূত পাঠাইত। অন্যদল ভিষক । তাহারা যদিও বনবাসী নহে, তথাপি মিতাচারী। তাহাদিগের খাদ্য ভাত বা যবের মণ্ড, উহা যেখানে চায় অথবা যেখানে অতিথি হয়, সেইখানেই পায় । তাহাদিগের ঔষধের গুণে লোকের সস্তান হয় ; এমন কি, পুত্র কি কন্যা হইবে, তাহাও স্থির হয় । তাহারা ঔষধ প্রয়োগ অপেক্ষা পথ্যের নিয়ম করিয়া রোগ আরাম করে। তাহারা তৈল ও প্রলেপকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ঔষধ জ্ঞান করে । 总 প্রথম দলের শ্রমণদিগের আচরণ বানপ্রস্থ হিন্দুদিগের ন্যায় লক্ষিত হইতেছে, ইহাতে বোধ হইতে পারে যে হিন্দু ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদিগের মধ্যে